ভ্রমণে শিশু ও প্রবীণদের যত্ন
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ০৭ মার্চ ২০১৯, ১৫:৫২
বছরের এই সময়টিতে টানা বেশ কিছু দিনের ছুটি পাওয়া যায়। তাই অনেকেই পরিবার নিয়ে বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে। এই সময়ে পরিবারে শিশু ও প্রবীণদের বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত। জেনে নিন কোন কোন বিষয়গুলো নজরে রাখা খুবই প্রয়োজন।
শিশুদের জন্য
বাচ্চার জন্য যথেষ্ট পরিমানে ডায়পার ও বেবি ওয়াইপস নিন। অনেকেই এখন ফোল্ডেবল ডায়পার চেঞ্জিং স্টেশন সঙ্গে রাখেন। এতে করে যাতায়াতের মাঝেই শিশুদের ন্যাপি বদলানো যায়।
এসি ব্ল্যাঙ্কেট বা শিশুদের ব্ল্যাঙ্কেট সাথে রাখুন। হালকা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় আরাম দেয়া থেকে শুরু করে বাচ্চাকে শোয়ানোর কাজে লাগে এগুলো।
লাগেজ তোলা, ট্রেন বা প্লেনে ওঠার সময়ে ফ্রন্ট স্লিং ব্যবহার করতে পারেন। এখন বাজারে ফোল্ডেবল জিনিস পাওয়া যায়। যেমন ইনফ্লেটেবল বাথটাব, কমোড সিটিং।
শিশুকে পরিষ্কারের জন্য ইনফ্লেটেবল বাথটাব ফুলিয়ে নিতে পারেন। আবার একটু বড় বয়সের শিশুর জন্য কমোডের উপরে বসিয়ে দিতে পারেন কমোড সিটিং।
ভ্রমণে অবশ্যই ইলেকট্রিক কেটল, ছোট রাইস কুকার নিন। প্রয়োজনে তাতেই সন্তানের খাবার বানাতে পারবেন। আবার ইমার্শন হিটার নিতে পারেন।
পাহাড়ি পথে অনেক শিশুর বমি করার প্রবণতা থাকে। যথেষ্ট পরিমানে পানিরোধক ব্যাগ সঙ্গে রাখুন।
প্রবীণদের যত্ন
ভ্রমণে প্রবীণ কেউ সাথে থাকলে অতিরিক্ত সময় হাতে নিয়ে বের হন। ফ্লাইটে গেলে চেক-ইনের সময়ে হুইলচেয়ারের কথা বলে রাখুন। যা ফ্লাইট পর্যন্ত পৌঁছে দেবে।
গাড়িতে ওঠা-নামার ব্যবস্থা, পা ছড়ানোর কতটা জায়গা রয়েছে তা দেখে নিন। বেড়ানোর ফাঁকে যথেষ্ট বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখুন। লং ড্রাইভে একাধিক বার বিরতি দিন।
বেশি উচ্চতায়, কিছু জঙ্গলে বা অ্যাডভেঞ্চার স্পোর্টসের ক্ষেত্রে প্রবীণদের নিয়ে যাওয়ার অনুমতি লাগে। তাই এ ক্ষেত্রে আগে থেকে জেনে নিন।
প্রবীণদের জন্য বমি, পেটখারাপ, জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জির ওষুধ নিয়ে নিন। তার সাথে মশায় তাড়ানোর ওষুধ, তুলা, মলম, ডিসইনফেক্ট্যান্ট জাতীয় প্রয়োজনীয় জিনিস রাখুন।
আরএ/