ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

পাকিস্তানের দর্শনীয় যত স্থান

  ফিচার ডেস্ক

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:০৩  
আপডেট :
 ২১ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৬:০৯

পাকিস্তানের দর্শনীয় যত স্থান
ওয়াজির খান মসজিদ। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানে রয়েছে অতুলনীয় সুন্দর দর্শনীয় অনেক স্থান। পাকিস্তান আকর্ষণীয় স্থানের প্রাচুর্য্যে পরিপূর্ণ।

আজকের প্রতিবেদনে দেখব এমনই কিছু ঐতিহ্যবাহী স্থানের তালিকা।

মহেঞ্জোদাড়ো

মহেঞ্জোদারো ছিল প্রাচীন ভারতের সিন্ধু সভ্যতার বৃহত্তম নগর-বসতিগুলির মধ্যে অন্যতম। এটি অধুনা পাকিস্তান রাষ্ট্রের সিন্ধু প্রদেশের লারকানা জেলায় অবস্থিত। ২৬০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ নাগাদ নির্মিত এই শহরটি ছিল বিশ্বের প্রাচীনতম শহরগুলির অন্যতম এবং প্রাচীন মিশর, মেসোপটেমিয়া ও ক্রিটের সভ্যতার সমসাময়িক।

তক্ষশীলা

তক্ষশীলা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের রাওয়ালপিন্ডি জেলায় অবস্থিত শহর এবং একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। তক্ষশীলার অবস্থান ইসলামাবাদ রাজধানী অঞ্চল এবং পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডি থেকে প্রায় ৩২ কিলোমিটার (২০ মাইল) উত্তর-পশ্চিমে; যা গ্রান্ড ট্রাঙ্ক রোড থেকে খুব কাছে।

নীলম ভ্যালি

কাশ্মীরে (পাকিস্তান-শাসিত) অবস্থিত ১৪৪ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি বো-শেপড (ধনুক আকৃতি) উপত্যকা এটি। কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফ্ফরাবাদের উত্তর উত্তর-পূর্ব দিকে হিমালয়ের কোল ঘেঁষে এটি অবস্থিত। নীলম নদীবিধৌত এই উপত্যকাটি অনাবিল প্রকৃতিক সৌন্দর্যের আধার। এর রয়েছে অনন্য প্যানারমিক ভিউ। সশব্দে বয়ে চলা এই পাহাড়ি নদীটির দুই পাড়ে উঁচু পর্বতশ্রেণি, ঘন সবুজ অরণ্য আর দৃষ্টিনন্দন প্রাকৃতিক সুষমা আপনাকে নিয়ে যাবে স্বপ্নের কোনো এক দেশে।

হুনজা ভ্যালি

গিলগিট-বালটিস্তান প্রদেশের একটি পাহাড়ি উপত্যকা এটি। হুনজা নদীর উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত এটি একটি রাজসিক উপত্যকা। আড়াই হাজার মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই উপত্যকাটির রয়েছে তিনটি ধাপ- উচ্চতর হুনজা (গোজাল), কেন্দ্রীয় হুনজা এবং নিম্নতর হুনজা। নয়নাভিরাম এই উপত্যকায় দেখার মতো অনেক কিছু পাবেন ভ্রমণেচ্ছুরা।

কঙ্গন ভ্যালি

মনসেহরা জেলার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত একটি ভ্রমণবান্ধব আর দৃষ্টিনন্দন উপত্যকা কঙ্গন ভ্যালি। পাকিস্তানের এই আকর্ষণীয় স্থানটি দেখার জন্য সারা পৃথিবী থেকে ভ্রমণপিপাসুরা ছুটে আসেন। মনোমুগ্ধকার প্রাকৃতিক বৈভব-মোড়া এই উপত্যকাটি হাজারা বিভাগের অন্যতম দর্শনীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত। অসাধারণ সব লেকের সমাহার আছে এখানে- আছে লুলু সার, দুদিপাত সার আর সাইফুল মুলক লেক, আছে বাবুসার গিরিপথ এবং আরো অনেক অনেক কিছু।

বাদশাহী মসজিদ

বাদশাহী মসজিদ পাকিস্তানের লাহোরে অবস্থিত পাকিস্তান ও দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ এবং পৃথিবীর পঞ্চম বৃহত্তম মসজিদ। ষষ্ঠ মুঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব ১৬৭১ সালে এই মসজিদটি নির্মাণ করেন এবং ১৬৭৩ সালে নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়। এই মসজিদ সৌন্দর্যের দিক থেকে মুঘল সম্রাজ্যের স্মৃতি বহন করে।

ওয়াজির খান মসজিদ

ওয়াজির খান মসজিদ পাকিস্তানের পাঞ্জাবের লাহোরে অবস্থিত একটি মুঘল যুগের মসজিদ। সম্রাট শাহজাহানের শাসনামলে ১৬৩৪ সালে এই মসজিদ নির্মাণ শুরু হয় এবং ১৬৪২ সালে নির্মাণ শেষ হয়। মুঘল যুগের মসজিদসমূহের মধ্যে এটি সবচেয়ে সুসজ্জিত হিসেবে স্বীকৃত।

মুরী পাহাড়

এ পাহাড় গরমের ছুটিতে আপনাকে ডাকবে। রাওয়ালপিন্ডি জেলার সাব-ডিভিশন মুরীতে অবস্থিত এই গ্রীষ্মের অবকাশযাপন কেন্দ্রটি। সারা পৃথিবী থেকে এখানে পর্যটকরা গরমের সময় আসেন ছুটি কাটাতে আর শীতে আসেন এখানকার আশ্চর্য-সুন্দর তুষারপাত দেখতে।

জিয়ারাত

পাকিস্তানের বেলুচিস্তান প্রদেশের জিয়ারাত জেলার রাজধানী জিয়ারাত। পাহাড়বেষ্টিত নয়নাভিরাম এই নগরটি ভ্রমণপ্রিয়দের কাছে এক পছন্দের ঠিকানা।

শাহজাহান মসজিদ

শাহজাহান মসজিদ পাকিস্তানের একটি বিখ্যাত মসজিদ। এটি মধ্যযুগের একটি অনন্য স্থাপত্যিক নিদর্শন। মোগল সম্রাট শাহজাহানের আমলে ১৬৪৭ খ্রিষ্টাব্দে মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। সুন্দর এ মসজিদ লাল ইট ও নীল টালিতে তৈরি।

করাচী

করাচী পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। এটি পাকিস্তানের প্রাক্তন রাজধানী ছিল। এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে জনবহুল শহর এবং বিশ্বের মধ্যে পঞ্চম জনবহুল শহর।

শান্দুর পাস (গিরিপথ)

এখানে অবস্থিত পৃথিবীর সর্বোচ্চ পোলো গ্রাউন্ড। যার উচ্চতা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৭৩৮ মিটার। প্রতি গরমে এক জমজমাট পোলো ফেস্টিভ্যাল অনুষ্ঠিত হয় এখানে। চিত্রল আর গিলগিটকে এক করেছে এই শান্দুর গিরিপথ।

মেহেরগড়

মেহরগড় সভ্যতা ৭০০০খ্রীষ্টপূর্ব থেকে ৩২০০ খ্রীষ্টপূর্ব আবিস্কৃত হয়েছে। মেহেরগড় সভ্যতা ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে জাঁ ফ্রাঁসোয়া জারিজ এবং রিচার্ড মিডৌ আবিস্কার করেন। এখন এটি বিশ্বের প্রাচীনতম সভ্যতা হিসাবে পরিচিত।

হরপ্পা

হরপ্পা পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের একটি প্রত্নস্থল। এটি সাহিওয়াল থেকে ৩৫ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত। প্রত্নস্থলটি রাভী নদী (রাভি নদীর) পুরনো খাতের ধারে অবস্থিত একটি স্থানীয় গ্রামের নামাঙ্কিত। হরপ্পার বর্তমান গ্রামটি প্রত্নস্থল থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। আধুনিক হরপ্পা ব্রিটিশ আমল থেকেই একটি ট্রেন স্টেশন। কিন্তু এটি একটি ছোটো পাকিস্তানি শহরমাত্র।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত