ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

মেয়েদের মুড সুইং করলে যা করণীয়

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২০, ২২:০৭

মেয়েদের মুড সুইং করলে যা করণীয়

এই মন ভালো, তো এই খারাপ। এমন মন বদল বা মুড সুইং আমাদের প্রায় সবারই হয়ে থাকে। এ নিয়ে কতটা গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন সেটা নির্ভর করে মুড সুইংয়ের পরিমাণ এবং কতটা ঘন ঘন এটি হচ্ছে তার ওপরে। আগে না বুঝলেও এখন বুঝতে পারছি এই ব্যাপারটা একটা অভিশাপ। আপনি যদি কখনো দেখেন আপনার মা, বোন, বান্ধবী, প্রেমিকা, স্ত্রী কিংবা কন্যা অকারণে ইমোশনাল হচ্ছে, অযথা রাগ করছে, কাঁদছে, চিৎকার করছে, ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে যাচ্ছে তখন প্লিজ তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হোন!

কারণ হরমোনাল ইমব্যালেন্স, মেন্সট্রুয়ালসহ বিভিন্ন কারণে বেশিরভাগ মেয়ে মুড সুইং এ ভুগে। হঠাৎ হঠাৎ তাদের বিহেভ পাল্টে যায়। ওভার রিঅ্যাক্ট করে। আমরা মেয়েটাকে সাইকো বলি। কিন্তু মেয়েটা আসলে সাইকো না। আবেগ, মায়া মমতায় ভরা একটা মানুষ সে। মুড সুইং-এ ভুগা মেয়েগুলো পৃথিবীর সবচেয়ে অসহায় প্রাণী।

ওরা নিজের সাথে যুদ্ধ করে আপনার আমার সাথে নরমাল বিহেভ করতে চায়। কিন্তু তা মাঝেমধ্যে পেরে উঠেনা। ওভার রিঅ্যাক্ট করে ফেলে। ওরা ইচ্ছা করে এমনটা করেনা। ওদের শরীরে বিভিন্ন প্রকার হরমোনের প্রভাবে ওরা এমন করে। হয়তো সে নিজেও জানে না কিভাবে নিজের মুড সুইং কে হ্যান্ডেল করতে হয়।

ওদের এই মুড সুইং টা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তার প্রিয় মানুষগুলার সাথে হয়। এই দেখছেন ও খুব হাসি খুশিই আছে কিন্তু হঠাৎ খেয়াল করে দেখলেন সে অন্যরকম আচরণ করছে। হতে পারে সে আপনার কাছ থেকে মনে মনে কিছু চাইতেছে, কিন্তু সেটা প্রকাশ করতে পারছেনা।

ও চায় আপনি বুঝুন তাকে কিন্তু যখন দেখে তার কাছের প্রিয় মানুষটা তার চাওয়াটা পূরণ করবে তো দূরে থাক বুঝতেই পারেনি সে কি চায় তখন সে নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারে না, সেই আশা পূরণ না হওয়ার কারণে নিমিষেই সে পাল্টে যায়। করে ফেলে আপনার সাথে ওভার রিঅ্যাক্ট।

আবার কিছুক্ষণ পরেই সে ঠিক হয়ে যায় কিন্তু আপনি তার মুড সুইং এর ব্যাপারটা ধরতে পারেন নি বলে তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আপনিও করে ফেলেন মিসবিহেভ কিংবা তাকে এড়িয়ে চলেন এতে করে সেই মুড সুইং হওয়া মেয়েটি আস্তে আস্তে সবার থেকে গুটিয়ে নেয় নিজেকে।

তাদের কে ন্যাকা, এইমলেস বলে রূঢ় আচরণ না করে বরং এমন একজন হোন যার কাঁধে মাথা রেখে কাঁদা যায়। যার কাছে মন খুলে কিছু কথা বলা যায়। যখন ওদের সবকিছু ভুল মনে হতে থাকে তখন নিজেকেই নিজের আর সহ্য হয় না।

সবকিছু অর্থহীন মনে হতে থাকে। তখন চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করে। বিশ্বাস করেন ঐ মুহূর্তে স্রেফ একজন শোনার মানুষের দরকার হয়,যে কিনা খুব মনোযোগ দিয়ে ভীষণ অগোছালো আর অর্থহীন কথাগুলো কেবলই শুনে যাবে! হয়তো কথা গুলো বলে সে নিজেকে হাল্কা অনুভব করবে।

বাঙালিরা মুড সুয়িং কে ন্যাকামি মনে করে। তাই তো ডিপ্রেশনে বেশি ভোগে শুধু মানুষিক স্বাস্থ্যের যত্ন না নেয়ার কারণে। ওদের একটু বুঝুন, দেখবেন ঘনঘন মুড সুইং হওয়া মেয়েটা সাইকো না সেও কিন্তু লক্ষ্মী একটা মেয়ে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত