ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

‘ইউনিয়নবাসীকে হয়রানিমুক্ত করতে চাই’

  পলিয়ার ওয়াহিদ

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ২১:০৮

‘ইউনিয়নবাসীকে হয়রানিমুক্ত করতে চাই’

পঞ্চম ধাপের ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী শেখ অহিদুজ্জামান মিন্টু। তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করছেন। বর্তমান দেশের রাজনীতি, নির্বাচন ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজের চিন্তা-ভাবনার কথা জানালেন তৃণমূলের এই তরুণ সমাজসেবী ও রাজনীতিবিদ। জনপ্রিয় অনলাইন বিডিজার্নাল-এর সঙ্গে একান্ত আলাপচারিতায় রাজনীতি ছাড়াও উঠে এসেছে ব্যক্তিগত, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নানান বিষয়। কথা বলেছেন পলিয়ার ওয়াহিদ

বাংলাদেশ জার্নাল: কেন চেয়ারম্যান হতে চান? ইউনিয়ন পরিষদ ঘিরে আপনার লক্ষ্য ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা কী ?

অহিদুজ্জামান মিন্টু: ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়ন একটি ঐতিহ্যবাহী ইউনিয়ন। চেয়ারম্যান হতে হয় মানুষের সেবা করার জন্য। কিন্ত এই ইউনিয়নের মানুষ চেয়ারম্যান দ্বারা বিভিন্ন হয়রানির শিকার হয়ে আসছে। সামান্য কাজের জন্য গেলেও বিভিন্ন ভনিতার মুখোমুখি হতে হয় ইউনিয়নের মানুষের। তাই ইউনিয়নবাসীর পাশে আমি দাঁড়াতে চাই। যাতে ইউনিয়নবাসীর শতভাগ সেবা নিশ্চিত করতে পারি। যেমন: ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নকে মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গড়তে চাই। এজন্য বিভিন্ন উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ডে জনগণকে সম্পৃক্ত করতে চায়। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, কৃষি সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠানগুলোকে গতিশীল ও ইউনিয়নবাসী যাতে সঠিব সেবা ও সুযোগ পায় সে লক্ষ্যে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করব। সর্বোপরি ১নং ত্রিমোহিনী ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত ইউনিয়ন গড়তে চাই।

বাংলাদেশ জার্নাল: আগামী ৫০ বছর পর স্বপ্নের বাংলাদেশকে কেমন দেখতে চান ?

অহিদুজ্জামান মিন্টু: বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর মত বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাই।

বাংলাদেশ জার্নাল: ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের দলীয় প্রতীক স্থানীয় পর্যায়ে কী কী অসুবিধা করছে বলে আপনি মনে করেন?

শেখ অহিদুজ্জামান মিন্টু: অসুবিধা তেমন কিছু নয়। কিন্ত কিছু অনুপ্রবেশকারী জামায়াত-বিএনপির উস্কানিতে বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছে। তারা নৌকার বিরোধিতা করছে।

বাংলাদেশ জার্নাল : ‘কেশবপুর’ কিসের জন্য বিখ্যাত? আপনার প্রিয় রং কী ?

অহিদুজ্জামান মিন্টু: কবি মাইকেল মসুসূদন দত্ত ও কালোমুখো হনুমানের জন্য বিখ্যাত এবং এক সময় খেজুর গুড়ের জন্য বিখ্যাত ছিল। আমার প্রিয় রঙ লাল ও সবুজ।

বাংলাদেশ জার্নাল: চেয়ারম্যান কিংবা কোন পদবী ছাড়া কি সমাজ সেবক বা সমাজ সংস্কার করা যায় ?

অহিদুজ্জামান মিন্টু: অবশ্যই। যেমন আমি ১৫/২০ বছর সমাজে বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল-কলেজ ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে অবদান রেখেছি।

বাংলাদেশ জার্নাল: গত ৫ বছরে কোন ধরনের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন কী?

অহিদুজ্জামান মিন্টু: হ্যাঁ ছিলাম। যুব সমাজকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা ও ২৬ মার্চ, ১৬ ডিসেম্বর, ২১ শে ফেব্রুয়ারি ইত্যাদি রাষ্ট্রীয় দিবসসহ বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালন করে থাকি।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনার ইউনিয়নের শিক্ষত বেকার যুবক ও অশিক্ষত বেকার যুবকদের নিয়ে আপনার ভাবনা কী ?

অহিদুজ্জামান মিন্টু: মির্জানগর ঐতিহ্যবাহী গ্রামে তিনটি স্থান: বাওড়, হাম্মামখানা, ও জমিদার বাড়ি। এই তিনটি স্থানকে কেন্দ্র করে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বাংলাদেশ জার্নাল: আপনার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সম্পর্কে আপনার ধারণা কী? যদি আপনি নির্বাচিত না হন আপনার ভূমিকা কী হবে?

অহিদুজ্জামান মিন্টু: তাদের নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনীত করেন তাহলে আমি বিশ্বাস করি তারা আমার পক্ষ হয়ে কাজ করবেন। আর যদি তারা মনোনয়ন পায় তাহলে আমি তাদের হয়ে কাজ করব ইনশাআল্লাহ।

বাংলাদেশ জার্নাল: ‌‘ত্রিমোহিনী’ নামকরণের ইতিহাস কী ? সাবেক শিক্ষামন্ত্রী এ এস এইচ কে সাদেক সম্পর্কে কিছু বলুন।

অহিদুজ্জামান মিন্টু: তিনটি নদী এক জায়গায় মিলিত হয়ে মোহনা তৈরি করেছে। ফলে ত্রি-মোহনা থেকেই ত্রিমোহিনী নামের উৎপত্তি হয়েছে। এবং কালক্রমে এভাবেই ত্রিমোহিনী নামকরণ। সাদেক সাহেব সম্পর্কে আমার বলার মত ভাষা নেই। তিনি একজন আন্তর্জাতিকমানের ব্যক্তিত্ব, সফল শিক্ষামন্ত্রী, আমাদের মাতৃভাষাকে আন্তর্জাতিকভাবে স্কীকৃতি দানে তাঁর অবদান সর্বপেক্ষা। তিনি চাকুরী জীবনে বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশে সুনাম ও দক্ষতার সহিত কাজ করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল: বাংলাদেশের ১০জন রাজনীতি বিদের নাম যাদের দ্বারা আপনি অনুপ্রাণিত হন।

অহিদুজ্জামান মিন্টু: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর ররহমান, মওলানা আব্দুল হামিদ খাঁন ভাঁসানী, তাজউদ্দীন আহম্মদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ক্যাপ্টেন এম মুনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামান, জিল্লুর রহমান, শেখ ফজলুল হক মনি, আবদুল হামিদ, আইভি রহমান, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও জননেত্রী শেখ হাসিনা, এ এস এইচ কে সাদেক।

বাংলাদেশ জার্নাল: গত ১ মাসে আপনি কোন বই পড়েছেন? মাইকেল মধুসূদন দত্ত কে? তার একটি বইয়ের নাম বলুন?

অহিদুজ্জামান মিন্টু: হ্যাঁ পড়েছি। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী। মাইকেল মধুসূদন আমাদের মহাকবি। তার বিখ্যাত রচিত গ্রন্থ সনেট।

বাংলাদেশ জার্নাল: সময় দেয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

অহিদুজ্জামান মিন্টু: বাংলাদেশ জার্নালকেও ধন্যবাদ।

বাংলাদেশ জার্নাল/পিও/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত