ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

যে মাস্কে সুরক্ষা

  নিলুফা খানম

প্রকাশ : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:২১

যে মাস্কে সুরক্ষা

নভেল করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং করোনা রুখতে শক্তিশালী সুরক্ষা দেবে মাস্ক। করোনার গ্রাস থেকে বাঁচতে মাস্ক পরাটা একেবারে বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে তাই এ সময়ে নিজেকে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি যেই বিষয়টির প্রয়োজন তা হচ্ছে সচেতনতা। আর এ সচেতন থাকার প্রথম ধাপ হচ্ছে মাস্ক পরা।

অনেকেই মনে করেন, শুধু মাস্ক পরে কীভাবে এ রোগ থেকে বাঁচা সম্ভব। প্রকৃতপক্ষে আমাদের দৈনন্দিন কাজের জন্য প্রায়ই আমাদের বাইরে যেতে হচ্ছে আর নানা মানুষের সঙ্গে মিশতে হচ্ছে। যাতায়াত ক্ষেত্রেও ব্যবহার করা হচ্ছে গণপরিবহন। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে আর যাতে ভাইরাস আমাদের মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে তার জন্য মাস্কের ব্যবহার অত্যাবশ্যক।

অন্যদিকে এ মাস্ক পরার ক্ষেত্রে মানতে হয় কিছু সতর্কতা আর মাস্ক বেছে নেয়ার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হয় অল্প কিছু বিষয়। বাজারে মাস্কের ছড়াছড়ি। আমাদের মাঝে অনেকেই সার্জিক্যাল মাস্ক আবার কেউ এন নাইনটি-ফাইভ মাস্ক অথবা কাপড়ের তৈরি মাস্ক পরে থাকেন। অনেকেরই মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে কোন মাস্কটি নিজেকে সুস্থ রাখতে সবচেয়ে বেশি কার্যকর।

মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে আপনি যদি বারবার একই মাস্ক ব্যবহার করতে চান সেক্ষেত্রে কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করতে পারেন। তবে এ ধরনের মাস্ক কেবল ধুলাবালি থেকেই আপনাকে সুরক্ষা দিতে পারবে। এর পাশাপাশি অনেকেই সার্জিক্যাল মাস্ক পরে থাকেন। এ মাস্ক পরার ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে, আপনি মাস্কের কোন পাশটা ব্যবহার করছেন। সাধারণত এ মাস্কগুলোয় এক পাশে নীল আর এক পাশে সাদা অংশ চোখে পড়ে। কোনো কোনো মাস্কে দেখা যায়, এক পাশ হালকা গোলাপি। সার্জিক্যাল মাস্কের ক্ষেত্রে নীল অংশটি ওয়াটার প্রুফ আর সাদা অংশটি ফিলটার, যা মূলত আপনাকে বাইরের জীবাণু থেকে সুরক্ষা দেয়। তাই আপনি যদি সুস্থ ব্যক্তি হয়ে থাকেন তাহলে বাইরের ধুলাবালি থেকে নিজেকে বাঁচাতে সাদা অংশটি বাইরে আর নীল অংশটি ভেতরে পরুন। কেননা সাদা অংশ দিয়ে বাতাস পরিশুদ্ধ হয়ে ভেতরে প্রবেশ করবে। আর আপনার যদি সর্দি, কাশি ও জ্বর কিংবা অন্য কোনো সমস্যা থেকে থাকে তাহলে নীল অংশটি বাইরে থেকে সাদা অংশটি ভেতরে পরুন। এতে করে আপনার থেকে ক্ষতিকর কোনো কিছু বাইরে যেতে বাধা পাবে আর এতে অন্য কোনো ব্যক্তি আক্রান্তের হাত থেকে রক্ষা পাবে।

তবে সার্জিক্যাল মাস্ক একদিনের বেশি কখনই পরা উচিত নয়। যদিও একটি মাস্ক ৩ থেকে ৮ ঘণ্টার মধ্যে ফেলে দিতে হয় তবে বারবার মাস্ক পরিবর্তন করা সম্ভব না বিধায় একটি সার্জিক্যাল মাস্ক একদিন কেবল ব্যবহার করা উচিত। এ সার্জিক্যাল মাস্কের পাশাপাশি অনেকেই এন নাইনটি-ফাইভ মাস্ক ব্যবহার করে থাকেন। মূলত এ মাস্কগুলো যারা রোগীদের সেবা দিচ্ছেন তাদের জন্য তৈরি।

এ মাস্কগুলো ছাড়াও আছে- এফএফপি১ মাস্ক, এফএফপি২ মাস্ক ও এফএফপি৩ মাস্ক। তবে এসব মাস্ক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে তেমন কার্যকর নয়। অন্যদিকে মাস্ক ব্যবহার করার থেকেও আরেকটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর তা হচ্ছে- আপনি কীভাবে মাস্ক ব্যবহার করছেন। মাস্কের সঠিক ব্যবহার কেবল পারে আপনাকে এ মহামারী থেকে সুরক্ষিত রাখতে।

অনেকেই মাস্ক না পরেই বাইরে বের হচ্ছেন। এতে করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার নিজের ঝুঁকি যেমন বাড়ছে তেমনি বাড়ছে আশপাশের মানুষেরও। তাই কোনোভাবেই বাইরে থাকা অবস্থায় মাস্ক পরিধান থেকে বিরত থাকা যাবে না। মাস্কে বারবার হাত দেয়া যাবে না। আপনি যখন মাস্ক খুলতে যাবেন তখন কানের পেছন থেকে থাকা সুতা ধরে খুলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে এবং হাত সাবান পানি অথবা স্যানিটাইজার দিয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। আর এভাবেই নিজেকে যেমন সুস্থ রাখা যাবে তেমনি করোনা ভাইরাসের মতো মহামারীর সঙ্গেও লড়াই করে সুস্থ থাকা সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত