ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সুস্থ থাকতে সকালে হাঁটুন

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০১ এপ্রিল ২০২১, ২২:০৫  
আপডেট :
 ০২ এপ্রিল ২০২১, ১২:৪৮

সুস্থ থাকতে সকালে হাঁটুন

আমরা অনেক বেশি প্রযুক্তিনির্ভর হয়ে গেছি বর্তমান সময়ে। ব্যস্ততার এই সময়ে কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম করা হয় না বললেই চলে। সুস্থ দেহ ও ফুরফুরে মেজাজের জন্য হাঁটা খুবই জরুরি। তবে অন্য সময়ের চেয়ে সকালে হাঁটা অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর। ছোট-বড় যে কেউ নিয়মিত হাঁটার অভ্যাস করতে পারেন।

বাংলাদেশ জার্নালের পাঠকদের জন্য আজকের আয়োজনে থাকছে হাঁটার কিছু উপকারিতা।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রতিদিন সকালে হাঁটলে শরীরের প্রতিটি কোষে বিশুদ্ধ রক্ত এবং অক্সিজেন পৌছে যায়। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। হাঁটা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়: সাধারণত মানুষের স্মৃতিশক্তি কমে যায় বয়স বাড়ার সাথে সাথে। নিয়মিত বিভিন্ন ব্যায়াম অনুশীলনে মস্তিষ্কে রক্তচলাচল বাড়ে। এতে স্মৃতিহানি হওয়ার ঝুঁকি ৪০ ভাগ পর্যন্ত কমে যায়। যুক্তরাজ্যে এক গবেষণায় দেখা গেছে, বয়স্কদের মধ্যে যারা সপ্তাহে অন্তত ৬ মাইল পথ হাঁটেন তাদের স্মৃতিশক্তি অটুট থাকে। চোখকে কিছুটা আরাম দিতে এবং চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে প্রতিদিন সকালে হাঁটার বিকল্প নেই।

জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি নেই: শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি কমে যায় নিয়মিত হাঁটাচলা করলে। সাধারণত বয়স বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের শরীরের বিভিন্ন হাড় ও সংযোগস্থলে ব্যথা করে। শরীরের জয়েন্টগুলোকে সুস্থ রাখতে হাঁটা নিঃসন্দেহে খুবই কার্যকর ব্যায়াম।

ভিটামিন ডি: বিশেষ করে সকালে হাঁটার অভ্যাস করলে শরীর ভিটামিন ডি-তে সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে । দৈনন্দিন খাবার থেকে ভিটামিন ডি পাওয়া যায় খুব অল্প পরিমাণে। ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া স্তন ক্যান্সারে আক্রান্ত ৪ হাজার ৪৪৩ জনের শরীরে ভিটামিন ডি-এর প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে। দেখা গেছে যাদের শরীরে ভিটামিন ডি পর্যাপ্ত রয়েছে তারা অন্যদের তুলনায় অন্তত দ্বিগুণ সময় রোগটির সঙ্গে লড়াই করে বেঁচে থাকতে পারে। গবেষকরা আরও জানান, ভিটামিন ডি অন্যান্য কোষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে সক্রিয় করে। এতে ক্যান্সারে আক্রান্ত কোষ সহজে অন্যকোষে ছড়িয়ে পড়তে পারে না। এ জন্য হাঁটা হতে পারে উত্তম ব্যায়াম।

প্রাণবন্ত শরীর ও মন: সকালের প্রকৃতি এমনিতেই স্নিগ্ধ থাকে। প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগের সময় মন স্বাভাবিকভাবেই ফুরফুরে থাকে, শরীর ও মন সতেজ হয়। শরীরের প্রতিটি জয়েন্টে অক্সিজেনের প্রাণপ্রবাহে মাংসপেশীগুলো শিথিল ও রিলাক্সড হয়।

পায়ের শক্তি বাড়া: হাঁটলে শুধু পায়ের শক্তিই বাড়ে এমন না, পায়ের আঙুলেরও ব্যায়াম হয়। এছাড়া কোমর এবং শরীরের অন্যান্য অঙ্গ নড়াচড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ থাকে।

হাঁটা হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখে: হৃদস্পন্দনকে ভালো রাখে প্রতিদিনের হাঁটা। এটি রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে, শরীরের বাজে কোলেস্টেরল দূর করে এবং ভালো কোলেস্টেরল বাড়ায়। এতে ভালো থাকে হৃৎপিণ্ড।

ত্বক ভালো করে: প্রতিদিন সকালে হাঁটলে প্রচুর পরিমাণে ঘাম ঝরে। ফলে ত্বকের লোমকূপ গুলো খুলে যায় এবং শরীরের দূষিত পদার্থগুলো ঘামের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও লাবন্যময় দেখায়।

মানসিক চাপ কমায়: প্রতিদিন হাঁটতে বেড়িয়ে সকালের সুন্দর স্নিগ্ধতা উপভোগ করতে কার না ভালো লাগে। প্রতিদিন সকালের সুন্দর পরিবেশ ও কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি আপনার মন ভালো করে দিতে পারে নিমিষেই। প্রতিদিন সকালে কিছুক্ষণ হেটে আসলে সারাদিন কাজের উৎসাহ বাড়ে এবং মানসিক চাপ কমে যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনআর

  • সর্বশেষ
  • পঠিত