ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ ঘন্টা আগে
শিরোনাম

জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১১ নভেম্বর ২০২১, ১৫:০০

জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের অর্থনীতিতে নারীর প্রত্যেক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণ রয়েছে। যা আমরা অনেক সময়ই খেয়াল করি না। তবে করোনা মহামারির সময় নারীর প্রত্যেক্ষ অংশগ্রহণ অনেক বেড়েছে। প্রায় আটারো মাস লক ডাউনসহ বিভিন্ন ধরণের অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির কারণে অনেকেই চাকরি হারিয়েছে এবং অনেকের ব্যবসায় ধস নেমেছে, বেতন কমে গেছে। এমন পরিস্থিতে সংসারের হাল ধরতে অনেক নারীই এগিয়ে এসেছেন। ঘরে বসেই পরিবারের কর্তা ব্যক্তির সাথে কাধে কাধ মিলেয়ে পরিবারকে সচল রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন। এসব নারী উদ্যোক্তারা বেশ ভালোই করছে।

পরিবারকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যাসহ সংসার ও আবাসকে গতিশীল রাখার মূল কাজটি করেন নারী, যিনি কন্যা, জায়া অথবা জননী। পরিবার ঠিক না থাকলে এর সদস্যদের কাজকর্ম ও জীবনযাপন অসম্ভব হয়ে যেতো।

একটি গবেষণায় উঠে এসেছে নারীর এই নীরব অবদানের অর্থমূল্য ১০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা; যা গত বছরের মোট জিডিপির ৭৮.৮ শতাংশ। এ গবেষণা থেকে এটাও প্রমাণ হয় যে, অর্থনীতি তথা সামগ্রিকভাবে সমাজে নারীর নীরব অবদানেক অন্তর্ভুক্ত করার মতো অর্থনৈতিক পদ্ধতির গুরুতর সংকট রয়েছে।

গবেষণায় আরও দেখানো হয়েছে যে প্রতিদিন একজন নারী গড়ে একজন পুরুষের তুলনায় প্রায় তিনগুণ সময় কাজ করেন, যা জাতীয় আয় হিসাবে অন্তর্ভুক্ত হয় না।

তবে চাকরিজীবী, ব্যাবসায়ী, পোশাক শ্রমিক ও খুদে নারী উদ্যোক্তারা অবশ্য জাতীয় অর্থনীতিতে সরাসরি অবদান রাখেন। এজন্য তারা অভিনন্দিতও হন। কিন্তু সাংসারিক কাজের মাধ্যমেও যে তারা অবদান রাখেন, তার স্বীকৃতি ও প্রতিদানও প্রয়োজন। যুগ বদলাচ্ছে, নারীর অবস্থার উন্নতি ও পূর্ণ অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো দেশের পক্ষেই এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। সুতরাং অর্থনীতিতে, আইন কাঠামোয়, রাজনীতি ও অধিকারের ক্ষেত্রে নারীর অবদানের প্রতিদান থাকা উচিত। শিক্ষার মতোই একে সমাজ বিকাশের বিনিয়োগ ভাবা উচিত। এতে নারী-পুরুষ মিলিত সমাজের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে বৈ কমবে না।

বাংলাদেশ জার্নাল/জেবি

  • সর্বশেষ
  • পঠিত