ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

বাশিস’র দাবি

সরকারি শিক্ষকদের মত বেসরকারি শিক্ষকদেরও বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা!

সরকারি শিক্ষকদের মত বেসরকারি শিক্ষকদেরও বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা ও উৎসব ভাতা!

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে আজ সারা বিশ্বের জীবন যাত্রায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশেও তার প্রভাব পড়েছে। আজ বাংলাদেশে মানুষের জীবন যাপন কঠিন হয়ে পড়ছে।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে চলছে এখন লকডাউন। ঘর থেকে বের হওয়া মানা। অফিস আদালতসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। সকল পেশার মানুষের আয়ের উৎস বন্ধ।

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বর্তমান সময়ে শিক্ষকদের ও আয়ের উৎস বন্ধ। ব্যয় আছে আয় নেই। জীবন চলার পথ স্থবির হয়ে গেছে। জীবন অতিবাহিত হচ্ছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অচলাবস্থা। নেই কোন বাড়তি ইনকাম। সংসার চালাতে তাই বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নাভিশ্বাস হয়ে উঠেছে। মহামারির এই সময়ে আরেক মহামারি দেখা দেওয়ার পথে। যতই দিন অতিবাহিত হচ্ছে ততই সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন শিক্ষকরা। নেই কোন বিকল্প আয়ের উৎস। কীভাবে এই সমস্যার সমাধান করবে শিক্ষকরা?

বর্তমানে দেখা যাচ্ছে লোক লজ্জার ভয়ে মুখ খুলতে পারতেছেনা শিক্ষকরা। নিরবে অভাবের যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের। অনেকে আবার এই চাকরির আয়ের উৎসের উপর নির্ভরশীল।

সামনে পবিত্র রমযান মাস। অভাব অনটনের মধ্যে অতিবাহিত করতে হচ্ছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জীবন। সরকারি অংশ বাদে উৎসব ভাতা ২৫ শতাংশ হারে পেয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। এই সামান্য উৎসব ভাতায় উৎসবের আনন্দ আজ প্রায় ম্লান হওয়ার পথে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের মূল্যের সাথে তাল মিলিয়ে জীবন চলার পথ কঠিন থেকে কঠিন হচ্ছে স্বল্প আয়ের শিক্ষকদের।

বর্তমান যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের। অনেকের আবার নুন আনতে পানতা ফুরায় অবস্থা। সরকারি অংশ বাদে আয়ের উৎস বলতে কিছুই নেই। নাম মাত্র বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা পায়। পরিবার বর্গের আশা পূরণ করা একজন শিক্ষকের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়ে। কোন উপায় না পেয়ে তাই ধারদেনা করে স্বপ্ন পূরণ করতে হয় সকলের। প্রতিটি মুহূর্তে হিমশিম খেতে হচ্ছে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জীবনযাপনে।

পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বে তাই পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ। আর কতকাল অপেক্ষা করতে হবে বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বৈষম্যের অবসানকল্পে। দিন পাল্টাচ্ছে, যুগের পরিবর্তন হচ্ছে কিন্তু দুঃখের বিষয় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের আজও হলো না ভাগ্যের কোন পরিবর্তন। ভাগ্যের চাকায় জং ধরে গেছে। কেউ নেই দেখভাল করার। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা আজও রয়ে গেল চরম বৈষম্যের স্বীকার হয়ে।

বাংলাদেশের প্রতিটি সেক্টরে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে কিন্তু বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বহু দিনের লালিত স্বপ্ন সরকারি ন্যায় বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতার। দীর্ঘ একযুগেরও বেশি সময় অতিবাহিত হচ্ছে তবুও উৎসব ভাতা কোন পরিবর্তন হলো না। সেই ২৫ শতাংশ বহাল রয়েই গেল। যে সামান্য বাড়ি ভাড়া এবং চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয় বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের তা দিয়ে বাড়ি ভাড়া কিংবা চিকিৎসা কোন প্রয়োজনই মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। বাড়ি ভাড়া ১০০০ টাকা এবং চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা।

বাংলাদেশের কোথাও বর্তমানে এই ১০০০ টাকায় বাড়ি ভাড়া পাওয়া সম্ভব নয়। সর্বনিম্ন বাড়ি ভাড়া গ্রামাঞ্চলে যেখানে ৪০০০ টাকা থেকে ৮০০০ টাকা এবং শহরাঞ্চলের বাড়ি ভাড়া সর্বনিম্ন ১০০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা। এমতাবস্থায় শিক্ষকরা বাকি টাকা কোথায় পাবে?

চিকিৎসা ভাতা ৫০০ টাকা যেখানে ডাক্তার ফি সর্বনিম্ন ৫০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা। বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের এই বৈষম্যের হাত থেকে রক্ষা করতে তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিনীত অনুরোধ আপনি সার্বিক দিক বিবেচনা করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের পূর্বে সরকারি ন্যায় বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা এবং উৎসব ভাতার ঘোষণা দিয়ে বৈষম্যমুক্ত শিক্ষা ব্যবস্থা জাতিকে উপহার দিবেন এই মুজিববর্ষেই সেই প্রত্যাশায় পথ চেয়ে বসে আছি আমরা বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক বৃন্দ।

ধন্যবাদান্তে মো: আবুল হোসেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বাশিস (কেন্দ্রীয় কমিটি) শ্রীনগর, মুন্সিগঞ্জ।

  • সর্বশেষ
  • পঠিত