ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

করোনাকালে মন ভালো রাখবে যেসব খাবার

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২০, ১৬:৫৩

করোনাকালে মন ভালো রাখবে যেসব খাবার

করোনায় আক্রান্ত হলে কী হবে? পরিবারের সদস্যরা সুরক্ষিত থাকবে তো? চাকরি বা ব্যবসার অবস্থা কী হবে? বর্তমান সময়ে সবার মনেই এমব প্রশ্ন জোরালো হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা যোগা, মেডিটেশন করতে বলছেন৷ ভয় দেখাচ্ছেন এই বলে যে বাড়াবাড়ি উদ্বেগ নিয়ে বসে থাকলে মাস ছয়েকের মধ্যে জিএডি বা জেনারেলাইজড অ্যাংজাইটি ডিজঅর্ডার হতে পারে। তখন তাকে সারাতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে। কিন্তু উদ্বেগ কাটবে কীসে!

ভূমিকা রয়েছে খাবারেরও

ডিজঅর্ডারের পর্যায়ে পৌঁছে গেলে অনেক কিছু লাগে৷ সাইকো থেরাপি, বিশেষ করে কগনিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি, ওষুধ৷ জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হয়৷ শিখতে হয় রিল্যাক্স করা ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার নিয়ম৷

গোড়াতে সতর্ক হলে যদিও সহজেই সমস্যা সমাধান সম্ভব ৷ সচেতন বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে কথা বলে ও যোগা-মেডিটেশন-ব্যায়াম ইত্যাদি করতে পারলে মন হালকা হয়৷ উদ্বেগ কমাতে কিছু খাবারেরও ভূমিকা আছে৷

খাবারে যেসব দিকে নজর রাখতে হবে

ভিটামিন ই-র অভাব হলে উদ্বেগ ও মন খারাপ বাড়তে পারে৷ সে অভাব মেটাতে নিয়মিত বাদাম খান৷ বিশেষ করে ব্রাজিল নাট ও কাঠবাদাম বা আমন্ড৷ ব্রাজিল নাটে আছে সেলেনিয়াম নামের খনিজ৷ লাগাতার উদ্বেগে শরীরে যে প্রদাহ বাড়ে তা কমাতে পারে৷ তবে দিনে ৩-৪টের বেশি নয়৷

গবেষণায় দেখা গেছে যাঁরা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড কম খান, তাঁদের মুড ডিজঅর্ডার বেশি হয়৷ কাজেই সপ্তাহে অন্তত দু-বার তৈলাক্ত মাছ খান৷ খান সয়াবিন, আখরোট, তিষির বীজ, শিয়া বীজ৷ কড লিভার অয়েলও খেতে পারেন৷

জার্নাল অফ আফেকটিভ ডিসঅর্ডারে প্রকাশিত প্রবন্ধে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে অবসাদের আশঙ্কা বাড়ে৷ কাজেই দিনে ২০-৩০ মিনিট গায়ে রোদ লাগানো জরুরি৷ তার পাশাপাশি খান তৈলাক্ত মাছ, ডিমের কুসুম, মাশরুম, কড লিভার অয়েল৷ প্রয়োজনে সাপলিমেন্ট খেতে হতে পারে৷

ট্রিপ্টোফানের উপস্থিতিতে শরীরে সেরেটোনিন নামে মন ভাল করার হরমোন বেশি বেরোয়৷ ব্রেনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে উদ্বেগ, অনিদ্রা কমাতে সে সিদ্ধহস্ত৷ কাজেই ডিম, চিকেন, চিজ, মাছ, চিনেবাদাম, কুমড়ো বীজ, তিল, দুধ, কলা ইত্যাদি খান মাত্রা রেখে৷ কুমড়োর বীজে পটাসিয়াম ও জিঙ্ক আছে৷ দুই-ই মুড ডিজঅর্ডারের মহৌষধ৷ কলার পটাসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রিল্যাক্স করতে সহায়তা করে৷

দিনে ৪০ গ্রাম ডার্ক চকলেট খেলে ফ্ল্যাভেনয়েড, ট্রিপ্টোফান, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদির প্রভাবে মন ভাল থাকে৷ তবে তাতে কোকোয়ার পরিমাণ যেন ৭০ শতাংশের বেশি থাকে৷

হলুদের কারকিউমিন প্রদাহের প্রবণতা কমায়৷ ফলে মনও শান্ত হয়৷ উপরি পাওনা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া, যা এই মুহূর্তে খুবই দরকার৷

চ্যামোলিন চা মন হালকা করে৷ এর জীবাণুনাশক গুণ আছে৷ আছে প্রদাহ কম রাখার ক্ষমতা৷ কাজেই করোনা ঠেকাতেও এর ভূমিকা আছে৷ এর স্বাদ-গন্ধ ভাল না লাগলে গ্রিন টি-ও খেতে পারেন৷ কাজ একই হবে৷

ঘরোয়া টক দই বা দোকানের ইয়োগার্টে আছে উপকারি জীবাণু, ল্যাক্টোব্যাসিলাস ও বাইফিডোব্যাকটেরিয়া৷ এরা পেট যেমন ভাল রাখে, ব্রেনের সুস্থতার মূলেও এদের হাত আছে৷ প্রদাহ কমায় বলে মনও ভাল থাকে৷ ফলে খাবারের মেনুতে নিয়মিত যোগ করতে পারেন দই।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত