ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাক্ষাৎকারে কৃষকলীগ সভাপতি

মুজিববর্ষে কৃষকদের স্বাস্থ্যসেবা দেবে কৃষকলীগ

  তৌফিক ওরিন

প্রকাশ : ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৫০  
আপডেট :
 ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:০০

মুজিববর্ষে কৃষকদের স্বাস্থ্যসেবা দেবে কৃষকলীগ
ছবি: সৈয়দ মেহেদী হাসান

কৃষকলীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র। তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক শিক্ষার্থী। ১৯৮৩ সালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৮৭ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদের আজীবন সদস্য হন। ১৯৯২ সালে পরিষদের কেন্দ্রীয় প্রচার সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং কৃষিবিদ ইনস্টিটিটের আজীবন সদস্যপদ লাভ করেন।

১৯৯৭ সালে তিনি বিপুল ভোটের ব্যবধানে কৃষিবিদ ইন্সটিটিউট ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক পদে জয়লাভ করেন এবং বাংলাদেশ কৃষক লীগের কৃষি উপকরণ বিষয়ক সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০২ সালে তিনি কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হন।

রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক সফলতার ধারাবাহিকতায় কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ২০১২ সালে কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটের পর পর দু’বার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।

সম্প্রতি কৃষকলীগের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থাসহ দলের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ জার্নালের সাথে কথা বলেন কৃষকলীগ সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন তৌফিক ওরিন

বাংলাদেশ জার্নাল: কৃষকলীগের বর্তমান সাংগঠনিক অবস্থা কেমন?

সমীর চন্দ্র: মূলত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমাদের তৃণমূলে অর্থাৎ গ্রাম ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কমিটি নেই। সেজন্য আমরা কাজ শুরু করেছি। জেলাগুলোকে পুনর্গঠন করার কাজ শুরু করেছি। জেলায় জেলায় বর্ধিত সভা করে থানার নেতাদের উদ্বুদ্ধ করছি। থানাগুলোকে ইউনিয়ন কমিটি গঠনের জন্য কিংবা ইউনিয়নগুলিকে পুনর্গঠন বা সম্মেলন করার জন্য বলছি। এগুলো করে আমরা ওয়ার্ড কমিটিতে নেমে যাবো। ওয়ার্ড ও গ্রাম কমিটি করা খুবই কঠিন কাজ। সর্বোপরি এই উদ্যোগটা আমরা শুরু করছি। জেলায় জেলায় বর্ধিত সভা হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে থানায় বর্ধিতসভা হচ্ছে। আমি নিজে ১৭টি জেলার বর্ধিত সভায় অংশ নিয়েছি। এছাড়া আমাদের প্রায় ৪২টি জেলার বর্ধিত সভা সম্পন্ন হয়েছে। আমাদের টার্গেট আগামী ৩০ মার্চের মধ্যে ৯০ শতাংশ জেলা কমিটির বর্ধিত সভা সম্পন্ন করবো। মূলত, যে জেলাগুলোতে সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল সেই জেলাগুলোতেই আমি নিজে যাচ্ছি।

আমাদের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলাকে ৩টি ভাগে ভাগ করেছি। সাংগঠনিকভাবে মোটামুটি যেগুলো ভালো সেগুলোকে এ গ্রেড অর্থাৎ জেলা, থানা ও ইউনিয়ন কমিটি যেগুলোর রয়েছে। যেগুলোর শুধুমাত্র জেলা এবং থানার সংগঠন বা কমিটি রয়েছে কিন্তু ইউনিয়ন কমিটি নাই সেগুলোকে বি গ্রেডে ভাগ করেছি। যে জেলাতে থানা বা ইউনিয়ন কমিটি নেই সেগুলোকে সি গ্রেডে ভাগ করেছি। আগাদের টার্গেট সি গ্রেডগুলোকে বি গ্রেডে, বি গ্রেড গুলোকে এ গ্রেডে এবং এ গ্রেডের জেলাগুলোকে এ প্লাস ক্যাটাগরিতে উন্নতি করা। ওয়ার্ড সংগঠন যখন হতে তখন ওই জেলাকে ৮০ শতাংশ মার্ক দিতে পারবো। কৃষকলীগকে ১০টি অঞ্চলে ভাগ করেছি। ১০ জন সমন্বয়ককে আমরা দায়িত্ব দিয়েছি, সাথে সদস্য ও অন্যান্য টিম মেম্বার রয়েছে। ওইসব অঞ্চলে যারা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা রয়েছেন তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ করছি এবং কৃষকলীগ করার ক্ষেত্রে সহায়তা পাওয়ার অঙ্গীকারটুকু আদায় করে নিচ্ছি। শীর্ষ নেতাদের একনলেজমেন্ট নিয়ে যুদ্ধে নামলে সংগঠন করাটা ইজি হয়। এখন মোটামুটিভাবে কৃষকলীগ হাঁটা শুরু করেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: কৃষক লীগে আপনারা কেমন ধরণের নতুনত্ব এনেছেন?

সমীর চন্দ্র: যারা বর্তমানে কৃষক লীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক হয়েছি, আমরা গত কমিটিতেও ছিলাম। ওই কমিটির সকলে কম বেশি সাংগঠনিক দক্ষতাসম্পন্ন ছিলো। আমি মনে করি প্রতিটা কাজের একটি সঠিক পরিকল্পনা থাকা দরকার। সেই জায়গায় আগে একটু ঘাটতি ছিলো। সে কারণেই দক্ষ সংগঠকরা কিছুটা বিচলিত ছিলো। এবার আমরা সঠিক মানুষকে সঠিক কাজে ব্যবহার করবো। কৃষকলীগ এখন নড়েচড়ে বসেছে। দায়িত্ব নেয়ার পর আমরা কৃষকলীগ অফিসকে আমরা প্রযুক্তি নির্ভর করেছি। ফোন, ফ্যাক্স, কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ওয়াইফাই সিসি ক্যামেরা এবং ডাটাবেজ করার কাজের জন্য যত প্রস্তুতি নেয়া দরকার সব আমরা করেছি। আমরা প্রত্যেক সাংগঠনিক ইউনিটকে ডাটাবেজের আওতায় নিয়ে আসার কার্যক্রম চলছে। এরমধ্যে ২৭টি জেলার ডাটা এন্ট্রি হয়ে গেছে। আমরা মার্চের মধ্যেই জেলা কমিটির ডাটাবেইজ শেষ করবো। এরপর থানা কমিটির ডাটাবেজ করবো।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনাদের কেন্দ্রীয় কমিটির পূর্ণাঙ্গ তালিকা কবে নাগাদ প্রকাশ হতে পারে এবং কমিটিতে কারা কারা আসতে পারেন?

সমীর চন্দ্র: বিগত বছরের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কাউন্সিল সম্পন্ন হয়েছে। কাউন্সিলের দ্বিতীয় অধিবেশনে সকলের মতামতের ভিত্তিতে আমাকে সভাপতি এবং উম্মে কুলসুমকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ওই সময়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আমাদের ৭ দিনের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। একদিন পরেই আমরা দলের সাবেক নেতাদের নিয়ে বসে সিদ্ধান্ত নিলাম এবং জানিয়ে দিলাম কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আগ্রহীদের বায়োডাটা আহ্বান করলাম। সাতদিনের মধ্যে ৬৭১টি বায়োডাটা জমা পড়েছে। এগুলো আমরা ৮টি বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত যেসব সাবেক নেতা ছিলেন তাদের সাথে আমরা আলাপ করেছি। জেলাগুলো থেকে কারা কারা কেন্দ্রীয় কমিটিতে আসার যোগ্যতা রাখে, তাদের মতামত আমরা নিয়েছি। আমাদের যে বায়োডাটা জমা পড়েছে, সবগুলোই ওই সময়ে স্টাডি করেছি। এরপর আমরা দেখতে পেলাম, বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক পেয়েছেন এমন ৬ জনের বায়োডাটা জমা হয়েছে। তারমধ্যে আমরা ৪ জনকে খসড়া কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেছি।

আমাদের কৃষক লীগের এবার একজন নারী নেত্রী সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। বাংলাদেশের মোট কৃষকের প্রায় অর্ধেক কৃষাণী। সুতরাং আমরা একমত হয়েছি যে গতবারের কমিটিতে যে কয়জন নারী নেত্রী ছিলেন কমপক্ষে এবার তার দ্বিগুণ আমরা নেবো। এবারে আমরা ১৫ জনের মত নেত্রীকে খসড়া কমিটিতে রেখেছি। সাবেক ছাত্রনেতা অনেকেই বায়োডাটা জমা দিয়েছেন যারা বিভিন্ন কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন। ওখান থেকে আমরা ৬/৭ জনকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে রাখার বিষয়ে চিন্তা করেছি। বিভিন্ন জেলার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বা যাদের কৃষকলীগের রাজনৈতিক বয়স প্রায় ২৫/২৬ বছর হয়েছে, যারা জীবনযুদ্ধে শেষ সায়াহ্নে চলে এসেছেন, তাদেরকে কেন্দ্রীয় কমিটিতে এনে সম্মানিত করার চেষ্টা করেছি। আর যারা খুব বেশি বয়স যাদের হয়ে গেছে তাদের উপদেষ্টা পরিষদে নিয়ে গিয়েছি। আমরা নবীন প্রবীণ মিলিয়ে প্রত্যেকটা ত্যাগী নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে ২৩ দিনের মথায় নেত্রীর কাছে খসড়া আকারে জমা দিয়েছি। আমরা প্রত্যেকটা বায়োডাটাই যাচাই বাছাই করেছি। কে কোন বিষয়ে এক্সপার্ট সেই বিষয়ে তাদের কাজে লাগাবো।

কৃষকদের এক জায়গায় নিয়ে আসা খুবই কঠিন, কারণ তারা মাঠে সারাদিন পরিশ্রম করেন। কৃষকলীগের কাছ থেকে কৃষকরা সরাসরি কিছু কখনো পায় না। কৃষকরা তাদের সেবা পেয়েছে যাদের হাত দিয়ে হয়তো কৃষি অফিসার বা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা। কৃষকরা ত্রাণকর্তা ভাবেন তাদের। কৃষিবিদ হিসেবে আমি দেখেছি, কৃষকরা তাদের অভিভাবক মনে করেন কর্মকর্তাদের। তাদের যে কোন অসুবিধা অসুবিধায় কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেন। এজন্য রিটায়ার্ড কৃষি কর্মকর্তাদেরও আমরা কমিটিতে রাখার জন্য সুপারিশ করেছি। আমরা ১০৯ জনকে খসড়া কমিটিতে আমরা বাছাই করেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: কমিটি থেকে কারা কারা বাদ পড়তে পারেন?

সমীর চন্দ্র: আমাদের অতীতে যারা কৃষকলীগ করেছেন বা মারা গেছেন, কেউ বয়সজনিত কারণে নিষ্ক্রিয় হয়ে গেছেন তারা বাদ পড়েছেন। আবার দু’একজন নানাবিধ বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তারা বাদ পড়েছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল: কী কারণে তাহলে কমিটি অনুমোদন হয়নি বলে আপনি মনে করেন?

সমীর চন্দ্র: আসলে কমিটি জমা দেয়ার পর নেত্রীর একটার পর একটা বিদেশ সফর, বিভিন্ন ইলেকশন হয়েছে। আমার জানা মতে, এখনো যুবলীগের কমিটি জমা পড়েনি। ৩০ তারিখের মধ্যে জমা দেয়ার জন্য যৌথ সভায় নির্দেশনা দিয়েছেন। যারা জমা দিয়েছেন তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। যারা জমা দেয়নি তাদের জমা দেয়ার পর যাচাই বাছাই করে কমিটি ঘোষণা করা হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: কৃষক লীগের কর্মকাণ্ড অনেকটা দৃশ্যমান হয়না। আসলে কৃষকলীগের কাজটা কী?

সমীর চন্দ্র: কৃষির ছাত্র হিসেবে আমি মনে করি কৃষিটা বিরাট বড় একটা টার্ম। আমাদের সাধারণ মানুষের কাছে যারা মাঠে ফসল উৎপাদন করেন তিনিই কৃষক, এটাই কৃষি। কিন্তু একজন কৃষিবিদ হিসেবে আমি মনে করি, মাঠে যারা কাজ করেন তাদের থেকে শুরু করে প্রক্রিয়াজাত করণে, বাজারজাত করণে, রপ্তানিজাতকরণে সর্বোপরি ভোক্তা পর্যন্ত সামগ্রিক ভাবেই কৃষি। বঙ্গবন্ধু ১০০ বিঘা পর্যন্ত জমির খাজনা মওকুফ করেছিলেন। উনি এই পেশাটাকে লাভজনক করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করেন এবং তিনি সরকার থেকে অনুদান দেন। প্রান্তিক কৃষকের কাছে যাতে এই সুবিধাটা বা খবরটা পৌঁছায় যেজন্য তো সংগঠন দরকার, সেজন্য কৃষকলীগ তিনি গঠন করেছেন। কৃষকের সুখ-দুঃখ, কৃষক যেন ফসলের ন্যায্যমূল্য পায়, তারা যেন ফড়িয়া-দালালের দ্বারা সর্বস্বান্ত না হয় এ সকল কর্মকাণ্ড যাতে না হয় এবং কৃষকের সহায়তা করা যায় সেজন্য এটা করা। তিনি মনে করতেন, একসময় কৃষি লাভজনক পেশা হবে। ‘৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ পর্যন্ত’ ৭৫ পরবর্তীতে বহু কৃষক মারা গেছেন। ১৯৯৫ সালে সার চাইতে গিয়ে ১৮ জন কৃষক মারা গেছেন। ২০০৪ সালে ২৪ জন কৃষক সেচের বিদ্যুৎ চাইতে গিয়ে মারা গেছেন।’ ৮৯ সালে যখন কৃষকের অবস্থা খুবই করুণ, তখন নরসিংদীর রায়পুরায় কৃষকলীগের ব্যানারে বিশাল এক কৃষক সমাবেশ করেছিলেন। সে দিনেই আজও কৃষক বাঁচাও দেশ বাঁচাও হিসেবে দিবসটি পালিত হয়। শেখ হাসিনা প্রথম ক্ষমতায় এসেই কৃষকের জন্য ১০০ কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় এবং এটি প্রথমবারের মত তিনিই চালু করেন। সরকারী ফোরামে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আমরা সরকারকে প্রেইসক্রাইব করি। যেহেতু সরকার ক্ষমতায়, সেহেতু এখন তো আমাদের দাবি দাওয়ার জন্য মিছিল মিটিং কারার বিষয় নেই।

বাংলাদেশ জার্নাল: ঢাকা শহর বিশ্বের একটি অন্যতম মেগাসিটি। এখানেও কৃষকলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি রয়েছে। মহানগরে কৃষক লীগ কমিটি কেন করা হয়?

সমীর চন্দ্র: রাষ্ট্রীয় সাংগঠনিক কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই দলীয় গঠনতন্ত্রের কাঠামো তৈরি হয়। যেমন: সরকারে কৃষি মন্ত্রণালয় আছে, আওয়ামী লীগেরও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক রয়েছে, সরকারে শিক্ষা মন্ত্রণালয় আছে, আওয়ামী লীগেও শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আছে। কৃষকের কল্যাণে মূলত কৃষি মন্ত্রণালয়, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় সরাসরি কাজ করে। আরো অন্যান্য মন্ত্রণালয় পরোক্ষভাবে কাজ করে। এই দুটি মন্ত্রণালয়ের অবকাঠামো যেভাবে কৃষকলীগের গঠনতন্ত্রের অবকাঠামো তৈরি। এই দুটি মন্ত্রণালয়ের মেট্রোপলিটনে কৃষি অফিস রয়েছে এবং প্রতিটা অফিসে বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী কাজ করছেন। মহানগরে যদি কৃষি নাই থাকবে, তাহলে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে এই কৃষি, মৎস্য বা প্রাণীসম্পদ অফিসগুলি কেন? ওগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখেই মহানগরে কমিটি আছে। যেভাবে আওয়ামী লীগসহ সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের গঠনতন্ত্র রাষ্ট্রীয় কাঠামোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে বিষয়ভিত্তিক সম্পাদক পদ রয়েছে, তেমনি কৃষি ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাথে সামঞ্জস্য রেখে মহানগর কৃষকলীগ। এছাড়া এদেশের কৃষির যত উৎপাদিত পণ্য তার বাজারজাত করার মিডল পয়েন্ট হচ্ছে ঢাকা। সুতরাং এখানে কৃষির কাজ রয়েছে, সুতরাং কৃষকলীগেরও কাজ আছে। আমরা ছাদ কৃষির উপর গুরুত্বআরোপ করেছি। ঢাকা শহরে যে ছাদ রয়েছে সেগুলো কাজে লাগানো গেলে শহরবাসী উপকৃত হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল: মুজিববর্ষে কৃষকদের জন্য কৃষকলীগ কী করবে?

সমীর চন্দ্র: মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমরা জেলা পর্যায়ে বিনামূল্যে কৃষকদের স্বাস্থ্যসেবা দিচ্ছি। এটা মার্চ পর্যন্ত চলবে। এর পরে আমরা থানা পর্যায়ে। পুরো বছরব্যাপী আমরা চেষ্টা করবো ইউনিয়ন লেভেলে আমরা প্রোগ্রামটা টেনে নিয়ে যাবো।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত