ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

শেষ জীবনে শান্তিনিকেতনে কাটিয়েছিলেন লেখিকা লীলা মজুমদার

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯:০৫  
আপডেট :
 ০৫ এপ্রিল ২০২২, ০৯:৪৮

শেষ জীবনে শান্তিনিকেতনে কাটিয়েছিলেন লেখিকা লীলা মজুমদার
ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় বাঙালি লেখিকা লীলা মজুমদার বহু সংখ্যক বাংলা গল্প, প্রবন্ধ ও উপন্যাস রচনা করেছেন। তিনি তার সাহিত্যকর্মের জন্য নানান পুরস্কার ও সম্মানে ভূষিত হন। শেষ জীবনে শান্তিনিকেতনে কাটিয়েছেন তিনি।

তিনি কলকাতার রায় পরিবারের প্রমদারঞ্জন রায় ও সুরমাদেবীর সন্তান (বিবাহপূর্ব নাম লীলা রায়)। ১৯০৮ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রায় পরিবারের গড়পাড় রোডের বাড়িতে তার জন্ম। উপেন্দ্রকিশোর রায়চৌধুরী (যার পৈতৃক নাম ছিল কামদারঞ্জন রায়) ছিলেন প্রমদারঞ্জনের দাদা এবং লীলার জ্যাঠামশাই । সেইসূত্রে লীলা হলেন সুকুমার রায়ের খুড়তুতো বোন এবং সত্যজিৎ রায়ের পিসি।

লীলার বাল্যজীবন কাটে শিলঙে যেখানকার লরেটো কনভেন্টে তিনি পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজী পরীক্ষায় তিনি ইংরাজীতে সর্বোচ্চ নম্বর অর্জন করেন।

১৯৩৩ সালে লীলা বিবাহ করেন দন্ত চিকিৎসক ডাঃ সুধীর কুমার মজুমদারকে। এই বিবাহে তার পিতার প্রবল বিরোধিতা থাকা সত্ত্বেও তিনি তার স্বনির্বাচিত পাত্রকেই জীবনসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করেন। পিতৃপরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে সম্পর্ক অটুট থাকলেও পিতার সঙ্গে সম্পর্ক চিরকালের মতো ছিন্ন হয়। বিবাহিত জীবনে লীলা-সুধীর খুব সুখী দম্পতি ছিলেন। স্বামী আজীবন লীলার সাহিত্য চর্চায় উৎসাহী ছিলেন। তাদের এক পুত্র ডাঃ রঞ্জন মজুমদার ও এক কন্যা কমলা চট্টোপাধ্যায়।

১৯৫৬ সালে তিনি কলকাতা বেতারে যোগ দেন। ১৯৭৫ সাল থেকে তিনি পাকাপাকি ভাবে শান্তিনিকেতনে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই ২০০৭ সালের ৫ এপ্রিল তার মৃত্যু হয়।

তার প্রথম গল্প লক্ষ্মীছাড়া ১৯২২ সালে সন্দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ১৯৬১ সালে সত্যজিৎ রায় সন্দেশ পত্রিকা পুনর্জীবিত করলে তিনি ১৯৬৩ থেকে ১৯৯৪ অবধি সহ-সম্পাদক হিসাবে পত্রিকাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৯৪ সালে তার স্বাস্থ্যের অবনতির জন্য অবসর নেন। তার সাহিত্যিক জীবন প্রায় আট দশকের।

ছোটদের জন্য তার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য রচনা হল- হলদে পাখির পালক, টং লিং, পদিপিসির বর্মিবাক্স, নাকু গামা সব ভুতুড়ে, মাকু, গল্পসল্প

সাহিত্যিক বুদ্ধদেব বসুর তাগিদে তার প্রথম বড়দের গল্প ‘সোনালি রুপালি’ প্রকাশিত হয় ‘বৈশাখী’ পত্রিকায়। তিনি অনেক শিক্ষামূলক রচনা ও রম্যরচনা ইংরেজী থেকে বাংলায় অনুবাদও করেন।

পাকদণ্ডী নামে তার লেখা আত্মজীবনীতে তার শিলঙে ছেলেবেলা, শান্তিনিকেতন ও অল ইন্ডিয়া রেডিওর সঙ্গে তার কাজকর্ম, রায়চৌধুরী পরিবারের নানা মজার ঘটনাবলী ও বাংলা সাহিত্যের মালঞ্চে তার দীর্ঘ পরিভ্রমণের কথা বর্ণিত হয়েছে।

তার প্রথম আত্মজীবনী 'আর কোনখানে'-এর জন্য ১৯৬৯ সারে রবীন্দ্র পুরস্কার পান।

লীলা মজুমদার তার কর্মের জন্য নানা রকম পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে- আনন্দ পুরস্কার, ভারত সরকারের শিশু সাহিত্য পুরস্কার, সঙ্গীত নাটক অ্যাকাডেমি পুরস্কার ( ১৯৫৯) ('বক বধপালা’ নাটকের জন্য), রবীন্দ্র পুরস্কার, বিদ্যাসাগর পুরস্কার, ভুবনেশ্বরী পদক, ভুবনমোহিনী দাসী সুবর্ণ পদক, দেশিকোত্তম ডি-লিট।

বাংলাদেশ জার্নাল/পিএল

  • সর্বশেষ
  • পঠিত