ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৫ মিনিট আগে
শিরোনাম

রেড নোটিশে ঝুলছে বাংলাদেশি ৭৩ অপরাধীর নাম

  সুশান্ত সাহা

প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১৯:৩৬

রেড নোটিশে ঝুলছে বাংলাদেশি ৭৩ অপরাধীর নাম

ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে ঝুলছে বাংলাদেশের পলাতক ৭৩ শীর্ষ অপরাধীদের নাম ও ছবি। এ তালিকায় রয়েছে, যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত আসামি ও শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ বিভিন্ন অপরাধে অভিযুক্তরা।

১৯৭৬ সালের ১৪ অক্টোবর থেকে ইন্টারপোলের সদস্য দেশ হিসেবে যুক্ত রয়েছে বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশ পুলিশ। বর্তমানে পৃথিবীর ১৯৪টি দেশ ইন্টারপোলের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ইন্টারপোলের অফিসিয়াল নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিন্যাল পুলিশ অর্গানাইজেশন’ যা সংক্ষেপে ইন্টারপোল নামে পরিচিত।

ফ্রান্সের লিয়নে অবস্থিত ইন্টারপোল সদর দপ্তর থেকে পরিচালিত সংস্থাটির ওয়েবসাইটে ‘রেড নোটিশ অব ওয়ান্টেড পারসন্স’ তালিকায় বিভিন্ন দেশের ৭ হাজার ৩১৫ জন অপরাধীর ছবি, নাম ও জাতীয়তা তথা দেশের নাম উল্লেখ আছে। এই তালিকার মধ্যে বাংলাদেশের অপরাধীর সংখ্যা ৭৩ জন। ৭৩ জন অপরাধীর বিষয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে ৬১ জনের তালিকা। বাকি ১২ জন বাংলাদেশি অপরাধীর নাম দিয়েছে বিভিন্ন দেশ। অর্থাৎ যারা সংশ্লিষ্ট ওইসব দেশে গিয়ে বড় কোনো অপরাধ ঘটিয়েছেন তাদের বিষয়ে সেসব দেশ থেকে ইন্টারপোলে ওই ১২ জনের তালিকা দেয়া হয়েছে।

ইন্টারপোলের লাল তালিকাভুক্ত বাংলাদেশি ৭৩ অপরাধীরা ( বিদেশ থেকে দেয়া ১২ জনসহ) হলো মো. শহিদ উদ্দিন খান (৫৬), খোরশেদ আলম (৩৭), ওয়াসিম (৩৫), হানিফ পরিবহনের মালিক মোহাম্মদ হানিফ (৫৮), গিয়াস উদ্দিন (৫০), মিজান মিয়া (৪২), অশোক কুমার দাশ (৩৯), চন্দন কুমার রায় (৪০), একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত রাতুল আহমেদ বাবু (৩৯), একই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (৬৭), মো. লালু সিরাজ মোস্তফা (২৪), ‘রাজাকার’ জাহিদ হোসেন খোকন (৭৮), হোসেন ওরফে সৈয়দ হোসেন (৬৮), আজিজুর রহমান (৪৪), সৈয়দ মো. হাসান আলী (৭৩), অজয় বিশ্বাস (৩৮), তরিকুল ইসলাম (৩৪), আব্দুল জব্বার (৮৭), হানিফ (৩৫), মোহাম্মদ আলাউদ্দিন (৪৭), মোহাম্মদ সবুজ ফকির (৪৫), শফিক-উল (৫২), মোহাম্মদ মনির ভূঁইয়া (৫৬), আমান উল্লাহ শফিক (৩৮), যুদ্ধাপরাধী আবুল কালাম আজাদ (৭৩), সাজ্জাদ হোসেন খান (৪১), জাহিদুল ইসলাম (৬৪), রফিকুল ইসলাম (৫১), মকবুল হোসেন (৫৩), মারা গেছে বলে জনশ্রুতি থাকা ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ কালা জাহাঙ্গীর ওরফে ফেরদৌস (৪২), মো. নাঈম খান ইকরাম (৫১), মো. ইউসুফ (৭৩), আব্দুল আলিম শরিফ (৫০), নুরুল দীপু (৪৩), আহমেদ মজনু (৪৭), মোহাম্মদ ফজলুল আমিন জাভেদ (৩২), বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি এসএইচএমবি নূর চৌধুরী (৬৯), আরেক খুনি আব্দুর রশিদ খন্দকার (৭৪), খুনি শরিফুল হক ডালিম (৭৪), খুনি এএম রাশেদ চৌধুরী (৭৩), মোসলেম উদ্দিন খান (৮৩), আহমেদ শরিফুল হোসেন (৭৭), নাজমুল আনসার (৬৮), রউফ উদ্দিন (৪৪), মোহাম্মদ আতাউর রহমান চৌধুরী (৫৮), সালাহউদ্দিন মিন্টু (৪১), একুশ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার সাজাপ্রাপ্ত মাওলানা মোহাম্মদ তাজউদ্দিন (৪৭), গোলাম ফারুক অভি (৫৪), আমিনুর রহমান (৪৩), হারুন শেখ (৫০), মিন্টু (৪২), চাঁন মিয়া (৩৯), শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাদত হোসেন (৪৫), খোরশেদ আলম (৫৫), প্রশান্ত সরদার (৪৬), মোনতাজ বসাক (৫৬), সুলতান সাজিদ (৪৮), নাসিরউদ্দিন রতন (৪৫), আতাউর রহমান (৪৮), তৌফিক আলম (৪৫), শামীম আহমেদ (৫৩), রফিকুল ইসলাম (৪৯), জাফর আহমেদ (৫০), আমিনুর রসুল (৬২), শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন (৫১), শীর্ষ সন্ত্রাসী মোল্লা মাসুদ (৫০), শীর্ষ সন্ত্রাসী প্রকাশ কুমার বিশ্বাস (৪৭), নবী হোসেন (৫০), তারভীর ইসলাম জয় (৫৩), আব্দুল জব্বার (৪৮), জিসান আহমেদ (৫০), কামরুল আলম মুন্না (৪৯) এবং কামরুজ্জামান (৫৪)।

ইন্টারপোলে রেড নোটিশ জারি প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে ইন্টারপোলের বাংলাদেশ সমন্বয়ক ও বাংলাদেশ পুলিশের এআইজি (এনসিবি) মহিউল আলম বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বা তদন্ত সংশ্লিষ্ট কোনো ইউনিট যদি মনে করে তার আসামি বিদেশে পালিয়ে আছে এবং ফিরিয়ে আনা জরুরি, তখন তার বিষয়ে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেয়া হয়। সে ক্ষেত্রে ইন্টারপোলের কিছু রুলস আছে সেগুলো মেনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হয়। এরপর রেড নোটিশ জারিকৃত অপরাধীকে বিদেশে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ইন্টারপোল ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে মূল বিষয়গুলোই নির্ভর করে প্রতিটি ‘রাষ্ট্র টু রাষ্ট্রের’ তৎপরতার ওপর।

তিনি জানান, ইন্টারপোলের এই রেড নোটিশের অপরাধীদের বিষয়ে সংস্থার পক্ষ থেকে প্রতি পাঁচ বছর পরপর তথ্য হালনাগদ করা হয়। তবে ওই অপরাধীদের অবস্থান ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে নিয়মিতই যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। অবস্থান নিশ্চিত জানা গেলে সরাসরি সংশ্লিষ্ট দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এসএস/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত