খাওয়ার ধরণ বলে দেবে চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য!
প্রত্যেকটা মানুষই আলাদা। আর তাই প্রত্যেকেরই খাবার খাওয়ারও রয়েছে নিজস্ব একটা ধরণ। তবে ভোজনরসিকরা সচরাচর এতকিছু ভাবতে চান না। কিন্তু মুখের সঙ্গে একটু চোখ-কান খোলা রেখে খেয়াল করা যায়, তবেই জানা যায় মানব চরিত্রের গোপন কথাটি। কেমন করে? যেমন –
১. খুব তাড়াতাড়ি যাদের খাবার খাওয়ার অভ্যাস, তাদের জীবনের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারসাম্যের সমস্যা থাকে। তবে এমন মানুষরা আগে নিজেদের পরিবার-প্রিয়জনদের কথা ভাবেন তারপর নিজেদের কথা। আর কোনো কাজ হাতে নিলে তা সাফল্যের সঙ্গে সম্পূর্ণ করেন।
২. যাদের ধীরে ধীরে খাওয়ার অভ্যাস তারা সাধারণত একগুঁয়ে স্বভাবের হয়ে থাকেন। তবে জীবনের সমস্ত অভিজ্ঞতাকে সুন্দরভাবে উপভোগ করতে জানেন তারা। এই ধরণের মানুষ সবার আগে নিজের কথা ভাবেন তারপর বাকিদের কথা।
৩. অনেকে খাবারে বৈচিত্র্য পছন্দ করেন। এমন স্বভাবের মানুষ বাড়ি ও কর্মক্ষেত্রে বড় দায়িত্ব পালনে পারদর্শী হন। নেতৃত্ব দেওয়া তাদের স্বভাবজাত গুণ। তবে কোনো একটা জিনিস নিয়ে তারা সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না। আর বেশিরভাগ সময়ই সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগেন।
৪. অনেকে নিয়ম মেনে একই খাবার খান। এমন ব্যক্তিরা জীবনে পরিবর্তন পছন্দ করেন না। জীবনে কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম বানিয়ে নেন, আর সেই অনুযায়ী বাঁচেন। প্রতিকূল পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে ভালবাসেন।
কেউ ঝাল খেতে ভালবাসেন, কেউবা মিষ্টি। খাবারের এই পছন্দের উপরও নির্ভর করে মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য-
- যারা ঝাল খাবার খেতে পছন্দ করেন, তারা সবসময়ই নতুন কিছু করতে চান। চ্যালেঞ্জ নিতে এরা কখনও পিছপা হন না। বরং সমস্ত বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে বাঁচাটাই এমন মানুষদের কাছে সবচেয়ে বেশি সুখের।
- আর যারা মিষ্টি খেতে ভালবাসেন, তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মিশুকে হন। এই ধরণের মানুষ কথা বলতে খুবই ভালবাসেন। এমন মানুষজনই আবার মাংসজাতীয় খাবার ও অ্যালকোহল ভীষণ পছন্দ করেন।
- আবেগপ্রবণ লোকেরা বেশি জাঙ্কফুড খেতে ভালবাসেন। এমনকি তারা লুকিয়ে লুকিয়েও চিপস-চকলেটের মতো খাবার খেয়ে ফেলেন।
অবশ্য, মানব চরিত্র সদা পরিবর্তনশীল। আবার স্বাদও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টাতে থাকে। তাই এত বাছবিচার আপনি নাও করতে পারেন। আর পছন্দের খাবারটি পেলে মনের সুখেই তা খেয়ে ফেলতে পারেন।
/এসএস/
