ঢাকা, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘আমার পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য আছে’

  পলিয়ার ওয়াহিদ

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২১, ২১:৫৫  
আপডেট :
 ২৩ নভেম্বর ২০২১, ১৫:১৪

‘আমার পরিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য আছে’
আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলায় ৫নং মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। দেশের বর্তমান রাজনীতি, নির্বাচন ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের চিন্তা-চেনতার কথা বলেছেন তৃণমূলের এই রাজনীতিবিদ। জনপ্রিয় অনলাইন বিডিজার্নাল-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রাজনীতি ছাড়াও উঠে এসেছে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানান বিষয়। কথা বলেছেন পলিয়ার ওয়াহিদ

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনি একবার চেয়ারম্যান ছিলেন। কেন আবার চেয়ারম্যান হতে চান? ইউনিয়ন পরিষদ ঘিরে আপনার লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: আমার পারিবারের রাজনৈতিক ঐতিহ্য দীর্ঘদিনের। বাবা ইউপির মেম্বর ছিলেন। তারপর জনগণের ভালোবাসায় ইউপি চেয়ারম্যান হন। সেখানেই থেমে থাকেননি। তুমুল জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিন হয়েছিলেন। একটানা ৩০ বছর কেশবপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। এছাড়া সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক ও সাবেক জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমত আরা সাদেক আমার ভাই ও ভাবি ছিলেন। ফলে আমার রক্তে রাজনীতি মিশে আছে। ইউনিয়ন পরিষদ ঘিরে লক্ষ্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের মিশন বাস্তবায়ন ও মানুষকে সেবার মাধ্যমে তাদের মধ্যে বেঁচে থাকা।

বাংলাদেশ জার্নাল: আগামী ৫০ বছর পর স্বপ্নের বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: সন্ত্রাস, মাদকমুক্ত ও কর্মমুখী যুবসমাজ দেখতে চাই।

বাংলাদেশ জার্নাল: ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ‘দলীয় প্রতীক’ স্থানীয় পর্যায়ে কী কী অসুবিধা তৈরি করছে বলে আপনি মনে করেন?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: ‘দলীয় প্রতীক’ স্থানীয় পর্যায়ে নানা ধরণের অসুবিধা তৈরি করছে বলে মনে করি। সবচেয়ে বড় সমস্যা নিজেদের দলের ভেতর মতপার্থক্য ও সহিংসতা বাড়ছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: ‘কেশবপুর’ কী জন্য বিখ্যাত? আপনার প্রিয় মানুষ কে? ও প্রিয় রং কী?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: কেশবপুর খেজুরের গুড় ও মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মভূমির জন্য বিখ্যাত। প্রিয় মানুষ আমার বাবা আব্দুল হালীম। প্রিয় রং রয়েল ব্লু ।

বাংলাদেশ জার্নাল: চেয়ারম্যান কিংবা কোনো পদবী ছাড়া কি সমাজসেবা কিংবা সমাজ সংস্কার করা যায়? আপনার মতামত কী?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: জনসচেতনতার মাধ্যমে সবার পাশে থেকে সমাজ সেবা করা যায়।

বাংলাদেশ জার্নাল: গত ৫ বছরে কোনো ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন কী?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: ছিলাম। অনেক সামাজিক কাজে অংশ গ্রহণ করছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনার ইউনিয়নের শিক্ষিত বেকার ও অশিক্ষিত যুবকদের নিয়ে আপনার ভাবনা কী?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: এলাকার উন্নয়ন করা ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন করে বেকারদের কাজের ক্ষেত্র তৈরি ও দরিদ্র শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনি কি কোনো ক্রীড়া সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন? থাকলে সে সংগঠনের নাম, স্থাপিত ও কার্যক্রম কী?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: সম্মিলনী সেবা সংস্থা। এখানে শুধু ক্রীড়া নয় অন্য অনেক সামাজিক কাজেও অংশগ্রহণ করা হয়। ১৯৮৭ সালে স্থাপন করা হয়। সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগণের সাথে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্পর্কে আপনার ধারণা কী? যদি আপনি নির্বাচিত না হন আপনার ভূমিকা কী হবে?

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: তাদের সঙ্গে ছিলাম এবং এখনো আছি। এবং পরে থাকবো।

বাংলাদেশ জার্নাল: ‘মঙ্গলকোট’ নামকরণের ইতিহাস কী? সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক সম্পর্কে কিছু বলুন।

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: আমার জানা নেই। উপরে তার সম্পর্কে বলেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: বাংলাদেশের ১০ জন বিখ্যাত রাজনীতিবিদের নাম বলুন, যাদের আর্দশে আপনি অনুপ্রাণিত হন।

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহ্‌রাওয়ার্দী, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাজউদ্দিন আহমদ, ক্যাপ্টেন মুনসুর আলি, এসএম কামরুজ্জামান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জননেত্রী শেখ হাসিনা ও তোফায়েল আহমদ। এদের আর্দশে আমি অনুপ্রাণিত হই।

বাংলাদেশ জার্নাল: গত এক মাসে কোনো বই পড়েছেন? পড়লে বইটির নাম কী? মাইকেল মধুসূদন দত্ত কে? তার একটি বইয়ের নাম বলুন।

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: না, গত মাসে কোনো বই পড়িনি। মাইকেল মধুসূদন দত্ত একজন কবি। তার একটি বইয়ের নাম ‌‘একেই বলে সভ্যতা’।

বাংলাদেশ জার্নাল: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।

আব্দুল্লাহ-নূর-আল আহসান বাচ্চু: ধন্যবাদ আপনাকেও, আমাকে সময় দেয়ার জন্য।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত