ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

সাক্ষাতকারে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী

সরকার ভুল পথে হাঁটছে

  কিরণ শেখ

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২০, ১৯:১৪  
আপডেট :
 ১২ আগস্ট ২০২০, ২০:২২

সরকার ভুল পথে হাঁটছে

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বাংলাদেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, একজন মুক্তিযোদ্ধা এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশের ‘জাতীয় ঔষধ নীতি’ ঘোষণার ক্ষেত্রে জাফরুল্লাহ চৌধুরী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এবার তারই প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কিট উদ্ভাবন করেছে। এই কিট উৎপাদনে সরকারের অনুমোদন পেয়েছে কী না, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকারের ব্যবস্থা গ্রহণসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশ জার্নালের সঙ্গে কথা বলেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন কিরণ শেখ

বাংলাদেশ জার্নাল: করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সরকার যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, সেগুলোকে আপনি কি যথেষ্ট বলে মনে করেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: মোটেই না। সরকার অত্যন্ত ভুল পথে চলছে। তবে এক্ষেত্রে তাদের সদিচ্ছা থাকতে পারে। কিন্তু এরপরও তারা চিন্তা-ভাবনা না করেই প্রতিটি ধাপে ধাপে ভুল করছে। প্রথমত ডাক্তারদেরকে হোটেলে রাখার সিদ্ধান্ত! তাদের তো বাড়ি-ঘর আছে? আর হোটেলে তো ডাক্তার ও নার্সরা থাকেন না। সুতরাং সেই টাকা সবাই ভাগাভাগি করে নেন। আর ওষুধ ও চিকিৎসার বিষয়ে তো তাদের কোনো চিন্তা নেই।

বাংলাদেশ জার্নাল: দেশে করোনা নমুনা পরীক্ষা কমে যাওয়ার মূল কারণ কী। পরীক্ষা কম হওয়া কারণ কি ফি নির্ধারণ, না কি অন্য কোনো কারণ রয়েছে- এবিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: ফি তো খুব বেশী না। মাত্র ২’শ টাকা। এরচেয়ে বড় কথা হচ্ছে হয়রানি এবং পরীক্ষার রিপোর্ট ঠিক নেই। আর আজকে নমুনা দিলে তিন দিন পরে আসতে বলে। মিথ্যাচার যখন প্রমাণিত হয়ে যায় তখন মানুষ আস্থা হারিয়ে ফেলে। একারণে মানুষ এখন আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: স্বাস্থ্যের ডিজির পদত্যাগকে আপনি কীভাবে দেখছেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: তিনি নিজ থেকে পদত্যাগ করেছেন, নাকি তাকে বাধ্য করা হয়েছে- সেটা তো আর আমরা জানি না। এবিষয়ে কোনো কিছুই পরিষ্কার না। আর এসব বিষয় পরিচ্ছন্ন না হওয়ার কারণে মানুষের মনে সন্দেহ। তবে তার আমলে অনেকগুলো দুর্নীতি হয়েছে। তাই তার দায়-দায়িত্ব আছে। সুতরাং তাকে পদত্যাগ করতে দেয়া যায় না। তার ইনভেস্টিগেশন হওয়া উচিত ছিল।

বাংলাদেশ জার্নাল: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি টেস্ট কিট অনুমোদন না পাওয়ার বিষয়টি আপনি কিভাবে দেখছেন?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: এটা দুর্ভাগ্য। আর এটার দুটি কারণ রয়েছে, একটা হচ্ছে- আমরা ঘুষ দিইনি। আরেকটা হলো- ব্যবসায়ীরা বাইরে থেকে কিট নিয়ে এসে বিক্রি করছে। কিন্তু এগুলো একটাও যথার্থ কোনো রির্পোট দেয় না। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিট অনুমোদন না দেয়ার কারণে আমাদের ক্ষতি হয়েছে ১০ কোটি টাকা। আর জনগণের ক্ষতি হয়েছে হাজার কোটি টাকা। সরকারের সুনাম নষ্ট হয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনারা কি এখনো আশা করছেন, সরকার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কিটের অনুমোদন দেবে?

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: এছাড়া তো কোনো পথ নেই। কিন্তু তখন আমরা বানাবো কি না, সেটা তো ভেবে দেখতে হবে?

বাংলাদেশ জার্নাল পরিবারের পক্ষ থেকে আপনাকে ধন্যবাদ

জাফরুল্লাহ চৌধুরী: আপনাকেও এবং বাংলাদেশ জার্নাল পরিবারকে ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত