ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান গ্রাম

বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান গ্রাম

ভাসমান শহর বলতে ভেনিস-এর কথাই সকলের মনে আসে। তবে যদি বলা হয় ভাসমান গ্রাম! হ্যাঁ ভাসমান শহরের মত রয়েছে ভাসমান গ্রামও। তবে এই গ্রামটি ইতালিতে নয়। এটি অবস্থিত ব্রুনেইয়ে। এই গ্রামটিকে ডাকা হয় ক্যাম্পং আয়ের নামে। ক্যাম্পং আয়ের-এর মানেই হল ভাসমান গ্রাম।

প্রায় এক হাজার বছর আগে বাজাউ উপজাতিরা ব্রুনেই নদীর উপর নিজেদের বসতি গড়ে তুলেছিলেন। তার পর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তার বিস্তার ঘটেছে। এটি একটি আদর্শ গ্রামে রূপান্তরিত হয়েছে। এই গ্রামে প্রতিটি ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ, স্বচ্ছ পানীয়জলের ব্যবস্থাসহ রয়েছে ওয়াই-ফাই ব্যবস্থাও।

এখানে জলপথে এক গ্রাম থেকে আর এক গ্রামে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয় স্পিডবোট। এছাড়াও গ্রামটিতে রয়েছে থানা, ফায়ার ব্রিগেডের মতো জরুরি পরিষেবা । গ্রামের কোথাও আগুন লাগলে বা কোথাও অপরাধমূলক কাজ হলে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য স্পিডবোট ব্যবহার করে পুলিশ, দমকলবাহিনী। রয়েছে স্কুল, মসজিদ, রেস্তোরাঁ, পেট্রোল পাম্প, চিকিৎসাকেন্দ্র।

জানা গেছে প্রায় পাঁচশত বছর আগে পর্তুগিজ ফার্দিনান্দ ম্যাগেলান ভেনেজুয়েলার পণ্ডিত অ্যান্টোনিও পিগাফেটা এখানে ঘুরতে এসেছিলেন। ১৫২১ খ্রীষ্টাব্দে ব্রুনাইয়ের কাছে যাত্রা করেছিলেন তিনি। তখন অ্যান্টোনিয়া ও আশেপাশের গ্রামের মধ্যে সাদৃশ্য দেখতে পান তিনি।

প্রাচীন ব্যবসায়ীদের তৈরি নথি অনুযায়ী, হাজার বছরেরও আগে বাজাউ সি নোম্যাডস ব্রুনাই নদীর উপরে ঘর নির্মাণ করেছিলেন। সেই থেকেই ধীরে ধীরে এখানে এই বসতি গড়ে ওঠে।

ভাসমান গ্রামটির একমাত্র বন্দর সেরি বেগওয়ানে। একটি বিশাল আটত্রিশ কিলোমিটার কাঠে এবং কংক্রিটের দ্বারা তৈরি সাঁকো আশেপাশের গ্রামগুলির একমাত্র সংযোগকারী। এটিই বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান গ্রাম।

এখানে প্রায় ত্রিশ হাজার মানুষ বসবাস করে, যাদের মধ্যে বেশির ভাগই মৎস্যজীবী। এই গ্রামে সরকারি আবাসনও, স্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, থানা সবই রয়েছে এই ভাসমান গ্রামের মধ্যেই। নৌকাই এই গ্রামের প্রধান যানবাহন। তবে গ্রাম বললেও এখানে আধুনিকতার ছোঁয়া রয়েছে সর্বত্র। বিশ্বের বৃহত্তম ভাসমান এই গ্রামকে ‘পূর্বের ভেনিস’ নামেও অভিহিত করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত