ফকির রাসেল-এর দুটি গীতি কবিতা
মাতৃবন্দনা
আমি আবার জন্ম নেব মাতৃকুলে
দেখব মা কে নয়ন মেলে
হবো মায়ের সোনার ছেলে
এই ভেবে দিন গেল চলে।।আছে যারা মায়ের ছেলে
মা কখন ও দুঃখ পেলে
রাতদিন সে যায়রে ভুলে
পরে থাকে চরণ তলে।।থাকে না মা রঙমহলে
দেখে শুধু দু'চোখ মেলে
তার ছেলেরা কি হালে
ঘুরছে সদা ভুমণ্ডলে।।ঘুরলাম কত মনের বলে
তারপরেও অন্তর জ্বলে
পৌষ মাঘের শীতের কালে
কাতা কম্বল নাহি মিলে।।মা বলে মোর সোনার ছেলে
তোকে ছেড়ে যাব চলে
ঘুরবি সেই দিন বনজঙ্গলে
ডাকবি কাকে মা বলে।।মা গো তুমি ছিলে বলে
ছিল না ভয় মানব কূলে
আজ কেন যেতে চাও চলে,
সন্তানেরে একা ফেলে।।পতিতা
আমি দেখেছি সেই পতিতার প্রতিধ্বনি
আমি শুনেছি তার কণ্ঠে বস্র হারার মর্ম কাহিনি
কত শত লোকে প্রতিদিনই করে তার দেহ কুলখানি।।মনের স্বাদ মিটার পরে
ফেলে যায় জামা কাপর ছুড়ে
আসে না কভু তার দুয়ারে ফিরে
দেখে না কেমনে যায় বেশ্যার দিন রজনী।।
আমি শুনেছি তার কণ্ঠে বস্ত্র হারার মর্ম কাহিনি।।সে ও তো চায় ঘর বাঁধিতে
কোন এক বীরপুরুষের সাথে
জন্মে তো সে বেশ্যা নয় ধরাতে
তবে কেন অহংকারের হানাহানি।।
আমি শুনেছি তার কণ্ঠে বস্ত্র হারার মর্ম কাহিনি।।এক দুইশত টাকার বিনিময়ে
অমূল্য ধন তার যাও লুটিয়ে
হাশ মিটিয়ে তারে আসে কয়ে
তুই তো এই সমাজের কলঙ্কিনি।।
আমি শুনেছি তার কণ্ঠে বস্ত্র হারার মর্ম কাহিনি।।আমি দেখেছি সমাজে কতো ভদ্রলোক
তার সাথে রাত বেরাতে কুকর্মে পায় সুখ
তখন কি মনে পড়ে না সে সমাজের রোগ
ঘরের রমণী করিলে তারে বদলে যেত তার জীবন কাহিনি।।
আমি শুনেছি তার কণ্ঠে বস্ত্র হারার মর্ম কাহিনি।।বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ