ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

একটি উইল

নেতাজি সুভাষচন্দ্র ও বল্লভভাই প্যাটেলের দ্বন্দ

  এইচ এম এ হক বাপ্পি

প্রকাশ : ০৭ মে ২০২১, ১৬:২৬

নেতাজি সুভাষচন্দ্র ও বল্লভভাই প্যাটেলের দ্বন্দ

ভারতের লৌহমানব খ্যাত ব্যারিস্টার সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের বড় ভাই ছিলেন ব্রিটিশ ভারতের অন্যতম রাজনৈতিক নেতা ও কেন্দ্রীয় আইনসভার প্রেসিডেন্ট ব্যারিস্টার সর্দার বিত্তালভাই প্যাটেল।

রাজনৈতিক জীবনের শুরুতে তিনি মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের রাজনীতি করলেও পরবর্তীত কালে মতিলাল নেহেরু এবং দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের সাথে স্বরাজ পার্র্টি প্রতিষ্ঠা করেন।

ব্রিটিশ শাসনের নাগপাশ থেকে আয়ারল্যান্ডকে মুক্ত করে সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠার অন্যতম নায়ক, আয়ারল্যান্ডের সংবিধান রচনার নেতৃত্ব দানকারী এবং দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী আইমান ডি ভ্যালেরার আমন্ত্রনে বিত্তালভাই ১৯৩১ সালের শেষের দিকে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যান। দেশব্যাপী ব্রিটিশ বিরোধি আন্দোলনে সর্বাত্মক অংশগ্রহণের কারণে ব্রিটিশ সরকারের দমন পীড়নে বিত্তালভাইয়ের শরীর আগেই ভেঙে পড়েছিল। ভিয়েনায় তার স্বাস্থ্যের আরো অবনতি হলে ক্লিনিক-লা-লিনিগ্রেয়ার নামের একটি হাসপাতালে ভর্তি হন।

এদিকে ১৯৩২ সালের অসহযোগ আন্দোলনে গ্রেপ্তার সুভাষচন্দ্র বসু জেলে অসুস্থ হয়ে পড়লে ব্রিটিশ সরকারের শর্তসাপেক্ষ প্যারোলে মুক্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন হন। হাসপাতালে নিজের থেকে ২৬ বছরের বড় বিত্তালভাই প্যাটেলকে পিতৃতুল্য জ্ঞানে সেবা-শুশ্রুষা করেন সুভাষ। নিজের ভগ্নস্বাস্থ্যের কথা ভুলে দিন-রাত সুভাষ বিত্তালভাইয়ের পাশে থেকেছেন। বিত্তালভাই সুভাষচন্দ্রের গুণমুগ্ধ হয়ে পড়েন। সুভাষচন্দ্রকে তিনি পুত্রবৎ স্নেহও করতেন।

সুভাষের জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোড় আসে বিত্তালভাই প্যাটেলের সাথে পরিচয়ের পর। সে সময়ে মাহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলন চলমান ছিল। কিন্তু গান্ধী তার স্বভাবসুলভ ভঙ্গিতে চলমান এই আন্দোলন মাঝপথে বন্ধ করে দিলেন। মাহাত্মা গান্ধীর আন্দোলনের এমন ধরণের প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে ১৯৩৩ সালের মে মাসে বিত্তালভাই প্যাটেল ও সুভাষচন্দ্র বসু একযোগে একটি ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর করেন, যার নাম ছিল ‘প্যাটেল-বসু ম্যানিফেস্টো’।

এই ইশতেহারে তারা উভয়ে মহাত্মা গান্ধীকে ‘ব্যর্থ নেতা’উল্লেখ করে কংগ্রেসের আমূল পরিবর্তনের আহ্বান জানান।

ইশতেহারে আরো বলা হয়, আন্তর্জাতিক যোগাযোগ ছাড়া ভারতের জাতীয়তাবাদী আন্দোলনকে সামনে এগিয়ে নেয়া অনেক কঠিন ব্যাপার। এ কারনেই ২২শে অক্টোবর ১৯৩৩, ভিয়েনায় বিত্তালভাই প্যাটেল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার আগে ২ অক্টোবর ১৯৩৩ সালে শেষ ইচ্ছাপত্র বা ‘উইল’-এ লিখে যান, আমার রেখে যাওয়া অর্থের তিন-চতুর্থাংশ ১ নং উডবার্ন পার্ক, কলকাতার বাসিন্দা সুভাষচন্দ্র বসু ‘ফর দ্য পলিটিক্যাল আপলিফট অফ ইন্ডিয়া’বা ভারতের রাজনৈতিক পুনরুত্থানকল্পে ব্যবহার করবেন। ভারতের রাজনৈতিক উন্নয়ন ও বিদেশে ভারতের স্বার্থ প্রচার করে জনমত একত্রিত করার কাজে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুকে প্রদত্ত এই সম্পত্তির পরিমান ছিল কয়েক লক্ষ টাকা।

দেশে ফিরে সুভাষচন্দ্র নিজেই গোটা বিষয়টি সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে জানান। কিন্তু প্যাটেল সেই উইলের যাথার্থতা স্বীকার করেননি। ন্যূনতম আলোচনার পথে না গিয়ে ব্যারিস্টার বল্লভভাই প্রতারণার অভিযোগ এনে সুভাষচন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।

মামলার মূল বক্তব্য ছিল, বিত্তালভাইয়ের শেষ ইচ্ছাপত্র সত্যি নয়। টাকার লোভেই সেবা-শুশ্রষার নামে মৃত্যুপথযাত্রী বিত্তালভাইয়ের ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন সুভাষচন্দ্র। তার সরাসরি অভিযোগ ছিল উইলটি সন্দেহজনক।

এমনকী ওই স্বাক্ষর সত্যিই বিত্তালভাইয়ের কি না, সেটা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেন। বম্বে হাইকোর্টে ১৯৩৪ সালে সুভাষচন্দ্র বসু অরিজিনাল উইল জমা করে প্রবেট আবেদন পেশ করেন। কিন্তু প্যাটেল সন্তুষ্ট হননি।

১৯৩৮ সালে হরিপুরাতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস অধিবেশনে প্যাটেল ওই সম্পত্তির দায়িত্ব নিতে কংগ্রেসের কোনও বিশেষ কমিটি গঠনের প্রিস্তাব দেন। সুভাষচন্দ্র এ প্রস্তাব মেনে নেন। তবে কমিটির তরফে যে শর্ত রাখা হয়েছিল, তা দু’জনের কেউই মেনে নিতে না পারায় সুষ্ঠু সমাধান আসেনি। এদিকে পাঁচ বছর ধরে আদালকে চলমান এ মামলায় ব্যারিস্টার সর্দারের প্রভাবে সুভাষচন্দ্র শত চেষ্টা করেও প্রমান করতে পারেননি উইলের বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত বম্বে হাইকোর্টের রায় যায় সুভাষের বিরুদ্ধে। বিত্তালভাই প্যাটেলের শেষ ইচ্ছাকে বাস্তবায়নে রূপ দেবার জন্য নেতাজি একটা পয়সাও হাতে পেলেন না।

মামলা শেষ হলেও এর তিক্ততা নেতাজিকে আজীবন পোহাতে হয়েছে। এই তিক্ততা সুভাষচন্দ্রের রাজনৈতিক জীবনে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। প্যাটেল-বসু বিরোধ তুঙ্গে ওঠে ১৯৩৮-৩৯ সালের কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনে। স্বয়ং মহাত্মা গান্ধী সুভাষচন্দ্রকে সভাপতি পদে মনোনীত করেন। কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি প্যাটেল এ মনোনয়ন নিয়ে সর্বাগ্রে আপত্তি তোলেন। অবশ্য গান্ধীজি সেই আপত্তিতে কর্ণপাত করেননি।

১৯৩৮ সালের ১৯-২২শে ফেব্রুয়ারি নেতাজি কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হলেন হরিপুরা অধিবেশনে। এই অধিবেশনে নেতাজি সভাপতি হলেন বটে, কিন্তু সংগঠনের দ্বায়িত্ব ছিল সম্পূর্ন প্যাটেলের হাতে। কারণ তৎকালীন কংগ্রেস দেশীয় পুঁজিপতিদের টাকায় চলত এবং ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে এই অর্থ আদায়ে প্যাটেলেই ছিলেন সর্বেসর্বা। ফলে সাংগঠনিক ক্ষমতা ব্যাপক অর্থে নিয়ন্ত্রনের পাশাপাশি কংগ্রেসে নেতৃত্বও নির্ধারন করতেন সর্দার প্যাটেল। কার্যত প্যাটেলই নেপথ্যে থেকে কংগ্রেসকে চালাতেন এবং কংগ্রেস সভাপতিকেও সেই মতেই চলতে হত। কিন্ত সুভাষচন্দ্র চললেন না। সভাপতি নির্বাচিত হবার পরেই সুভাষ প্যাটেলকে অগ্রাহ্য করে নিজের জ্ঞান ও আদর্শ দিয়ে দল ও দেশের স্বার্থে বিশাল কর্মযজ্ঞ শুরু করলেন।

প্যাটেল প্রথমে সুভাষচন্দ্রকে বার দুয়েক সাবধান করলেন। শেষে, নেতাজির দাদা ‘শরৎচন্দ্র বসু’কে চিঠি লিখলেন সুভাষচন্দ্র কে সামলাতে। কিন্ত সুভাষচন্দ্র কে কিছুতেই বাগে আনা সম্ভব হল না। ১৯৩৮ সালের জুলাই মাসে তৎকালীন জাতীয় কংগ্রেস নেতা ও প্রথতিযশা আইনজীবী ড. রাজেন্দ্র প্রসাদকে (পরবর্তী স্বাধীন ভারতর্বষরে প্রথম রাষ্ট্রপতি) লেখা একটি চিঠিতে সুভাষচন্দ্রকে দায়িত্বের প্রতি উদাসীন মন্তব্য করে প্যাটেল বলেন জওহর বিদেশে। অন্তত চারমাস তাকে পাওয়া যাবে না। আপনাকেও তো মাস ছয়েকের জন্য পাব না।

এই অবস্থায় আমাদের এমন একজন সভাপতির সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে, যিনি নিজের দায়িত্ব সম্বন্ধে অবহিত নন। দল হিসাবে কংগ্রেসকে পুনরুজ্জীবিত ও নতুন ছন্দে আনার জন্য এই একটা বছর যথেষ্ট নয় বিবেচনায় সুভাষ দ্বিতীয় দফায় সভাপতির পদ চাইলেন। কিন্তু প্যাটেলের সঙ্গে ‘আড়ষ্টতাপূর্ন হিমশীতল’ সম্পর্কের কারণে নেতিবাচক প্রভাবের আশংকায় দারুন সংশয়ে ভুগছিলেন সুভাষ।

২০১৪ সালে রুদ্রাংশু মুখোপাধ্যায়ের ‘নেহরু অ্যান্ড বসু:প্যারালাল লাইভস’ (পেঙ্গুইন বুক্স) বইটির ‘দ্য এন্ড অফ ফ্রেন্ডশিপ’ নামের ষষ্ঠ অধ্যায়ে লিখেছেন, ‘‘এমন প্রেক্ষিত ১৯৩৮ সালের ৬ই ডিসেম্বর, স্ত্রী এমিলি শেঙ্কলকে একটি চিঠিতে নেতাজি লিখেছিলেন ‘‘সভাপতি আরও একবার নির্বাচিত হতে পারব কি না সে নিয়ে সন্দেহ হচ্ছে বুঝলে। কারণ আমাকে হিংসে করে এমন লোকের তো অভাব নেই! সুভাষচন্দ্রের শংকা সত্যি হয়। ১৯৩৯ সালে ত্রিপুরি কংগ্রেসের জন্য প্যাটেল প্রভাবিত গান্ধী সুভাষের দাবিকে অগ্রাহ্য করে মৌলানা আজাদকে প্রার্থী মনোনীত করলেন। মৌলানা সুভাষের বিরুদ্ধে লড়তে রাজি হলেন না, গান্ধী জওহরলার নেহরুকেও অনুরোধ করেছিলেন কিন্তু তিনিও না বলায় প্রার্থী হলেন পট্টভি সীতারামাইয়া।

কংগ্রেসে বরাবর ঐক্যমতের ভিত্তিতেই সভাপতি নির্বাচিত হলেও কিন্ত সুভাষচন্দ্র নির্বাচন চাইলেন। তাতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠলেন প্যাটেল। সুভাষচন্দ্র যাতে নির্বাচনে না দাঁড়ান, সেই মর্মে সুভাষচন্দ্রের দাদা শরৎচন্দ্রকে একটি চিঠিও লিখেছিলেন তিনি।

সুভাষকে প্রতিনিয়ত বল্লভভাই প্যাটেলের প্রতিবন্ধকতার মোকাবেলা করার বিষয়ে রামচন্দ্র গুহ’র গান্ধী বিফোর ইন্ডিয়া" বইটিতে লিখেছেন, ‘১৯৩৯ সালে বসু দ্বিতীয় মেয়াদ চাইলে, প্যাটেল আবারও বিরোধিতা করেন। জনসমক্ষে তিনি বসুকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বসু নির্বাচিত হলেও তার কর্মপন্থা মূল্যাযন করা হবে, প্রয়োজনে ওয়ার্কিং কমিটি (প্যাটেলের অনুসারীদের দ্বারা) দ্বারা প্রত্যাখ্যান করা হবে। কিন্ত সুভাষচন্দ্র বললেন ওটা ঐক্যমত না, গান্ধী-প্যাটেল যাঁকে চাইবেন, সেটা গোটা ভারতের মত হতে পারে না। ফলে ভোট এড়ানো গেল না, ১৯৩৯-এর ২৯ জানুয়ারি সুভাষ ২০৩ ভোটে পট্টভিকে পরাজিত করলেন।

প্যাটেলের বিশ্বাস ছিল সুভাষ হারবেন। কারন দলের সংগঠন ছিল তাঁর হাতে। কিন্ত বাস্তবে সুভাষের জনপ্রিয়তা ছিল আকাশচুম্বী। সুভাষচন্দ্র নির্বাচিত হওয়ার পর, ১৯৩৯ সালের ৮ই ফেব্রুয়ারি ড. রাজেন্দ্র প্রসাদকে একটি চিঠি লিখে বল্লভভাই জানান যে সুভাষচন্দ্রের সঙ্গে কাজ করা অসম্ভব। তার কয়েক দিন পরেই, ১৯৩৯ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি, ওয়ার্ধায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল কংগ্রেস দলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক, সেই বৈঠকে অসুস্থতার কারণে যোগ দিতে না পেরে সুভাষচন্দ্র অনুরোধ করেছিলেন বৈঠক পিছিয়ে দিতে। তখন গোপন ষড়যন্ত্রের প্রেক্ষিতে সুভাষচন্দ্রকে চাপে ফেলতে ওয়ার্কিং কমিটির অধিকাংশ সদস্য পদত্যাগ করেন, আর সেই পদত্যাগীদের নেতৃত্বে ছিলেন বল্লভভাই। পরের মাসে ডাক্তারি নিষেধ উপেক্ষা করে সুভাষ ত্রিপুরি কংগ্রেস অধিবেশনে স্ট্রেচারে করে যোগ দেন।

কংগ্রেসের গঠনতন্ত্র অনুসারে ওয়ার্কিং কমিটি গঠনের সর্বময় ক্ষমতা সভাপতির হাতে ন্যাস্ত থাকলেও সুভাষকে চাপে রাখতে এ অধিবেশনে দলের শীর্ষ নেতাদের ইচ্ছানুযায়ী ওয়ার্কিং কমিটি গঠন করতে একটি প্রস্তাব আনা হয়। সুভাষ অনেক চেষ্টা করলেও এ প্রস্তাব পাস হয়ে যায়। সুভাষ ওয়ার্কিং কমিটি গঠনে সর্বোচ্চ চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। সুতরাং অনিবার্যভাবে ২৯ এপ্রিল ১৯৩৯ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে নতুন কমিটি গঠনে নিজের ব্যর্থতা মেনে নিয়ে সুভাষ সভাপতি পদে ইস্তফা দিতে বাধ্য হন।

ভারতের স্বাধীনতার পরেও স্বাধীন ভারতের প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের ভারতীয় সৈন্যবাহিনীতে নেতাজির আজাদ-হিন্দ বাহিনীর সৈন্যদের নিয়োগের সরাসরি বিরোধিতা করেছিলেন। এমনকি নেতাজিকে নিয়ে তিনি রেডিওতে যে কোন ধরণের অনুষ্ঠান সম্প্রচার বন্ধ করতে চেয়েছিলেন। ভারতের কোন সরকারি কার্যালয়ে ও থানায় নেতাজির ছবি রাখা যাবে না বলেও তিনি নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে তার সে চেষ্টা অন্যান্যদের বিরোধিতায় সফল হয়নি।

লেখক: কলামিস্ট, সাহিত্যিক ও সুচিন্তক

  • সর্বশেষ
  • পঠিত