ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

নারীবাদী পুরুষই নারীখোর

  জব্বার আল নাঈম

প্রকাশ : ৩০ এপ্রিল ২০২১, ২২:১০

নারীবাদী পুরুষই নারীখোর
জব্বার আল নাঈম

ছাগল যতই সামনের দিকে টানবেন পেছনের দিকে যাবে। এটিই ছাগলের জাত স্বভাব। এতে আমাদের মেজাজ খারাপ হয়, তেড়ে মারতে যাই। আচ্ছা বলেন, এটা ঠিক? ঠিক না। এতে প্রাণীর অধিকার লঙ্ঘন হয়। হাঁস, মুরগি থেকে শুরু করে গরু, ছাগল, ভেড়া দুম্বা খেয়ে ফেলে মানুষ। মানুষ পৃথিবীর সবচেয়ে বড় খাদকপ্রাণী। এসব খাওয়া ঠিক? এতেও প্রাণীর অধিকার লঙ্ঘন হয় না?

কেউ বলবেন বাঘের জন্য বনের আছে হরিণ, সিংহের জন্য গরু/মহিষ। মানুষের ধর্ম পরিস্থিতি অনুযায়ী বদলে যাওয়া, প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কথা বলা। সকালে এক কথা তো বিকেল অন্যকথা। সুবিধার জন্য সংবিধান, অসুবিধায় সংশোধন। এটাই মানুষের মৌলিক নিয়ম। নারীবাদী পুরুষ দেখলেই আমি উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় থাকি। কারণ, এরা এমন সব ছলাকলা জানে, যার সবটা ব্যবহার করে মেয়েটাকে ঘর থেকে বের করার সকল প্রকার উস্কানি-আয়োজন করে। দিকভ্রান্ত যায় মেয়েটি। নেমে আসে রাস্তায়, ব্যর্থ হয় সঠিক পথের সন্ধান পেতে। দয়ার পরশ হাতে এগিয়ে আসে নারীবাদী পুরুষ। খুলে দেয় তার লোভ ও কামের দরজা। নতুন দুনিয়ায় মেয়েটিও একে যথার্থ ভাবে। নারীবাদী পুরুষ বুঝিয়ে দিয়েছে তুমি নারী নও, তুমি মানুষ। তোমার আছে পুরুষের পা’য়ে পা, চোখে চোখ, বুকে বুক, কণ্ঠে কণ্ঠ রেখে বেঁচে থাকার অধিকার। আমরা কেনো চাই মেয়েকে হতে হবে পুরুষের মতো, আবার পুরুষকে হতে হবে মেয়ের মতো। যে যার মতোই থাকুক। যে যার মতো থাকলে পরিবেশের ভারসাম্য থাকে।

নারীবাদী থেমে না গিয়ে বলে, তোমার বাবার কথা শুনবে কেনো? বাবা তোমাকে বন্দী রাখতে চান। প্রতিদিন নিয়ম করে কেটে কেটে সামাজিকতা শেখান। পৃথিবীর নিয়ম শেখান। বড়দের সম্মান আর ছোটদের স্নেহ করতে শেখান। শেখান পোশাকের মার্জিত ব্যবহার। বাস্তবতা হলো, এসব তোমার জন্য না মেয়ে। তুমি বরং তোমার মতো করে বেড়ে ওঠো। প্রকৃতির মতো হও নির্মল, বড় হও শিকড় ভুলে। নাচো, গাও ফূর্তি করো উচ্ছৃঙ্খলভাবে। যখন ইচ্ছে যৌনতায় মেতে ওঠো। ভোগ ও ভাগ করো নিজেকে। কারণ, এটাই প্রকৃত জীবন। জীবনের মানে সুশৃঙ্খলিত নয়, পরিবার, স্বজন ও সমাজ নয়। জীবন মানে নগ্ন উত্তরাধুনিকতা। যখন যা ইচ্ছে তাই করা। একটি মেয়ে এক পুরুষে কেনো সন্তুষ্ট থাকবে, বহু পুরুষের বগলে বসে গিটার বাজাবে। কিংবা বহুবিয়ে করবে। সরল গ্রাম থেকে ওঠে আসা মেয়েটি ভাবছে এ তো অন্যরকম সুন্দর এক জগত। বিশুদ্ধ ও পরিশুদ্ধ জগত। যেখানে কোনো বাউন্ডারি নেই। স্বাধীন ও সুন্দর জগত। যা এতদিন মনে মনে কামনা করেছিলাম। হায়, আমি এতদিন কোন নরকের কিট ছিলাম!

এরপরও থামে না নারীবাদীরা। বলতে থাকে, মেয়ের প্রথম ও প্রধান শত্রু, মা-বাবা। তারা মেয়েটার কানে বারবার মন্ত্রণা দেয়, তুমি একজন মেয়ে। মেয়ের কাজ সংসার নিয়ম মেনে চলা, মেয়ের কাজ নিজেকে সংযম রাখা। বিয়ে করে সন্তান জন্ম দেয়া। মেয়েদের ধর্ম ও কর্মে ছোট করা হয়েছে। অথচ তোমরা স্বাধীন। স্বাধীন মতো চলবে। যখন যা ইচ্ছে করবে। অথচ সে নিজে যখন যা ইচ্ছে তা করতে পারে না। যদি না পারে, তাহলে অন্যদের বিপদে ঠেলে দিবে কেনো? এটা অন্যায়। এটাই জীবনের ‘স্বাধীনতা’। (আমার মতো স্বাধীনতার প্রকৃত অর্থ পরাধীনতা)। তারপরও এই ‘স্বাধীনতা’শব্দটাকে ভেঙে দেখি। আসে স্ব+অধীনতা। ইংরেজিতে সেলফ কন্ট্রোল। বাংলা আত্মনিয়ন্ত্রণ। নারীবাদীরা এসব না মেনে টোপে ফেলতে চায় নারীদের।

০২ স্বার্থ ও সুবিধা আদায় শেষে নারীবাদী পুরুষ মেয়েটিকে দাঁড় করিয়ে দেয় চার রাস্তার মোড়। উদ্ভ্রান্ত ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪ ও ২৫ বছর বয়সী মেয়েটি জানে না কোন রাস্তায় আলোর উৎস পাবে। আলো খুঁজতে খুঁজতে নিজেকে হারিয়ে ফেলে মেয়েটি। নতুন পথ খুঁজতে গিয়ে ভুলে যায় শিকড়। তখন মেয়েটিও ঘৃণার স্বরে বলে, পুরুষরা নারীকে অবমূল্যায়ন করে। সমাজে তৈরি করে বৈষম্য। নারীরা অবহেলিত ও বঞ্চিত। অথচ বাংলাদেশের আইনে নারী ও পুরষের অধিকার সমান। সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শুরু করে সকল সেক্টরে নারীর চাকরি ও অধিকার নিশ্চিত করেছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নারী অধিকার বাড়িয়েও দিয়েছে। নারী নিজেই খুঁজতে পারবে নিজেকে। দাঁড়াতে পারবে নিজের পায়। খুঁজে বের করতে পারবে পথ। তবে, পথ খুঁজতে গেলে হতে হবে আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত।

০৩ পৃথিবীবিখ্যাত কয়েকজন নারীর ক্ষমতা ও প্রভাবের কথা আমরা জানি, তারা পরিবারের শিক্ষায় শিক্ষিত ছিলেন। একটা শিশুর পরিবার হলো বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সেখান থেকে সে জীবনকে চিনতে পারে। বুঝতে পারে ভালো মন্দ। যে কোনো মানুষের জন্য প্রথম ও প্রধান ভরসার নাম বাবা-মা। বাবা-মা কখনই চাইবেন না তাদের সন্তানরা হেরে যাক। আজ থেকে শত শত বছর আগের বাব-মাও চাইতেন না।। মিশরের ফারাওদের কথা কে না জানি। সেই টলেমিক মিশরের সর্বশেষ সক্রিয় ফারাও ছিলেন একজন মেয়ে। তার নাম রানী ক্লিওপেট্রা ফিলোপেটর। মিশর শাসনক্ষমতা ছিল তার হাতে। পরিবার ও সমাজের নিয়ম মেনেই সে রাষ্ট্র ক্ষমতার মহান শাসক হয়েছিলেন ওই সময়ে। স্পেনকে একত্রিত করেছিলেন কে জানেন? রানী ইসাবেলা। তিনি যদি নারীবাদীদের কথা শুনতেন তাহলে স্পেনের মুসলমানদের হটিয়ে ইতিহাসের অমর পাতায় ঠাঁই পেতেন না।

তৎকালীন ভারতবর্ষের সুলতানা রাজিয়া (১২০৪-১২৪০) ছিলেন সুলতান ইলতুতমিশের কন্যা। পরিবার, সমাজ ও ধর্মীয় নিয়ম কানুন জানার পাশাপাশি রাজকাজ পরিচালনার নিয়ম কানুন সহজেই রপ্ত করেছিলেন তিনি। তাই দুই ভাই থাকার পরও রাজিয়ার বাবা তাকে বানিয়েছিলেন ভারতবর্ষের প্রথম মহিলা শাসক। রাজিয়া একাধারে একজন ভাল প্রসাশক ও সেনাপতি ছিলেন, যুদ্ধক্ষেত্রে একজন দক্ষ সৈন্য হিসেবেও তার পরিচিতি ছিল ব্যাপক। তাকে নিয়ে ১৯৮৩ সালে ভারতে একটি বায়োপিক বানানো হয়েছিল, যেখানে প্রধান চরিত্রে দারুণ সুন্দর অভিনয় করেন অভিনেত্রী হেমা মালিনী।

নারীবাদীদের দূরে সরিয়ে একজন আমেনা কিভাবে হয়েছিলেন নাইজেরিয়ার নায়ক। ১৬ শতকে জন্ম নেয়া বীর নারী ছিলেন তিনি। অসীম সাহসী ও যোদ্ধা, সামরিক নেতা, জন্ম ছিল নাইজেরিয়াতেই। আরো জানবেন, অস্টম কন্সটেইটানের মেয়ে জো পোরফিরোজেনিটাকে, সুইডেন রানী ক্রিস্টিনা ও ভারতের ঝাঁসির রানী লক্ষ্মী বাঈয়ের ক্ষমতায় আরোহনের সমৃদ্ধ ইতিহাস। আঠার শতকে জন্ম নেয়া পোল্যান্ডের মেরি কুরি একমাত্র নারী যিনি দুই বার নোবল জয়ী হয়েছেন।

পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম নারী নৌ-প্রধান কে ছিলেন? আইওনিয়ার শাসনকর্তা আরতেমিশিয়া। অত্যন্ত দক্ষ একজন শাসক ছিলেন। ব্যুদিক্বা! ব্যুদিক্বা ছিলেন নরফোকের রানী। রাজা নরফোকের মৃত্যুর পর রোমানরা রাজ্য দখল করে নিলে ব্যুদিক্বা নিজেকে নারী ভেবে বসে থাকেননি। স্বামীর কাছ থেকে শেখা যুদ্ধ কৌশল প্রয়োগ করে স্বামীর রাজ্য জয় করে পুণরায় ক্ষমতার মসনদে বসেন। ফু-হাউ ছিলেন পৃথিবীর ইতিহাসের প্রাচীন সফল নারী সেনাপতি। তিনি ছিলেন সাং রাজবংশের রাজা উ ডিং এর স্ত্রী। টুরিং বোনদ্বয় ছিলেন ইতিহাসের দুই বিখ্যাত নারী যোদ্ধা। তারা ছিলেন ভিয়েতনামের সর্বোচ্চ সামরিক নেতা। টানা তিন বছরেরও বেশি সময় চীনা হান সাম্রাজ্য ভিয়েতনামে আক্রমণ করে। এ সময় এই দুই বোনের সমরবিদ্যা তাদের প্রতিহত করেছিল। এই কৃতিত্বের জন্য তাদের ভিয়েতনামের জাতীয় বীর হিসেবে স্মরণ করা হয় এখনো। ফরাসি বীরকন্যা জোয়ান অব আর্ক’কের বীরত্ব কে না জানে। এদের কেউ পরিবার, সমাজ ও স্বজন ছেড়ে বেরিয়ে আসেনি। বরং মূলটাকে শক্ত করে ধরেই বড় হয়েছেন। হয়েছেন পৃথিবী বিখ্যাত। এবার একটু বিশ্রাম নিয়ে শুরু করি পর্ব নম্বর ০৩। দুঃখিত পর্ব নম্বর ০৪।

০৪ সময়টা ছিল ৯৬০ খ্রিস্টাব্দ। তখন রানী জুডিথ ছিলেন দামোত নগরের শাসনকর্তা। সেই সময়ে স্মৃতিসৌধ ও গির্জা ধ্বংস করে এক্সম নগরী ও তার আশপাশের এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন তিনি। রাজবংশের সব সদস্য, সেবার রানীর বংশধরদের হত্যা করেছিলেন। কারণ, তিনি অস্ত্র, তীর, ধনুক চালনায় যথেষ্ট পারদর্শী ছিলেন। সে এসব শিখেছে বাবার কঠোর নিয়ম ও শাসনের ভেতর থেকে। নানা ঐতিহাসিক দলিলেও তার নিষ্ঠুর আক্রমণের কথা উল্লেখ রয়েছে। এভাবেই জুডিথ রাজ্য জয় করেন। সেপটিমা জেনোবিয়ারকে মনে আছে? সেপটিমা জেনোবিয়া ২৫০ সাল থেকে প্রায় ২৭৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২৫ বছর সিরিয়ার শাসনকর্তা ছিলেন। সমরাস্ত্রে সজ্জিত জেনোবিয়া ঘোড়ার পিঠে চড়ে তার সেনাবাহিনীকে যুদ্ধক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিতেন। তার মতো তখন কেউ ঘোড়া চালাতে পারত না। যুদ্ধবিদ্যাটাও কেউ জানত না।

পুরাতন আমলের গীত শুনতে গীবতের মতো লাগে। এবার নতুন কিছু বলি। নারীদের অগ্রযাত্রা ও সমসাময়িককালের ইতিহাসে বলে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নারীরাও আছেন ক্ষমতার শীর্ষে। যেমন, সিঙ্গাপুরের প্রেসিডেন্ট হালিমাহ ইয়াকোব, সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনা ব্রনআবিচ, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল। যে শুধু মাত্র একজন চ্যান্সেলরই নন, জার্মানির ইতিহাস পালটে দিয়ে রচনা করেছেন নতুন ইতিহাস। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আরডার্ন, ক্রোয়েশিয়ার প্রেসিডেন্ট কোলিন্দা গ্রাবার কিতারোভিচ, ফিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সানা মারিন, বলিভিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়ানি আনেজ, আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ক্যাটরিন জ্যাকবসডোটির, নেপালের প্রেসিডেন্ট বিধ্যা ভান্ডারি, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী সোফি উইলম্স, নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী আর্না সোলবার্গ। সর্বশেষ বলব, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা। যিনি এখনও বাবার ঐতিহ্য ধরে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে লড়াই সংগ্রাম করে যাচ্ছেন।

এসকল নারী প্রধানরা নিয়ম মেনে নিয়ম ভাঙছেন। ব্যাকরণ মেনে ব্যাকরণ ভেঙেছেন। হ্যাঁ আমাদের নারীরাও পারবে নিয়ম মেনে নিয়ম ভাঙতে। তার আগে দাঁড়াতে হবে। পায়ের নিচে শক্ত মাটি যোগান দিতে হবে। নইলে নিয়ম ভাঙা দূরের কথা টিকতেই পারবেন না। পথভ্রান্তদের কথা শুনলে অন্ধকার ছাড়া সামনে কিছুই থাকবে না। নারীবাদীরা মূলত সুবিধাবাদী মানুষ। নারীকে ভোগ্য পণ্য ভাবে। স্বাধীন মানুষ ভাবে না, ভাবতে পারে না। এ কথা ভুলে গেলে চলবে না, যে সকল নারী ক্ষমতার শীর্ষে আরোহন করেছেন, তারা ব্যবহার করেছেন নিজের যোগ্যতা, ক্ষমতা, মেধা ও প্রজ্ঞা।

পৃথিবীকে বদলে দেয়া তিনজন নারীর নাম না বললে অন্যায় হয়ে যাবে, তারা হলেন, জোন ব্যারে, মেরি কুরি ও হেলেন কেলার। বিজ্ঞান এদের অবদানকে আজীবন নত মস্তকে সম্মান জানাবে। সবচেয়ে বেশি জানাবে মেরি কুরিকে। এই মেরি কুরি প্রথমবার পুরস্কার পেয়েছেন স্বামীর সঙ্গে। দ্বিতীয়বার যৌথভাবে মেয়েকে নিয়ে।

অনেককে দেখেছি, যারা বিভ্রান্ত তথ্য দিয়ে বিপথে ঠেলে দেয় অসহায় নারীকে। সত্যিকারের পথের সন্ধান দিতে পারেন না। কারণ, তারা নিজেরাই বিপথে/ বিপদে থাকে সব সময়। তারা সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে আদায় করতে চায় সুবিধা। উপপত্নী হিসেবে রাখতে চাইলেও পত্নী স্বীকৃতি দেয় না। নারীকে বুঝতে হবে, কারো প্রয়োজনে কারো আপনজন হওয়া ঠিক না। সত্যিকারের মানুষ সত্যের সন্ধান দিবে, যে রাস্তায় গেলে মিলবে মানব জীবনের সত্যিকারার্থে মুক্তি। অর্জন করতে পারবে নিজের, পরিবার, সমাজ ও দেশের জন্য সুনাম ও সম্মান। যা হবে গৌরবের। একজনের মুক্তির চেয়ে দশ জনের মুক্তি অধিকতর আনন্দের। অন্যের খুশির চেয়ে পরিবারের সদস্যদের খুশিও অধিকতর আনন্দের।

(বি. দ্র. আমি এত নারীবাদী লোক না, আমি চাই নারীরা নিজের যোগ্যতা বলে প্রতিষ্ঠিত হোক। হোচট খেয়ে/ধাক্কা খেয়ে ওঠে দাঁড়াক। নিজেকে নিজে সহযোগিতা করুক। যদিও সেই সাক্ষর নারীরা দেশ বিদেশে রেখে চলছেন।)

জব্বার আল নাঈম, কবি ও কথাসাহিত্যিক

  • সর্বশেষ
  • পঠিত