আত্মপ্রেমিকেরা অন্যদের তুলনায় সুখী
লাইফস্টাইল ডেস্ক
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ১৯:৫৬ আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০১৯, ২০:০৩
আত্মপ্রেমিক বা নার্সিসিস্টরা অন্যান্যদের তুলনায় বেশি সুখী হয়ে থাকেন। এ ধরণের মানুষ বদমেজাজের কারণ হলেও মানসিক চাপে কম ভোগেন বলে জানাচ্ছে কুইন্স ইউনিভার্সিটি বেলফাস্টে চলমান এক গবেষণা।
গবেষক দলের মনোবিদ ডা. কোস্টাস পাপাজর্জিও বলেন, নার্সিসিজমের প্রতি নেতিবাচকতার কারণে নার্সিসিস্টরা নিজেরা যে সুবিধা ভোগ করে তা অনেক ক্ষেত্রে ঢাকা পড়ে যেতে পারে।
গবেষকরা বোঝার চেষ্টা করেন, ‘সামাজিকভাবে বিষাক্ত’ হলেও আধুনিক সমাজ, রাজনীতি, সামাজিক মাধ্যম এবং সেলিব্রেটি সংস্কৃতিতে কেনো এই নার্সিসিজম বা আত্মপ্রেম বেড়েই চলেছে।
খুবই কম লজ্জা বা অপরাধবোধ
নার্সিসিস্টদের যেভাবে বর্ণনা করা হয়, তারা হচ্ছে এমন মানুষ যারা ‘বিপজ্জনক আচরণ করে, নিজেদেরকে অযথাই অন্যের তুলনায় বড় মনে করে, অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী, অন্যের প্রতি খুব কম সহানুভূতি দেখায় এবং এদের লজ্জা এবং অপরাধবোধ খুব কম কাজ করে’।
এতসব নেতিবাচক বৈশিষ্ট্য থাকার কারণেও গবেষকরা জানার চেষ্টা করছেন যে, নার্সিসিজম এতো বেশি প্রকট কেনো এবং একে শাস্তি দেয়ার পরিবর্তে কেন পুরস্কৃত করা হয়।
সাইকোপ্যাথি, ম্যাকিয়াভেলিয়ানিজম এবং স্যাডিজমের পরে নার্সিসিজমকেই মনোবিদরা মানুষের মানসিক দিকের সবচেয়ে 'কালো বৈশিষ্ট্য' বা 'ডার্ক ট্রেইটস' হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
কিন্তু ডা. পাপাজর্জিও’র গবেষণায় ৭০০ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ অংশ নিয়েছেন। যা থেকে জানা গেছে যে, এটা সমাজের জন্য খারাপ হলেও একজন ব্যক্তি হিসেবে নার্সিসিস্টের জন্য ভালো।
তাদের মধ্যে অন্যকে ছোট দেখানোর একটা প্রবণতা এবং তাদের সংসর্গে মানসিক ক্ষতির আশঙ্কা থাকলেও এই ব্যক্তিত্ব তাদের নিজেদেরকে খারাপ লাগা প্রতিরোধক করে তোলে।
তাদের মানসিক চাপ কম থাকে এবং তারা জীবনকে চাপযুক্ত মনে করে না। আর এক্ষেত্রে তাদের আত্মবিশ্বাস এবং আত্মগুরুত্বের উচ্চমাত্রা তাদের মধ্যে এক ধরণের ‘সুরক্ষা’ প্রদানকারী গুণের বিকাশ ঘটায়।
এছাড়া নার্সিসিস্টদের মধ্যে যারা ‘বাগাড়ম্বরপূর্ণ’ স্বভাব থাকে তারা ‘স্ট্যাটাস এবং ক্ষমতা নিয়ে মগ্ন থাকে" এবং "তাদের মধ্যে নিজেকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভাবা’র বোধ কাজ করেন।
বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে