অনুগল্প: কিম্ভুতকিমাকার
জাহিদুল কবির রিটন
প্রকাশ : ০৭ অক্টোবর ২০১৯, ১৬:২৪
পকেটের অবশিষ্ট টাকা দিয়ে দুই কেজি চাল আর এক কেজি আলু কিনতেই সব ফুরিয়ে গেল। আগামী দিনগুলোতে সংসার কিভাবে চলবে সে জানে না।শুধু সে নয়,তার দুই কর্মচারী; ঘোর অনিশ্চয়তা সোলায়মানদের চোখে মুখে।
সরকারি জায়গায় ছিল সোলায়মানের ছোট ভাতের হোটেল।দিন-মজুরদের কাছে হোটেলটি ছিল পছন্দের তালিকার শীর্ষে।
শান্তিতে ছিল সে;ব্যাবসা,বউ,স্কুলগামী দুই ছেলে-মেয়ে আর দুধের কন্যা সন্তানটিকে নিয়ে।
আচমকা এলো ঝড়। একদিনের নোটিশে বুলডোজার তছনছ করে দিল তার হোটেলটি সহ সেখানকার সবকিছু।
প্রতিবাদ ও হট্টগোলেই অনূগ্রহের দেয়া নির্ধারিত সময়ের অনেকটাই চলে গিয়েছিল।সবকিছু সরাবার সুযোগও পাওয়া যায়নি অবশেষে।
সেখানে নির্মিতব্য গণশৌচাগারটা নানা ভঙ্গিতে ভেসে উঠছে সোলায়মানের চোখে ।