তর্ক মেটাবেন যে কৌশলে
জার্নাল ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ এপ্রিল ২০১৯, ১৩:৩১
মতবিরোধ বা তর্ক সামলানোর চেয়ে এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন অনেকে। কারণ তাতে ঝামেলা কম। অনেকে আবার, বিশেষ করে যাদের ধৈর্য ও যুক্তি কম আছে তারা মতবিরোধের বা তর্কের মধ্যেই ঝগড়া করে ফেলেন বা সব দায়ভার চাপিয়ে দেন অন্য মানুষটির উপর।
তবে মনোবিদদের মতে, মতবিরোধ বা তর্ক সামলাতে গেলে আগে দেখতে হয় তা তৈরির কারণ। আর তা সামলাতে গিয়ে কোন কোন পদক্ষেপ নিতে হবে তাও বুঝে নেয়াটা খুবই জরুরি।
তর্ক হলে যা করা ঠিক নয়
অশান্তি হবে বলে ব্যাপারটা নিয়ে ভাবা বন্ধ করে দেন অনেকে। যেন এ রকম কোনো ব্যাপারই ঘটেনি।
অন্যকে দোষারোপ করেন।
দোষারোপ করেন না, কিন্তু এমন ভাব করেন যাতে অন্য জন অপরাধবোধে ভুগতে শুরু করেন।
যার সঙ্গে মতবিরোধ তাকে হেয় করেন।
অন্যজনকে জোর করে নিজের মতে চালানোর চেষ্টা করেন।
পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে কথা বাড়ান না। কিন্তু কষ্ট পান।
মতের অমিল আছে বলেই ভাবেন না।
মনোবিদরা বলেন, এই সব ভাবনার কোনোটিই ঠিক নয়। এভাবে চিন্তা করলে ব্যাপারটা ধামাচাপা পড়ে যায় এবং ঠিক সমাধানে পৌঁছনো যায় না। আর তাতে সম্পর্কও খারাপ হয়।
তর্ক সামলানোর কৌশল
মতবিরোধ হলে উত্তেজিত না হয়ে শুনুন অন্যজন কী বলছেন। তার বক্তব্য ভাল করে বোঝার আগে নিজে কথা বলবেন না।
অপছন্দের কথা হলে চেষ্টা করুন রেগে না যেতে। খারাপ লাগতে পারে কিন্তু কষ্ট করে হলেও মেনে নিন। কারণ আবেগে যুক্তি হারিয়ে যাবে।
কথা বলার আগে একটু সময় দিন নিজেকে। এই সময় সব রকম একগুঁয়েমি ফেলে অন্য মানুষটির দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করুন।
প্ররোচনা থাকা সত্ত্বেও মাথা ঠাণ্ডা হওয়ার আগে কথা বলবেন না।
ভাল করে ভেবে দেখুন আপনি যেভাবে বিষয়টাকে দেখছেন অন্যজন কী কারণে সেভাবে দেখতে পারছেন না। ভুলটা তার হচ্ছে না আপনার? নাকি দুজনেই নিজের নিজের জায়গায় ঠিক?
সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে তাড়াহুড়ো করবেন না। যত ক্ষণ না ব্যাপারটাকে নিরপেক্ষ ভাবে ভেবে উঠতে পারবেন, সময় নিন।
নির্দিষ্ট সময় এবং জায়গা ঠিক করে তার সঙ্গে দেখা করে বলুন আপনি কী ভাবছেন এবং কী চাইছেন।
তার মাথা তখনো ঠাণ্ডা না হতে পারে। সে ক্ষেত্রে আপনিও মাথা গরম করলে ঝগড়া লাগার প্রবল সম্ভাবনা।
তার বক্তব্য বোঝার চেষ্টা করুন। সব শুনে–বুঝে নিজের বক্তব্য বলুন। কোন রাস্তায় সমাধান হবে তা দুইজনের কাছেই স্পষ্ট হওয়া দরকার।
আরএ/