ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

পুরাতন শিক্ষার্থীরা এইচএসসি ফল পুনর্মূল্যায়ন চান

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৯:৪৮

পুরাতন শিক্ষার্থীরা এইচএসসি ফল পুনর্মূল্যায়ন চান
ফাইল ছবি

পরীক্ষা ছাড়াই ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় শতভাগ পাস করেছে। গত শনিবার একযোগে ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়।

ঘোষিত ফলাফলে পূর্বের বছরের এক বা একাধিক বিষয়ে অকৃতকার্যদেরও পাশ দেয়া হয়। তবে আংশিক বিষয়ের শিক্ষার্থীরা এ ফলের পুনর্মূল্যায়ন চান। তাদের দাবি, আগেই তাদের জিপিএ পয়েন্ট কম ছিলো। যার কারণে এ বছর অটো পাস দেয়াতে তাদের রেজাল্ট বাড়ানোর সুযোগ হয়নি।

আংশিক বিষয়ের পরীক্ষার্থীদের পক্ষে এক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ জার্নালে মেইল পাঠিয়ে ফল পুনর্মূল্যায়নের আবেদন জানিয়েছেন। যেন বিষয়টি সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে।

আবেদনে ওই শিক্ষার্থী লিখেন, সরকার শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝুঁকির কথা চিন্তা করে বিশেষ পদ্ধতিতে ফলাফল প্রকাশ করছে, এটা ভালো। কিন্তু যাদের গতবছর এক বা এর অধিক বিষয় খারাপ হওয়ার কারণে শুধু সেই বিষয়ে পরীক্ষা দিতে চেয়েছিলো তাদের অপূরণীয় ক্ষতি করে দিল।

‘তাদের পূর্বের বিষয়ের ফলাফল বাদ না দিয়ে এইভাবে ফলাফল দেয়ার কারণে তাদের জীবনের অনেক বড় ক্ষতি করে দিল। তাদের ফলাফল একইভাবে প্রকাশ করলেও তাদের কে এখানে সঠিক মূল্যায়ন করা হয়নি। অথচ তারা অন্য বিষয় লিখে পাস করেও অন্যদের থেকে কম জিপিএ (নম্বর) পেয়েছে। এটা কেউ তাদের মূল্যায়ন করবে না।’

‘বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন ফলে এবছর কেউ আর অকৃতকার্য নেই। শতভাগ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে এবং সবাইকে জেএসসি ও এসএসসি ফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হয়েছে। তাই সরকারের কাছে অনুরোধ বিশেষ পদ্ধতিতে মূল্যায়ন যখন করছেন সবাইকে সমানভাবে করা হোক। আংশিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে চাওয়া তিন লাখ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কেন বৈষম্য করা হলো? তারাও তো অন্যসব শিক্ষার্থীর মতো জেএসসি ও এসএসসিতে সম্পূর্ণ বিষয়ে পরীক্ষা দিয়ে পাস করেছে।’

‘সরকারের এই সিদ্ধান্তের কারণে তিন লাখ শিক্ষার্থীর অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেলো। শুধু এই একটা সিদ্ধান্তের কারণে এই তিন লাখ শিক্ষার্থী বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হবে। যারা এক বা এর অধিক বিষয় পরীক্ষা দিতে চেয়েছিল সরকারের উচিত তাদের পেছনের ফলাফল বাদ দিয়ে, সবার মতো সব বিষয়ে জেএসসি ও এসএসসি ফলাফলের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা। তা-না হলে আংশিক বিষয়ে মান উন্নয়ন দিতে চাওয়া শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে না। ভর্তি পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রেও জিপিএ নির্ধারণ করে দিয়ে দেয়া হয়েছে। আবার ভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দিতে পারলেও কলেজে ভর্তি পয়েন্টের উপর নেয়া হয়। এইভাবে ফলাফল দেয়া হলে এই তিন লাখ শিক্ষার্থী কোন কলেজে ভর্তি হতে পারবে না। এর ফলে গত বছরের তিন লাখ শিক্ষার্থীর অনেকেই শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়বে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি চাকরির ক্ষেত্রেও তারা বৈষম্যের শিকার হবে। এই বিশেষ পদ্ধতির মূল্যায়নের ফলে অন্যসব শিক্ষার্থীর ক্ষতি না হলেও গতবারের তিন লাখ শিক্ষার্থীর অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।’

প্রসঙ্গত, ১১টি শিক্ষা বোর্ডের ১৩ লাখ ৬৫ হাজার ৭৮৯ জন শিক্ষার্থীর এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু করোনার প্রকোপ বাড়তে শুরু করলে ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। তার আগে এসএসসি পরীক্ষা হয়ে গেলেও আটকে যায় এইচএসসি পরীক্ষা।

তারপর পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশে আইন সংশোধন করে বিশেষ পরিস্থিতিতে ফল প্রকাশের বিধান যুক্ত করে গত সপ্তাহে জাতীয় সংসদে আইন সংশোধন করতে হয়।

এরপর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রস্তুত, ঘোষণা ও সনদ বিতরণের জন্য শিক্ষা বোর্ডগুলোকে ক্ষমতা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

বাংলাদেশ জার্নাল/এনএইচ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত