ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

রম্যরস: চিত্রগুপ্তের সাথে পাল্টি

  মোস্তফা কামাল পাশা

প্রকাশ : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১, ১৮:০৯

রম্যরস: চিত্রগুপ্তের সাথে পাল্টি
প্রতীকী ছবি

আজরাইল (আঃ)কে নিয়ে লিখলে মহাসমস্যা! জজবাওয়ালাদের রক্ত গরুগোস্তের গরমে সবসময় ফুটছে। ধর্মীয় ফতোয়ায় আড়াই দিন কোরবানির গোস্ত রাখা জায়েজ। কিন্তু ‘ঠিক কিনা জোরে কন’ শব্দ দূষণকারী পেটমোটা জজবা হুজুরে রাখে আড়াই মাস থেকে বছর! গোস্ত না মাংস এ নিয়েও চুলকানি! চুলকানির ঘা ঢেকেঢুকে রাখে রেশমি বা মখমলের জুব্বার নিচে! অবাক কাণ্ড! আল্লাহ পাক ওদের জন্য নাকি সব জায়েজ করে দিয়েছেন! তাই বাধ্য হয়ে রুট বদল।

যাদের পাঠে অরুচি, এড়িয়ে যান প্লিজ। আরে যা, কইতে যেমন শরম, গিলতে আরও চরম! ইয়ার দোস্তরা বেশি বেশি কাব্য গোলাপ চান। চান ছবিকথন! ছবিতো প্রচুর-অজস্র। টুকটাক কিছু বাণিজ্যও হয়। সিগারেটসহ পকেটের কিছু খরচপাতি চাইতো। কইত্তুন আইবু! ছেলে-মেয়ে বউমার কাছে টাকা চাইতে শরম করেতো, ভাই! ভাড়া খাটার কাজ এমনিতে অনেক ছেঁটে ফেলেছি। তাই আয়-রোজগারও কম। কিন্তু নিজের খরচপাতি প্রচুর। তো শব্দ ফেরির বাছাই কারবারেও ছবিও যোগ করতে হয়েছে। তাই সব ছবি এখানে দেয়া যায় না, দিলে বেচা যায় না। তো কী আর করা!

জনস্বার্থ ও রাজনীতি নিয়ে ছোঁড়া শব্দ মিসাইল বা কড়া হুল জজবাধারী, জিহাদি জোশের ডেকচিতে ফুটন্ত ‘ব্রান্ডেড বেহেশতের টিকিটধারী’ কোনো ভণ্ডের ভাল্লাগে না। স্বাভাবিক, ওনারা যেমন চান চটক, টমকের ঝাঁজালো মশলাদার ডিশ, তেমনি চান, ‘ঠিক ঠিক’ টিকটিকির কান ফাটানো হুঙ্কার! সাথে রগরগে নানা স্বাদের কেচ্ছাও! জানেনতো, সব পরিবেশন করি ফাঁকে ফাঁকে। একটার নামও দিয়েছি ‘Diversion’, মানে হুল ফোটানোর ফাঁকে খানিক বিনোদন। হ্যা এতে দেহমন চাঙ্গা হয়। ফুয়েল ট্যাঙ্কারে এনার্জি রিফুয়েলিং হয়।

তো, ক'মাস আগে প্রায় মরতে মরতে বেঁচে গেছি। নিজে ভয়ঙ্করভাবে রুটিন মেনে চলি। ‘ভয়ঙ্কর’ শব্দটা নিশ্চয়ই কাঁটা ফুটিয়েছে বা হোঁচট খেয়েছেন। স্বাভাবিক। তাই শানে নযূল জরুরি। শব্দটা এসেছে বিশেষ কারণে। শরীর ও বাঁচার প্রয়োজনে রুটিন, শরীরচর্চা, খাবার ও সময় নিয়ে পারতপক্ষে কখনো আপস করি না। ব্যতিক্রমতো থাকবেই। এইসব নিয়ম বিদেশ থেকে নয়, দলছুট একলা যোদ্ধা হিসাবে রাজপথই শিখিয়েছে। ‘ওনি’ মানে রাজপথই বড় গুরু আমার। শক্তভাবে দাঁড়াতে না পারলে যুদ্ধ হবে কীভাবে! রুটিন মানতে গিয়ে খামাকা মজা করে একটু শীতল ঝর্ণাধারায় নেয়েছিলাম। ডোজটা সম্ভবত বেশি হয়ে যায়। বুঝিনি, হাতে-কলমে বুঝিয়ে দেয় রাত। এমনিতে বেশি রাতে ঘুমাই। কিছু পড়া-লেখার কাজ সেরে। উঠি অনেক বেলায়, টানা ৭/৮ ঘণ্টা ঘুমিয়ে। জেগে ওঠা মানেই নয়া জন্মদিন সবার। ওমা ও’রাতে জরুরি একটা কাজ সারতে গিয়ে শরীরটা নেড়ির মতো কুঁইকুঁই শুরু করে। শব্দও বিদ্রোহ করে-একদম এগোয় না। এমনতো হয় না কখনো। কাজটাইতো সেরা আনন্দ ভাণ্ডার! নিজের মতো করে শব্দ নকশি তৈরির মজাই আলাদা। তো হলোটা কী! যাই হোক কাজ যে এগোবে না সিগন্যালেই বুঝে গেছি। তাই জোর না খাটিয়ে যথাস্থানে দ্রুত মাফি মেঙ্গে মেইল পাঠিয়ে দেই।

বিশ্রামের ঠিকানায় শরীর সঁপে দেই। শেষরাতে অসহ্য ব্যথায় চটকে যায় ঘুম। কম্বলের ভেত্রে নিজকে খুঁজে পাই কুকুর কুণ্ডলীতে। নড়তে চড়তেও ভয়ঙ্কর কষ্ট। বর্ণনা অসম্ভব। কাউকে ডাকারও সুযোগ নেই। ছেলে বউমা, ‘পুতু-পুতু’ নাতি, ছোট ছেলেও ফ্ল্যাটে আছে। যে যার রুমে ঘুমে। ডাকলে গৃহসহযোগীসহ সবাই ছুটে আসবেই। কিন্তু দৌড়ঝাপ একদম চাই না। কী করি! জরুরি অবস্থায় কী করতে হয় জানা থাকলেও এখনতো কিছু পারছি না। মনে হয় মারাই যাব। আমিও তৈরি। কিন্তু আগে যে ওয়াশরুমের পাওনা চাপটা খালাস করা বড়ই দরকার। তলপেট বেশ ভারী, শোয়ার আগে জরুরি কাজ অস্বস্তির কারণে সারা হয়নি। খালাস করতেই হবে। তো, ভরসা মনোবল। অনেক কষ্টে পিঠ, মাথা উঠাই, পুরো শরীর ঝনঝন করছে। ব্যাথারা মনের সুখে যন্ত্র সঙ্গীতে জোর ঝংকার তুলেছে।

কীভাবে কী করেছি, নিউরনে জমা নেই। On the way to washroom দু'বার ঘুরে পড়তে পড়তেও পড়িনি। সম্ভবত অদৃশ্য কোন প্রেমিকা ঠেশ দিয়েছে। সব ধোঁয়া ধোঁয়া আবছায়া। অদ্ভুত অনুভূতি, উপভোগ্যও! তবুও থার্মোমিটার বের করেছি স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কিন্তু জ্বর কত, কিচ্ছু জানি না। গলা শুকিয়ে খরখরে আমড়া কাঠ! তারপর- ওমা এ কি দেখি! সামনে দূত হাজির। যমরাজের চ্যালা। ইয়া তাগড়াই গোঁফ, একদম গালের দোপাট্টা। মুচড়ে আছে কপাল নিশানা করে। কপালে চন্দনের ফোঁটা, রক্ত তিলক। হাঁক পাড়ে দশাসই, উঠো জলদি, সমন নিয়ে এসেছি।

তুমি কেন বাপ, কাজটা তো আজরাইল (আঃ) এর? (যমদূতকে আচ্ছা ধমক লাগাই)

এটা এম ও ইউ, পারস্পরিক সমঝোতা। তোমাদের ধর্মের কিছু ত্যাঁদড়ের দায় আমাদের। আবার বিপরীত কিছু ত্যাঁদড়ের ভার আজরাইল সাবের।

আমার নামও কী ত্যাঁদড়ের লিষ্টে?

জে-আজ্ঞে! আর কোনো কথা না, দ্রুত রেডি হও। (হুঙ্কার ছাড়ে যমদূতে!)

হ্যাঁ বাপ আসছি। জানি, বেশি তর্ক মানেই কপালে বেশি দুঃখ।

যমদূত খুব বেশি খুশি হয় না, আচ্ছামতন ঘেটি টেপার সুযোগ পেত-তর্ক বাড়লে। মার গেল সুযোগ! কী আর করে। ইয়াবড় মুসকোটার পাতিলের তলা মুখ আরো বেজার টুপ করে ডানায় করে তুলে নেয়। তারপর উড়াল। যমদূতের পাখায় চেপে। পথেই নন্দনকানন। ইয়া মাবুদ, মেনকা, রম্ভা, দ্রৌপদীসহ আরো আরো কতো চোখকাড়া অপ্সরার রূপের খনিতে ঝলমল করছে নন্দনকানন। ইন্দ্রদেবের নাকি জলসার আসর বসবে। মেনকা, রম্ভাদের দেখে টেম্পার ধরে রাখা অসম্ভব! এদের ফেলে নন্দনকাননের অন্য রূপশোভা দেখে কোন সে গর্দভ?

যমদূতকে বলি, একটু খাঁড়াও জি। জানতো নিবাই, আগে ফ্রি কিছু রূপসুধা গিলতে দাও। বল বাড়লে তোমারও একটু জোশ হবে। বেটা গাঁইগুঁই শুরু করে। বলে, চিত্রগুপ্তের হাতে তোমাকে জমা করে আজ রাতে আরো এক ডজন খেপ টানতে যাব।

সোনার চাঁন যাদু আমার। তোমার কত্তো কাজ-কত্তো চাপ। মানুষের জান নিয়ে কারবার! একটু খাড়ালে দোষ কী বাপ! চিত্রদাকে বুঝিয়ে বলবো খন। আচ্ছামতন তেল ঢেলে বেটাকে তেলতেলা করার চেষ্টা করি। ও কি ভজে! একদম না।

ওমা দেখি কী, এক পিনোন্নত ধূর শ্লা-শব্দটা একদম ফাজিল মার্কা। স্তন কেন 'পিনোন্নত' হবে? তাহলে শিশু কীভাবে দুধপান করবে! পিনের খোঁচায় মরেইতো যাবে। পাকা গম বা যবের সাথে তুলনাই সঙ্গত। এমনিতেই রঙটাও গমের মতো। কলার থোড় বা মোচাও চলে। ওতে খোঁচা খেলেও তত ব্যথা পাবে না নবজাত শিশু। যে বেটা কবি বা সাহিত্যিক এত নিষ্ঠুর উপমা বের করেছে, তার সাত গোষ্ঠী কিলাই! (মরার আগে গালাগালে কুন দোষ নাই)! তো কলার থোড়ের ডগার মতো চোখা জোড়াবুক দেখে আমার বুকের ধড়পড়ি বেড়ে যায়! চোখা জোড়াবুকের অপ্সরার পরনে আকাশি নীল মসলিনের চে'ও স্বচ্ছ নাইটি।

তিনি যমদূতকে বলেন, দাঁড়ান একটু। চিত্রদাকে আমার কথা বলবেন। আমি ইন্দ্রদেবের নৃত্য আসরের প্রধান নর্তকী। নাম সুদেঞ্চা। উনি ইন্দ্রসভায় খানিক থাকুক। উনি মর্তলোকের খুব ভালো প্রেমিক। মেয়েদের সাংঘাতিক সম্মান করেন! দারুণ মুখরোচক শব্দপিঠাও ভাজেন। আমাদেরও খুব পছন্দ তার ভাজা পিঠা!

শব্দ নয়, সেতারের মিঠে সুর! যমদূত তবুও গাঁইগুঁই ছাড়ে না, এতই বেরসিক বেডা! ততক্ষণে আমি ইচ্ছেমতো রূপসুধা গিলছি চারপাশের। গিলে পেট ফুলিয়ে ঢোল করে ফেলেছি প্রায়। ওদের বাকি বাতচিতে মনোযোগ দেয়ার অবস্থা নেই। সুদেঞ্চার মতো নন্দনকানন কাঁপানো চোখা বুকের সুন্দরি সুতনুকাও যে আমার ভক্ত, তাও ভুলে গেছি। অথচ পৃথিবীতে সুদেঞ্চাকে পেলে আমি যে কী করতাম, কী যে কইরতাম-ধ্যাৎ জানি না! চোখে ঘোর! রূপ-মায়ার স্বপ্নঘোর, মোহময় অন্জন!

এদিকে মজার খনি থেকে টুপ করে তুলে নিয়ে যমদূত বেটা আবার ডানায় নিয়ে উড়াল দেয়। মেজাজ বিগড়ে এক্কেবারে বয়লার। চিত্রগুপ্তের সামনে ধপাস করে রাখে আমাকে। তারপর তার কানে কানে কী যেন বলতে থাকে। সম্ভবত সুদেঞ্চার তদবির। সুযোগটা সঙ্গে সঙ্গে কাজে লাগাই। চিত্রগুপ্তের কানেগোঁজা রূপার কলমটা এক ঝটকায় টেনে নিয়ে টেবিলের খাতায় চোখ রাখি। ভাবনার বাইরে এমন ঘটনায় চিত্রগুপ্ত এবং যমদূত দু'জনই চমকে যায়। খাতা, কলমের কথা ভুলে ভ্যাবলার মতো আমাকে দেখে। ততক্ষণে তালিকায় নিজের নামটা খুঁজে পাই। সঙ্গে সঙ্গে কলমের টানে কেটে দিই নাম। বারবার কলম টেনে জায়গাটাকে বিমূর্ত শিল্পকর্ম গড়ে ফেলি।

চিত্রগুপ্ত একটু স্বাভাবিক হয়ে আমার কুকর্ম দেখে কপাল চাপড়াতে থাকে। এ কি অনাসৃষ্টি করলারে মর্ত্যবাসী! কী ভয়ঙ্কর অনাসৃষ্টি! তুমি মানব না অন্যকিছু! যমরাজকে কি জবাব দেব আমি?

ওসব তোমার ব্যাপার। আমি ইন্দ্রসভার নৃত্যগীত উপভোগ করবো। তারপর সুদেঞ্চাকে নিয়ে বাড়ি ফিরব। ব্যবস্থা করো।

হায়রে বৎস। তোমাকেতো ইন্দ্রসভায় পাঠাতেন স্বয়ং যমরাজ। এমনকী স্বর্গেও ঠাঁই হতো সুদেঞ্চার সুপারিশে। কিন্তু এখন কী হবে? আমার চাকরিওতো থাকবে না। তোমার নাম মৃতের তালিকা থেকে বাদ পড়লে আমি শেষ!

মিল আছে এমন আরেকটা নাম ডুকিয়ে নাও। আমি যাচ্ছি গা। তাড়াতাড়ি ব্যবস্থা করো। না হলে তোমার খাতাও ছিঁড়ে ফেলব।

খাতা ছেঁড়ার চরম হুমকিতে চিত্রগুপ্ত স্তব্ধ। মর্ত্যলোকের কোন আর্বচিনের এতোবড় সাহস হতে পারে! এটা কোনভাবেই তার ঘিলুয় নিচ্ছে না। মিনিট খানেক দমফুট অবস্থা বেচারার! তারপর কি বুঝে আপনাই গলে গেল গরম ফ্রাইপেনের মাখনের মতো। ঠিকাছে। তোমাকে ইন্দ্রলোকে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি। খাতাটা রাখো বাপধন এবার।

জানি, দেবলোকে কথার খেলাপ হয় না। তাই খাতা রেখে দিলাম ভদ্রলোকের মতো। তারপর স্বর্গীয় রথে চেপে ফের ইন্দ্রলোক গমন। ইন্দ্রের নৃত্যসভায় সুদেঞ্চার সৌজন্যে অতিথি হয়ে জমাটি নাচগানা উপভোগ করি প্রাণভরে। এখন পৃথিবীর সেরা সৌভাগ্যবান আমি! আহারে কী সে নাচ! অপ্সরাদের থোড় ডগার মতো চোখা বুক, সুডৌল মাখন কোমল উরু, ক্ষিণ কটির দুলুনি, 'আহা কেয়া বাত-কেয়া বাত'! ওদের আলাদা করাই মহাঝক্কি! সবার তনু যেন একই তারে বাঁধা বীন! মর্ত্যে এমন কোনো ভাষা নেই, যা দিয়ে রূপ-যৌবনের বর্ণনা যোজনা করা সম্ভব! লাউডগা বা মৃণাল আরে ছোঃ, লাউডগা বা মৃণাল ডাঁটাতো ভেঙে যায়, ছিঁড়ে যায়, গলে যায় এটাও আহাম্মক কবি-সাহিত্যিকের আর্বাচিন যোজনা। এদের বাহুযুগল হচ্ছে হিমালয় গহীনের বিরল হীরন্ময় লতিকা! মুঠোভর্তি কোমল মাখন। গলে না, ভাঙে না, দুমড়ায় না। যত আদর তত মধু, রূপের খোলতাই।

তো, সুদেঞ্চাকে নিয়ে একটু ঝামেলা হলেও ইন্দ্রদেব সদয় হয়ে মাত্র সপ্তাহের জন্য ছাড়তে রাজি হলেন। কি আর করা, তাই সই।

হলোটা কীরে, আমি কই? বিছানায় কেন! ঘড়ির কাঁটা দশটা ছুঁই ছুঁই। সুদেঞ্চা কই, পাশতো খালি! যাহ এসব কী? মাথা ঝিম ধরে আছে। ব্যথাও। কাছেই থার্মোমিটার। তাও খোলস, যন্ত্র নেই। তো জ্বর মাপি কীভাবে? অনেক বিচড়াবিচড়ি করে খুঁজে পাই খাটের হেড রেস্টে। কখন খুলেছি-রেখেছি জানি না। জ্বর মেপে দেখি ১০০+! একটু ঝরঝরে লাগছে, কিছু ঘুম হওয়ায়। কিন্তু দুর্বল। কাঁশি বা গলা ব্যথার কোনো উপসর্গ নেই। দেড়দিন ভালোই ভুগেছি। প্রিয়জনদের মমতার উম পেয়েছি প্রচুর। জ্বর বেড়েছে, কমেছে। শেষ পর্যন্ত একটামাত্র প্যারাসিটামল গিলেছি শুধু। ওই রাতের আধো ঘুম-তন্দ্রা আর জাগরণের অভিজ্ঞতা আসলেই দারুণ। এই অভিজ্ঞতা প্রকাশ্যে আসায় অনিচ্ছুক অনুরাগীদের আশা করি ভালো লাগবে।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক-কলামিস্ট

বাংলাদেশ জার্নাল/এসকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত