ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে দেশের নারীরাও

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ১০ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:৪৩

ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে দেশের নারীরাও
ছবি-সংগৃহীত

ছেলেদের পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশের নারীরাও। নিজেদের যোগ্যতায় জায়গা করে নিচ্ছে অনলাইন মার্কেটপ্লেসগুলোতে, উপার্জন করছে বেশ। আনছে বৈদেশিক মুদ্রাও। এর আগে দেশে নারীদের আউটসোর্সিংয়ে আগ্রহী করে তুলতে ২০১৪ সালে দেশসেরা ১০ নারী ফ্রিল্যান্সার নির্বাচিত করা হয়েছিল। তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক তাদের হাতে স্বীকৃতি স্মারক তুলে দিয়েছিলেন।

দেশসেরা ১০ নারী ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে রয়েছেন-

এসইও বিশেষজ্ঞ আমেনা আক্তার। ২০১১ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং করে আসছেন তিনি। তিনি মেয়েদেরকে হাতে-কলমে ফ্রিল্যান্সিং শেখাতে গড়ে তুলেছেন টেরিস্টেরিয়াল আইটি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।

নিজের চেষ্টায় কাজ শিখেছেন তানিয়া তাহমিনা।শুরুতে অনলাইন মার্কেট প্লেসে কাজ করার ব্যাপারে বন্ধুদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণা পান তিনি। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে এসইও এর প্রথম ক্লায়েন্ট পান। এরপর থেকে আর কখনো পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দক্ষতা অর্জন করেছেন বর্তমানে এইচটিএমএল কোডিংয়ের কাজেও। শিখছেন গ্রাফিক্স, জাভাস্ক্রিপ্ট, পিএইচপি।

চাকরি জীবনের নানান তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকেই ফ্রিল্যান্সিং বেছে নেন নাইমা চৌধুরী। অবশ্য বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত নারী ফ্রিল্যান্সার ইমরাজিনা খান এবং মারজান আহমেদের গল্প তাকে উদ্বুদ্ধ করে। সে সময় আউটসোর্সিং নিয়ে বিভিন্ন সেমিনার ও ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৩ সালের ক্রিয়েটিভ আইটিতে কোর্স করে লেগে পড়েন কাজে।

মার্চেন্ডাইজার হিসেবে শুরু করলেও মা হওয়ার পর ফ্রিল্যান্সিংকেই ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন তানজিন আক্তার মুনমুন। অনলাইনে অধিকাংশ সময় সক্রিয় থাকায় মার্কেটপ্লেসেগুলোতে উপার্জনের রাস্তা খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয়নি তার। তার এই যাত্রা শুরু হয় ২০১২ সালে। গ্রাফিক্স নিয়ে কাজ করেন তিনি। তবে ওয়েব ডিজাইন এবং এসইওতেও রয়েছে তার সমান দক্ষতা।

জিনিয়া সওদাগর জ্যোতি। মায়ের উৎসাহ পেয়ে ফ্রিল্যান্সিংয়ে পথ চলা শুরু তার। কাজ শিখেছেন নিজে নিজেই। ২০১৩ সাল থেকে ফ্রিলান্সিং করে আসছেন। ইন্টারনেট ও কম্পিউটারের ব্যবহার জানায় এবং ইংলিশ লিটারেচারের ছাত্রী হওয়ায় তার সফলতা এসেছে অন্যদের চেয়েও দ্রুত।

আর্টিকেল রাইটিং দিয়ে শুরু করলেও পরে গ্রাফিকস নিয়ে কাজ করেছেন আয়েশা সিদ্দিকা। কম্পিউটারে কাজ করার প্রবল ঝোঁক থেকেই ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন আয়েশা সিদ্দিকা। ব্লগিংয়ে তিনি সিদ্ধহস্ত। ২০১০ থেকে তার ব্লগে লেখালেখির শুরু, তবে ২০১১ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আর্টিকেল রাইটিংয়ে আসেন। সে সময় ক্রিয়েটিভ আইটির ১০০ নারী স্কলারশিপ ব্যাচে গ্রাফিক্স ডিজাইনিংয়ের উপর কাজ শেখার সুযোগ পান।

স্বাধীনভাবে কাজ করার ইচ্ছে থেকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে আসেন ফৌজিয়া ইয়াসমিন শ্রাবণীও। কলেজ জীবনেই খুলেন একটি ফ্যাশন হাউজ। কিন্তু পড়াশোনার চাপে তা বন্ধ করে দিতে হয়। তার বোন ওডেক্সে এসইও’র কাজ করতেন। পড়াশোনা সমাপ্ত করে বোনের সহায়তায় তিনিও এই কাজ শুরু করেন। প্রথমে বিরক্তি লাগলেও পরে কাজে মন বসে যায়। ২০১১ সালে এসইও দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করে হয়ে উঠেন পুরাদস্তুর অনলাইন পেশাজীবী। এসইও’র কাজ করেই মাসে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা আয় করছেন বর্তমানে। ওয়েব ডিজাইন, ইমেইল মার্কেটিং ও এসএমএম এর কাজেও বেশ পটু তিনি।

সংসারের কাজের ফাঁকে অনলাইনে আয় করেন ফারজানা তিথি নামে আরেক নারী। ২০১৪ সাল থেকে ফ্রিল্যান্সিং শুরু তার। মূলত তিনি একজন আর্টিস্ট।

চাকরিতে মেয়েদের নানা রকম প্রতিকূল পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় এমন চিন্তা থেকে ২০১১ সালে ফ্রিলান্সিং শুরু করেন জুঁই সাহা। এসইও এবং ইমেইল মার্কেটিং নিয়ে রয়েছে তার বিশেষ দক্ষতা। মাসে সর্বোচ্চ ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেছেন তিনি। তবে আরও ভালো ক্লায়েন্ট পেতে ওয়েব ডিজাইনের কাজ শিখছেন।

মা হবার পর চাকরি ছেড়ে দিয়ে পুরোদস্তুর ফ্রিল্যান্সার শুরু করেন শবনম ইয়াসমিন। বাসার অন্যান্য কাজের পাশাপাশি দিনে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ফ্রিল্যান্সিংয়ে ব্যয় করেন। ২০১৩ সালে ক্রিয়েটিভ আইটি থেকে গ্রাফিক ডিজাইনে স্কলারশিপ পান। কোর্স শেষ করে ২০১৪ সালের জুন থেকে কাজ করে আসছেন। পরে ওডেস্কে আর্টিকেল রাইটিং, এসইও এবং গ্রাফিকস নিয়ে কাজ করেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/পিএল

  • সর্বশেষ
  • পঠিত