ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

অপরূপা ‘ঝর্ণা রাণী’ খৈয়াছড়া

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ জানুয়ারি ২০২৩, ১৬:০৩

অপরূপা ‘ঝর্ণা রাণী’ খৈয়াছড়া
ফাইল ছবি

খৈয়াছড়া ঝর্ণা বাংলাদেশের চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের পাহাড়ে অবস্থিত একটি জলপ্রপাত। মীরসরাই উপজেলায় অবস্থিত অন্যান্য জলপ্রপাত যেমন কমলদহ ঝর্ণা, নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা, সহস্রধারা ঝর্ণা, ঝরঝরি ঝর্ণা প্রভৃতির তুলনায় খৈয়াছড়া ঝর্ণা ও এর ঝিরিপথ অন্যতম বৃহৎ।

খৈয়াছড়া ঝর্ণায় মোট ৯টি বড় ঝর্ণার ধাপ (তথা ক্যাসকেড) ও অনেকগুলো বিচ্ছিন্ন ধাপ রয়েছে। মিরসরাই উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়নে ঝর্ণারটির অবস্থানের কারণে ঝর্ণাটির নামকরণ করা হয়েছে "খৈয়াছড়া ঝর্ণা"।

যাতায়াত ব্যবস্থা আর অবকাঠামোর উন্নয়ন করলে সরকার এই স্পট থেকে রাজস্ব আয় করতে পারবে।

বাঁশের সাকো, ক্ষেতের আইল, আঁকাবাঁকা পাহাড়ি পথ আর চারটি পাহাড় পেরিয়ে যখন ঝর্ণার স্বচ্ছ পানিতে গা ভেজায় পর্যটকেরা, তখন পথের ক্লান্তি ধুয়ে যায় নিমিষেই। সবুজ পাহাড় আর ঝর্ণার জলে ডুব দিয়ে ভ্রমণপিয়াসীরা খুঁজে পায় জীবনস্রোতে ছুটে চলার নতুন প্রেরণা।

ধারণা করা হয় প্রায় ৫০ বছর আগে থেকেই প্রবাহিত হচ্ছে খৈয়াছড়া ঝর্ণাটি। জনমানহীন পাহাড়ি এলাকা এবং ঝোপ ঝাড়ের আধিক্যের জন্য এটির অবস্থান আবিষ্কারে সময় লেগেছে। আবার অনেকে ধারণা করেন প্রায় ৫০ বছর আগে পাহাড়ি ঢলের ফলে এই ঝর্ণাটি তৈরি হয়েছে, এর পূর্বে এখানে ঝর্ণাটি ছিল না।

২০১০ সালে সরকার বারৈয়াঢালা ব্লক থেকে কুণ্ডের হাট (বড়তাকিয়া) ব্লকের ২৯৩৩.৬১ হেক্টরর পাহাড়কে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করায় খৈয়াছড়া ঝর্ণা জাতীয় উদ্যানের আওতাভুক্ত হয়।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ২০১৭ সালে চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের "রামগড়-সীতাকুন্ড- রিজার্ভ ফরেস্টের" খৈয়াছড়া ঝর্ণাকে কেন্দ্র করে ইকো-ট্যুরিজম উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে, যার অন্যতম মূল লক্ষ্য হল খৈয়াছড়া ঝর্ণার সংরক্ষণ।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত