ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘পুমা পুংকু’ এক বিস্ময়

  ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২০, ০০:১৭

‘পুমা পুংকু’ এক বিস্ময়

বিশ্বজুড়ে পাথর কেটে বিভিন্ন স্থাপত্য নির্মাণের অসংখ্য নিদর্শন আছে। এর মধ্যে ‘পুমা পুংকু’ অন্যতম। ইতিহাসবিদদের ধারণা, পাথরের এই কাজগুলো করা হয়েছিল প্রায় ১৭ হাজার বছর আগে। এর সূক্ষ্ম কাজ দেখলে মনে হতে পারে হীরার যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল।

দক্ষিণ আমেরিকার বলিভিয়ার রাজধানী লা-পাজ থেকে ৪৫ মাইল দূরে এ্যান্ডিজ পবর্তের পাদদেশে সমুদ্রপৃষ্ঠ হতে ১২ হাজার ফুট উঁচুতে প্রাচীন এই ঐতিহ্য সত্যি এক বিস্ময়। ‘পুমা পুংকু’ শব্দের অর্থ হচ্ছে পুমার দরজা। গ্রানাইট পাথরের তৈরি এ প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের কোন কোন পাথর ২৫ ফুট লম্বা এবং ১৫০/২০০ টন ভারী। যদিও মূল কাঠামো কি ছিল সেটা এখন আর বোঝা যায়না। বড় বড় পাথরগুলো এমনভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে যেন মনে হয় প্রচন্ড কোন শক্তি প্রাচীন এই স্থাপনাকে লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।

প্রাচীন এই শহর কতো পুরানো তা কেউ সঠিকভাবে বলতে পারেনি। মূলধারার প্রত্নতত্ত্ববিদরা মনে করেন এটা ২ হাজার বছরের পুরনো।

আর্থার পোলানস্কি নামের একজন বলিভিয়ান প্রত্নতত্ত্ববিদ তার সারা জীবন উৎসর্গ করেছেন ‘পুমা পুংকু’ এবং এর পাশেই অবস্থিত টিয়ানাকু এই দুই প্রত্নতাত্ত্বিক সাইটের উপর গবেষণা করে। তার ভাষ্যমতে- ‘পুমা পুংকু’ প্রায় ১৫ হাজার বছরের পুরনো। পুমা পুংকু-এর আসল রহস্য তার পাথরগুলার কাটিংয়ে। যেভাবে পাথরগুলো কাটা হয়েছিল তা বতর্মানের ডাইমন্ড কাটের সাথে তুলনীয়! নিদির্ষ্ট এ্যাঙ্গেল ব্যবহৃত হয়েছে যেমন- ৯০ ডিগ্রী, গোল সেপ, ওভাল সেপ। আবার নির্দিষ্ট দূরুত্বে গর্ত করা হয়েছে। একই মাপের একই সাইজের অসংখ্য ব্লক তৈরি করেছিল। এসব প্রমাণ করে তারা পরিকল্পনা করতে পারত মানে লিখতে পারতো, হিসাব করতে পারতো!

লোকাল মীথ অনুযায়ী, এখানে ‘গড’রা বাস করতো। তাদেরকে কেন্দ্র করে টিয়ানাকু শহরটা গড়ে ওঠে অনেকটা তীর্থের মতো। আবার এনসিয়েন্ট এস্ট্রোনাট থিওরিস্টরা বিশ্বাস করে এটা ছিল বর্হিজাগতিক শক্তিদের বা এলিয়েনদের বাহনের উঠানামার জায়গা। অনেকটা এয়ারপোর্টের মত।

আরও পড়ুন- পারসিয়ান সম্রাটের আক্রমণে ধুলোয় মিশেছে ব্যাবিলনের শূন্য উদ্যান!

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে/আর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত