প্রতিদিন কতটুকু লবণ খাবেন?

রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই ডায়েট করার সময়ে খাবারে লবণের পরিমাণ কমিয়ে দেন। লবণ শরীরে পানিধারণ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে অনেকেই মনে করেন যে, এই পানির ওজনই শরীরের ওজন বাড়িয়ে দিচ্ছে।

এ বিষয়ে ডায়েটিশিয়ানরা জানান, বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নয়। লবণ খেলে শরীরে জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে ঠিকই। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, তার থেকে ওজনও অনেকটা বেড়ে যাবে। এমনকি যারা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাদেরও খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণে লবণ রাখতে হবে।

রাজধানীতে বৃহস্পতিবার যেসব মার্কেট বন্ধ  

একজন পূর্ণবয়স্ক সুস্থ মানুষের প্রত্যেক দিন এক চা চামচ লবণ খাওয়া উচিত। পাঁচ-ছয় গ্রাম লবণ খাদ্যতালিকায় রাখাই যায়। তবে কাঁচা লবণ খাওয়া যাবে না। বরং তা রান্নায় দিয়ে খেতে হবে। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপ বা কিডনির সমস্যায় দীর্ঘদিন ভুগলে কাঁচা লবন খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে লবণ ভেজে নিয়ে খেতে পারেন।

বাজারে অনেক ধরনের লবণ পাওয়া যায়। প্রত্যেকটিতেই সোডিয়াম থাকে। অনেকেই মনে করেন, সি সল্টে মিনারেল বেশি থাকে, তাই তা টেবিল সল্টের চেয়ে বেশি ভাল।

কিন্তু ডায়েটিশিয়ানরা বলছেন, অন্যান্য সল্টের তুলনায় টেবিল সল্ট খাওয়া বেশি ভাল। তার কারণ টেবল সল্ট রিফাইনড। বিশেষত মেয়েদের জন্য আয়োডাইজ়ড টেবল সল্ট খাওয়া ভাল। অন্য দিকে সি সল্ট যেহেতু সমুদ্রের জল বাষ্পীভূত করে তৈরি হয়, তাই মিনারেলের পরিমাণ সমুদ্র অনুসারে পৃথক হয়।

লবণের শতকরা ৯৭-৯৯ ভাগই হল সোডিয়াম ক্লোরাইড। ফলে লবণ খাওয়া বন্ধ করলে প্রথমেই সোডিয়ামের অভাব হবে। এর অভাবে নানা রকমের শারীরিক সমস্যা দেখা দেবে। হুট করে প্রেশার কমে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও বিরল নয়।

যেসব বিষয়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে -

যাঁরা রোজ কায়িক শ্রম বা ব্যায়াম বেশি করেন, তারা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মতো খাবারে লবণের পরিমাণ স্থির করুন। কারণ ঘামের মাধ্যমেও শরীর থেকে জল ও লবণ অনেকটাই বেরিয়ে যায়। ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স কম হলেও ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নিয়ে লবণের পরিমাণ বাড়াতে হতে পারে।

সাধারণ মাখন, চিজ়, পাউরুটি ইত্যাদি খাবারে কিছুটা পরিমাণে লবণ থাকে। তাই এই জাতীয় খাবার রোজকার খাদ্যতালিকায় থাকলে অন্য খাবারে লবণের পরিমাণ সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।

মাছ, মাংস বা ডিম থেকেও সোডিয়াম পাওয়া যায়। তবে রোজকার চাহিদা তাতে মেটে না। সেখানে অল্প লবণ অনেক সহজেই সেই ঘাটতি পূরণ করে।

বাজারচলতি প্যাকেটজাত খাবার যেমন, চিপস, নাচোজ় থেকে শুরু করে হ্যাম, সসেজ, সয় সস, টম্যাটো সসেও লবণ থাকে। এই ধরনের খাবারের বিষয়েও সচেতন হতে হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসবি