ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভ্রমণ করুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে

  ভ্রমণ ডেস্ক

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৬:১৯  
আপডেট :
 ২৬ নভেম্বর ২০২০, ১৬:৫২

ভ্রমণ করুন স্বাস্থ্যবিধি মেনে
ছবি: কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত (সংগৃহীত)

স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ভ্রমণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একঘেয়েমি জীবনের অবসরে ঘুরতে যাওয়ার মজাই আলাদা। বছরের বিভিন্ন সময়ে পছন্দ মতো নানান জায়গায় ঘুরতে যায় আমরা। ঘুরতে যাওয়ার আনন্দের সেই সময় গুলোতে নতুন নতুন জিনিস দেখার, অনেক কিছুর নতুন শেখার অভিজ্ঞতাও হয় আমাদের। কিন্তু এ বছর করোনার কারণে ঘুরতে যাওয়ার জায়গাগুলো বন্ধ ছিলো।

দীর্ঘদিন করোনার কারণে বন্ধ থাকার পর এবার খুলে দেয়া হয়েছে সেন্টমার্টিন, কক্সবাজার, সুন্দরবনসহ দেশের প্রায় সব পর্যটনকেন্দ্র। তবে চলছে করোনার দ্বিতীয় ধাপ। এই সময়ে ঘুরতে গেলে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি।

সরকার ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে বলেই যে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, তা কিন্তু নয়। নিজেদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এটি মানতে হবে। এছাড়া আপনি আক্রান্ত হলে শুধু আপনি নয়, আপনার পরিবার বা কাছের মানুষেরও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।

ঘুরতে গেলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি তার অন্যতম হলো– শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। আর পুরো ভ্রমণেই মাস্ক পরতে হবে। অবশ্য সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে। না পরলে জরিমানাও গুনতে হবে। এছাড়া হাত সবসময় জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। এ জন্য হাতের কাছে বা পকেটে সবসময় জীবাণুনাশক স্প্রে রাখুন।

ছবি: কক্সবাজার (সংগৃহীত)

আপনি বাস, ট্রেন, লঞ্চ বা বিমান যে মাধ্যমেই ভ্রমণ করুন না কেন, নিজের আসনটি অবশ্যই জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করুন। হোটেলের বিছানাও জীবাণুনাশক দিয়ে স্প্রে করুন। অথবা রুমটি জীবাণুমুক্ত কি না তা অবশ্যই নিশ্চিত হয়ে নিন। রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে সেটিও কতটা জীবাণুমুক্ত তা জেনে নিন। সব চেয়ে ভালো হয় চলাফেরায় সবসময় আপনার সঙ্গে রাখুন জীবাণুনাশক স্প্রে।

আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান জার্নাল ‘নেচার’-এর সাম্প্রতিক সংখ্যায় একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে– হোটেল, রেস্তোরাঁ ও জিমনেশিয়ামে কোভিড সংক্রমণ হওয়ার ঝুঁকি বেশি। গত মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত আমেরিকার বিভিন্ন শহরে গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পেয়েছে স্টানফোর্ড ও নর্থওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়। সুতরাং বলার অপেক্ষা রাখে না যে, হোটেল-রেস্টুরেন্টে খেতে গেলে কতটা সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

ছবি: সেন্টমার্টিন (সংগৃহীত)

সম্প্রতি সেন্টমার্টিনের পরিবেশ-প্রতিবেশ রক্ষায় ছয় ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। কারণ সেন্টমার্টিনের ছেঁড়াদ্বীপ অংশে এখনও কিছু সামুদ্রিক প্রবাল জীবিত আছে। এসব প্রবাল সংরক্ষণের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, এখন থেকে সেন্টমার্টিনের সৈকতে কোনো ধরনের যান্ত্রিক যানবাহন যেমন মোটরসাইকেল ও ইঞ্জিনচালিত গাড়ি চালানো যাবে না। রাতে আলো বা আগুন জ্বালানো যাবে না।

সুন্দরবন

ছবি: সুন্দরবন (সংগৃহীত)

অন্যদিকে ১ নভেম্বর থেকে পর্যটকদের জন্য খুলেছে সুন্দরবন। তবে এখন থেকে সুন্দরবন ভ্রমণ করতে মানতে হবে ৫টি শর্ত। শর্তগুলো হলো– কোনো ট্রলারে ২০ জনের বেশি পর্যটক বহন করা যাবে না। পর্যটকরা খাদ্য ছাড়া অন্য কোনো পণ্য বহন করতে পারবেন না। প্রতিটি ট্রলারে স্যানিটাইজ ও বর্জ্য ফেলার ঝুড়ি রাখতে হবে। কোনো ট্রলারে মাইক বা সাউন্ডবক্স ব্যবহার করা যাবে না।

বিশ্বের সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত কক্সবাজার ও সর্ববৃহৎ একক ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন। আরও আছে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের সৈকতপাড় কুয়াকাটা, বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদসহ নানা প্রাকৃতিক ও ঐতিহ্যের দর্শনীয় স্থান। এ ছাড়া এ দেশের আদিবাসীদের বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি আমাদের ঐতিহ্যের ভাণ্ডারে যোগ করেছে ভিন্নমাত্রা।

ছবি: কুয়াকাটা সূর্যাস্ত (সংগৃহীত)

যারা সমুদ্র দেখতে পছন্দ করেন, তাদের সবার আগে যাওয়া উচিত কক্সবাজার। এটি পৃথিবীর সর্ববৃহৎ সমুদ্রসৈকত। এর পাশেই আছে সেন্টমার্টিন দ্বীপ। অথবা যেতে পারেন সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দেশ কুয়াকাটা। অন্যদিকে পাহাড় যাদের কাছে টানে, তারা যেতে পারেন রাঙ্গামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি। পাহাড়, অরণ্য আর আদিবাসীদের বর্ণিল সাজে সজ্জিত এ জনপদ।

এছাড়া হরিণের রাজ্য দেখতে হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ, পাখির রাজ্য দেখতে সিলেটের হাওর ও ভোলা-নোয়াখালীর উপকূলের বিভিন্ন কদাচর যেতে পারেন। আর চাইলে আপনি আপনার জেলাটাই ঘুরে দেখতে পারেন শীতের এ মৌসুমে। কারণ আমাদের প্রতিটি জেলারই রয়েছে নানারকম ঐতিহ্য ও দর্শনীয় স্থান।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত