ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২১ মিনিট আগে
শিরোনাম

স্ত্রীকে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে দেয় স্বামী

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০৬ জুলাই ২০২০, ১৮:৪৫

স্ত্রীকে হত্যা করে পুকুরে লাশ ফেলে দেয় স্বামী

ঢাকার অদূরে আশুলিয়ায় কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া এলাকায় গৃহবধূ রেবেকা বেগম (২৮) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী মফিজুল ইসলামকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে জামালপুরের ইসলামপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে নিহত গৃহবধূর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।

সোমবার র‌্যাব জানায়, গত ২৮ জুন বেলা ১২টার দিকে আশুলিয়া থানাধীন কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া হাবুডাঙ্গা ফুজি গার্মেন্টেসের পেছনের একটি পুকুর থেকে গৃহবধূ রেবেকার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তার স্বামী মফিজুল ইসলাম তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের মা খোদেজা বেগম ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানায় মফিজুলকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

জিজ্ঞাসাবাদে মফিজুল র‌্যাবকে জানিয়েছে, মফিজুল পেশায় একজন হকার। তার স্ত্রী নিহত রেবেকা বেগম (২৮) গার্মেন্টস কর্মী ছিলেন। বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে রেবেকা বেগমের চাকরি চলে যায়।

২০০৬ সালে গার্মেন্টেসে চাকরি করার সুবাদে রেবেকা বেগমের সাথে মফিজুলের পরিচয় হয়। পরে তারা বিয়ে করেন। তাদের সংসারে এক মেয়ে সন্তান আছে। বিয়ের ৫ বছর পর পারিবারিক কলহের কারণে তাদের বিচ্ছেদ হয়। পরে মফিজুল দ্বিতীয় বিয়ে করেন। ৬ মাস আগে রেবেকা বেগমের সাথে তার আবার যোগাযোগ হয় এবং গত ৬ জুন ফের তিনি রেবেকা বেগমকে বিয়ে করেন।

মফিজুল রাজধানীর মিরপুর এলাকায় বসবাস করতেন। রেবেকা আশুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। বিয়ের পর মফিজুল মাঝে মধ্যে আশুলিয়ায় রেবেকার বাসায় থাকতেন। রেবেকা বেগম তার স্বামীর সাথে একত্রে বসবাস করার জন্য বলতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি ও বাকবিতণ্ডা হত। গত ২৭ জুন রাত সাড়ে ৮ টার দিকে রেবেকা স্বামী মফিজুলকে মোবাইলে ফোন করে মিরপুরে তার ভাড়া বাসায় চলে যান এবং একসাথে বসবাস করবেন বলে জানান। ওই সময় মফিজুল রেবেকাকে আরো কিছুদিন ধৈর্য ধরার জন্য বলেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয়।

পরে ওই ওই রাতেই রেবেকাকে সাথে নিয়ে তিনি আশুলিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে আশুলিয়ার কাঠগড়া পশ্চিমপাড়া হাবুডাঙ্গা ফুজি গার্মেন্টের্সের পেছনের পুকুর পাড়ে পৌছালে রেবেকা ও মফিজুলের মধ্যে ব্যাপক বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রেবেকাকে মাটিতে ফেলে গলা টিপে শ্বাসরোধে করেন মফিজুল। পরে লাশ ওই পুকুরে ফেলে দিয়ে রেবেকার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যান।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত