শিক্ষক থেকে যেভাবে হয়ে উঠেন প্রতারক, করেছেন ৮ বিয়ে
নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২১, ১৩:১৬ আপডেট : ১৫ জুন ২০২১, ১৪:৪৭
সাংবাদিক, মানবাধিকার-কর্মী, লেখক ও ব্যবসায়ী পরিচয়ে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ভুয়া পরিচয়ে এ পর্যন্ত বিয়ে করেছেন ৮টি। বিয়ের কিছুদিন পর স্ত্রীদের সঙ্গেও করতেন প্রতারণা। অবশেষ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রতারক আতিকুর রহমান আতিক।
গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চাঞ্চল্যকর এসব তথ্য পাওয়া গেছে বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন র্যাব-৪ এর অধিনায়ক মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, বিভিন্ন ভুয়া পরিচয়ে প্রতারণার দায়ে আতিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, কথিত মানবাধিকার সংস্থার পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন এলাকায় অস্থায়ী অফিস খুলতেন কথিত সাংবাদিক আতিকুর রহমান। এসব অফিসে বসে চাকরি দেয়া, জমি উদ্ধার, ফ্ল্যাট উদ্ধারসহ বিভিন্ন কাজের কথা বলে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন বিপুল পরিমাণ টাকা।
গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে একটি ট্যাব, ১টি মোবাইল, ১টি ওয়াইফাই রাউটার, ২টি আইডি কার্ড, ৫০টি ভিজিটিং কার্ড ও পাঁচটি ফাইল উদ্ধার করা হয়।
আতিকের অপরাধ জগতের উত্থান
র্যাবের অনুসন্ধানে উঠে আসে আতিকের নানান অপকর্মের চিত্র। তার জন্ম পটুয়াখালীর গলাচিপা থানায়। স্থানীয় স্কুলে কিছু দিন সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা করেন আতিক। এরপর ২০১৭ সালে ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন নামে একটি মানবাধিকার সংস্থা খুলে নিজেই তার প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন।
র্যাব জানায়, কথিত মানবাধিকার সংস্থার চেয়ারম্যান থাকাকালে বিভিন্ন ব্যক্তির সাথে তার পরিচয় হয়। মূলত সেখান থেকেই তার প্রতারণা কার্যক্রম শুরু। দেশের বিভিন্ন নিরীহ ও সাধারণ মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাদের কাছ থেকে জমি ও টাকা পয়সা কেড়ে নিয়ে তা আত্মসাৎ করতেন আতিক। চলাফেরা করতেন আলিশান গাড়িতে।
নিজের সুন্দর চেহারা ও চলন বলনকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে সহজেই বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতেন। এরপর তাদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে সেগুলোর গোপন ভিভিও ধারণ করে ফাঁদে ফেলতেন। এসব ভিডিও কাজে লাগিয়ে তিনি নারীদের বিভিন্ন অপকর্ম কাজ করাতে বাধ্য করতেন।
এছাড়া গ্রেপ্তার আতিকের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীর গলাচিপা থানায় একটি ধর্ষণ মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বাংলাদেশ জার্নাল/এফজেড/কেআই