ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

এরাই না আবার রোগী হয়ে হাসপাতালে যান

  আবু হেনা মোর্শেদ জামান

প্রকাশ : ১৫ জুলাই ২০২১, ২২:১৭

এরাই না আবার রোগী হয়ে হাসপাতালে যান
ছবি- লেখকের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া

যখন সবাই নিয়মিত ছুটি কাটাচ্ছে আমরা তখন রাত নটা পর্যন্ত অফিস করছি। অফিস করছি এমনকি সাপ্তাহিক ছুটির দিনেও। এর জন্য তো আর অতিরিক্ত বেতন নেই- মানুষের জন্য ভালোবাসা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সদয় অনুশাসন আর দায়িত্ববোধ থেকেই করি। তবু- সমালোচনার অবধি নেই। কাজ করছি সর্ব্বোচ্চ সততার সাথে- এ কথা সাহস আর আত্মবিশ্বাসী বিনয় নিয়েই বলছি।

করোনা প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে ক্রয়বিধি অনুসরন করতে হয়। তাতে কিছু সময় লাগবেই। কারণ - অন্ধ আইন করোনা বোঝেনা। তাতেই হৈচৈ- সংকট প্রয়োজনীয় উপকরনের!

দ্রুত সরবরাহের জন্য বিধি অগ্রাহ্য করতে হবে। তাতে বাজেট মিলবে না আর অভিযোগ আসবে অনিয়ম আর দুর্নীতির! কিন্তু করোনা তো আইন বোঝে না। উভয়সংকট!

বাংলাদেশে এত জনস্বাস্থ্যবিদ আছেন- জানতাম না। টকশোর কল্যাণে জানলাম। এরা প্রায়ই অবসরপ্রাপ্ত ডাক্তার - যারা নিজেরা দায়িত্বে থাকতে দেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে কি করেছেন- তার হিসাব কে চাইবে? কিছু সংবাদকর্মী অগভীর সংবেদনশীল রিপোর্ট করে পত্রিকার পাতা গরম করবেন! অথচ এরা না বোঝেন বিষয়, না জানেন তথ্য। এদের নিয়েই টিভি হোস্ট আর সাধারণ মানুষের মাতামাতির শেষ নেই।

ছবি প্রমাণ করে - এত মৃত্যুর মিছিলেও আমাদের সচেতনতার হাল! এরাই না আবার রোগী হয়ে হাসপাতালে যান। সর্বোচ্চ চেষ্টা আর সীমাবদ্ধ সম্পদ দিয়ে আমরা আইসিইউ বেড, অক্সিজেন সিলিন্ডার সহ বিভিন্ন সামগ্রী কিনে আর সরবরাহ দিয়ে কুলোতেই পারবো না। সব কিছুর ই তো সীমা আর মাত্রা আছে।

তবুও আমাদের বোধ আর চেতনা ফিরবে না। না সাধারন মানুষ, না টিভির পর্দা গরম করা জনস্বাস্হ্যবিদ না কিছু হলুদ সাংবাদিকের! জনসচেতনতা ছাড়া করোনা প্রতিরোধ মুশকিলই হবে।

লেখকের ফেসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া

  • সর্বশেষ
  • পঠিত