ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ মিনিট আগে
শিরোনাম

ভুয়া সঞ্চয়পত্র দিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ দম্পতি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১১ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৩২  
আপডেট :
 ১১ জানুয়ারি ২০২০, ১৬:৩৫

ভুয়া সঞ্চয়পত্র দিয়ে টাকা আত্মসাৎ
ছবি: সংগৃহীত

গত কয়েকবছরে অন্তত আট কোটি ৬৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এক দম্পতি। এই দম্পতি বিভিন্ন সময় ২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে দুটি বেসরকারি ব্যাংক থেকে টাকাগুলো হাতিয়ে নেয়। সর্বশেষ তাদের গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

শনিবার সিআইডির সদর দপ্তরে সিআইডির ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াডের অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. ফারুক হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- এইচ এম এ বারিক ওরফে বাদল ওরফে বাদল হাওলাদার ওরফে মোস্তাক আহমেদ এবং তার স্ত্রী মরশিদা আফরীন।

সিআইডি জানায়, ব্যাংক কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তারা ভুয়া সঞ্চয়পত্র জমা দিয়ে টাকা আত্মসাৎ করেছে।

তদন্তের বিষয়ে সিআইডি কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন, ‘২০০৪ সাল থেকে একটি প্রতারক চক্র ২১টি ভুয়া সঞ্চয়পত্র তৈরি করে এর বিপরীতে এবি ব্যাংক ও ট্রাস্ট ব্যাংক থেকে আট কোটি ৬৫ লাখ টাকা ঋণ নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি শাখার তৎকালীন ম্যানেজার জড়িত ছিল।’

অভিযুক্ত দম্পতি জালিয়াতি করে ঢাকায় একাধিক বাড়ি ও অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দম্পতির ব্যাংক হিসাবে জালিয়াতি করে উপার্জিত দুই কোটি টাকার সন্ধান পেয়েছি। এছাড়াও তাদের নামে গুলশান-২ এ প্রায় ১০০ কোটি টাকা মূল্যে একটি ৯ তলা বাড়ি, একাধিক ফ্ল্যাট, গাড়ি ও জমির তথ্য পেয়েছি।’

তিনি জানান, ২০০৪ সালে এবি ব্যাংক থেকে এভাবে জালিয়াতি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার ঘটনায় একটি মামলা করা হয়। ওই মামলায় এবি ব্যাংকের ধানমন্ডি ব্রাঞ্চের তৎকালীন ম্যানেজার আসিরুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০০৬ সালে তিনমাস কারাভোগ করেন তিনি। পরবর্তীতে সে জামিনে মুক্ত হলে হৃদরোগে মারা যান। তবে এর সঙ্গে ব্যাংকের আর কোনো কর্মকর্তা জড়িত আছে কি না? তা তদন্ত করে দেখছে সিআইডি।

ব্যাংক থেকে ভুয়া সঞ্চয়পত্র দিয়ে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের এই ঘটনায় দুদক ২০০৪, ২০১১ ও ২০১৬ সালে ঢাকার গুলশান, ধানমন্ডি, উত্তরা পশ্চিম ও মোহাম্মদপুর থানায় সাতটি মামলা দায়ের করে। মামলাগুলো সিআইডি তদন্ত করছে বলে জানান তিনি।

সিআইডি জানিয়েছে, চক্রটির মূলহোতা একজন শিল্পপতি। তার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে ব্যবসা ছিল। তবে তদন্তের স্বার্থে ওই শিল্পপতির নাম গোপন রেখেছে সিআইডি। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে তারা। শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/এইচকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত