ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডয়চে ভেলের নতুন টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’

  ডয়চে ভেলে

  টকশো

প্রকাশ : ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:২৭

ডয়চে ভেলের নতুন টকশো ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’

ইউটিউবভিত্তিক নতুন লাইভ টকশো শুরু করতে যাচ্ছে ডয়চে ভেলে ৷ টকশোয়ের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতি শুক্রবার রাত নয়টায় এই টকশো দেখা যাবে ইউটিউবে ৷

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আব্দুস সালাম হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন এই টকশো’র ঘোষণা দেন ডয়চে ভেলের এশিয়া বিভাগের প্রধান দেবারতি গুহ ৷

নতুন এই শো’র প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন সঞ্চালক খালেদ মুহিউদ্দীন নিজেই ৷ উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে জার্মান দূতাবাসের পলিটিক্যাল এটাশে ইনেস দশরাখ বর্গ ৷ সাংবাদিক সম্মেলন সঞ্চালনা করেন ডয়চে ভেলের ঢাকা প্রতিনিধি হারুন উর রশীদ স্বপন ৷

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিরা সমসাময়িক বিষয় নিয়ে টকশোতে আলোচনা করবেন৷ স্কাইপের মাধ্যমে দু'জন অতিথি যুক্ত থাকবেন৷ জার্মানির বন স্টুডিওতে সঞ্চালক হিসেবে থাকবেন ডয়চে ভেলের বাংলা বিভাগের প্রধান খালেদ মুহিউদ্দীন ৷ ডয়চে ভেলের নতুন এই ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে দর্শকরা মতামত জানাতে পারবেন ৷

এসময় দেবারতি গুহ বলেন, বর্তমানে যে ইউটিউব চ্যানেল আছে সেখানে সাধারণত বিজ্ঞানভিত্তিক অনুষ্ঠানগুলো দেওয়া হয় ৷ কিন্তু এবার আমরা আনছি একটি নতুন ইউটিউব চ্যানেল, যেখানে ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ অনুষ্ঠানটি প্রচার করবো ৷

তিনি আরো বলেন, ডয়চে ভেলে সবসময় মত প্রকাশের স্বাধীনতা, মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, ন্যায়বিচার এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষে ৷ আমি এশিয়া বিভাগের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই অবস্থান আরো শক্তিশালী ও সমন্বিত করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি ৷ বর্তমান এই সময়ে শুধু দক্ষিণ এশিয়া নয়, ইউরোপের বিভিন্ন দেশেও উগ্রপন্থা মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে ৷ বাক-স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে যত্রতত্র ৷

তিনি জানান, খালেদ মুহিউদ্দীন বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় সাংবাদিক ৷ ডয়চে ভেলে তার জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে মানুষের আরো কাছে যেতে চায় ৷ আমার প্রত্যাশা দর্শকরা এই শো-তে নতুন কিছু পাবেন ৷

খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, আমি নিজেকে সাংবাদিকই মনে করি ৷ আমার পক্ষে কোনো প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা একটু কঠিন ৷ নতুন এই শো-তে আমি প্রশ্ন করতে চাই ৷ প্রশ্ন করাটা আমার পছন্দের জায়গা ৷ এমন অনুষ্ঠান আগে ডয়চে ভেলেতে হয়নি, এটা একদমই নতুন৷ এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মানুষ নতুন কিছু পাবেন।

তিনি আরো বলেন, জার্মানির বন-এ প্রতিষ্ঠানটির সদর দফতরের স্টুডিও থেকে সরাসরি সঞ্চালনা করবো অনুষ্ঠানটি ৷ প্রথমে আমরা ঢাকা থেকে অতিথিদের সম্পৃক্ত করবো এবং পরবর্তীতে পুরো পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে অতিথিদের সম্পৃক্ত করা হবে ৷ একটা শো সফল করতে হলে সবার সহযোগিতা দরকার৷ যত বেশি মানুষ এই অনুষ্ঠানটি দেখবেন, মূল্যায়ন করবেন, তত বেশি সফলতা আসবে বলে আমি মনে করি।

বাংলাদেশে ডয়চে ভেলের অফিস করার কোনো পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ডয়চে ভেলের এশিয়া বিভাগের প্রধান বলেন, আমি একজন বাঙালি, আমি অবশ্যই চাই বাংলাদেশে অফিস করতে ৷ কিন্তু সবকিছু তো আর চাইলেই সম্ভব নয় ৷ সম্প্রতি আমরা তিনটি অফিস করেছি ৷ দিল্লিতে যে অফিস করা হয়েছে, সেখান থেকেই বাংলা ভাষার বিষয়টি দেখা হচ্ছে ৷ কিছুদিনের মধ্যে এই অফিসে আরো কিছু মানুষ যুক্ত হবেন ৷ সুযোগ হলে অবশ্যই বাংলাদেশে অফিস করার উদ্যোগ নেওয়া হবে ৷

অনুষ্ঠানের নাম কেন ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’? তিনি কি জানাতে চান না? একজন সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে খালেদ মুহিউদ্দীন বলেন, আমি দর্শক-শ্রোতাদের কাছ থেকে জানতে চাই ৷ তাদের সেইসব প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইবো অতিথিদের কাছ থেকে ৷ ফলে অনুষ্ঠানটির নাম ‘খালেদ মুহিউদ্দীন জানতে চায়’ হলেও আমি দর্শক-শ্রোতাদের জানাতে চাই ৷ এই শো-র মাধ্যমে দর্শকরা নতুন কিছু জানতে পারবেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/ এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত