আখের রসের গুণাগুণ ও উপকারিতা
জীবন-শিল্প ডেস্ক
প্রকাশ : ৩১ অক্টোবর ২০২০, ২২:০০
বাংলাদেশে চিনি উৎপাদনের প্রধান কাঁচামাল আখ। আখের এখন ভরা মৌসুম। এছাড়া গরম কিংবা শীত যে কোনো ঋতুতেই পাওয়া যায় আখ। আখের রস হালকা থেকে গাঢ় সবুজ বর্ণের মিষ্টি তরল পানীয়। আখ বা আখের রস হলো প্রাকৃতিক মিনারেল ওয়াটার যা আমাদের শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করে না বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধেও কার্যকারী ভূমিকা গ্রহণ করে।
এক গ্লাস আখের রস খেলেই ক্লান্তি দূর হয়ে যায়। এ কারণে আখের রসকে প্রাকৃতিক এনার্জি ড্রিঙ্কও বলা হয়। শুধু ক্লান্তি দূর করতে নয়, বরং ত্বকের জন্যও এটি সমান কার্যকরী। এছাড়া আখের রসের আরো নানা গুণ রয়েছে। এগুলো নিম্নরূপ-
প্রতি ১০০ মিলি লিটার রসে-
ক্যালরি ২৪২
প্রোটিন ০.১৬ গ্রাম
মোট ফ্যাট ০.০৪ গ্রাম
মোট ফাইবার ০.৫৬ গ্রাম
উন্মুক্ত সুগার ১২.৮৫ গ্রাম
পটাশিয়াম ১৫০ মিলি গ্রাম
সোডিয়াম ১.১৬ মিলি গ্রাম
ম্যাগনেসিয়াম ১৩.০৩ মিলি গ্রাম
ফসফরাস ২২.০৮ মিলি গ্রাম
থায়ামিন ০.০৩ মিলি গ্রাম
রাইবোফ্লোবিন ০.০৪ মিলি গ্রামতাই আখের রস একটি পুষ্টি গুণাগুণ সম্পন্ন এন্টি অক্সিডেন্ট।
উপকারিতা
২৫০ মিলি লিটারের এক গ্লাস আখের রস পান করলে শরীরের ক্লান্তি নিরাময় হয়। শরীরের দুর্বলতা সেরে যায়। শিশুদের শারীরিক বৃদ্ধি ঘটায়। আখ চিবিয়ে খেলে মুখের ও দাঁতের ব্যায়াম হয়। আখের রস স্বাস্থ্য সম্মত উপায়ে পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি পায়। আখের রসের সাথে সামান্য লেবুর রস মিশিয়ে দিলে লেবুর রসের ফ্লেভার মিশ্রিত হয়। এই লেবুর রসের ফ্লেভার মিশ্রিত রস পান করলে ভিটামিন সি এর ঘাটতি পূরণ হয় এবং এই লেবু মিশ্রিত রস পান করলে সু-স্বাদু অনুভব হয়। আখের রস প্রক্রিয়াজাত করন ছাড়া টেবিল সুগার হিসাবে ব্যবহার করা যায়। তাই আমাদের দেশে প্রত্যন্ত অঞ্চলে চিবিয়ে খাওয়ার আখ আবাদ বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের পুষ্টি মিটানোর পাশাপাশি আর্থিক সচ্ছলতা বৃদ্ধি পাবে এবং দেশে ব্যাপক কর্মসংস্থান হবে।
লেখক: কৃষিবিদ ড. মো. আবুল কালাম আজাদ
বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে