প্রত্যূষা সরকারের তিনটি কবিতা
শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ০০:৫০
||যাকে আমি অ-কবিতা বলি||
আমরা খুব তাড়াতাড়ি এক্স হয়ে যাই
ধনে শাক নটে শাক কিংবা পাতিলেবুর মতো পচিয়ে ফেলা সম্পর্ক
আলের ভেতর গলি খোঁজেআমরা মানিয়ে নিতে এড়িয়ে যাই পারি না বললে ভুল হবে
কবিতাকে কবিতা ছাড়া অন্য একটা নাম দিলে এসব লেখার সাথে বরং ন্যায় করা হবে...
আমরা খুব তাড়াতাড়ি এক্স হয়ে যাই
ওয়াই, জেট, বা এ বি হই না কখনও...
একদিন হতেও পারি!আসলে সময় ডেফিনেশান বদলাতে বদলাতে অনেকগুলো অপশান বাড়িয়ে দেয়
||আমি সান্তা লিখিনি কখনও||
খেলনা শহরে মোমবাতি নিভে গেলে
ছমছমে টুনি জ্বলে ওঠে,
বিছানায় রোদ্দুর-ভাদ্রটুপি পরা জেরুজালেম ঘাড় গুটিয়ে নেয় পাহাড় চূড়ায় নাস্তিক স্তব, হৈচৈ হট্টগোল
এরপরেও একটা থিসিস লেখা হবে
আধ টুকরো কেক থেকে বেরিয়ে আসবে
আনুমানিক তিন চামচ নুনআমরা গুটিগুটি ঘুমে সান্তা লিখবো লিখেই যাবো, দুঃখ নিয়ে ত্রুটি-মন্দ আলোড়ন
এসি চলবে, টেম্পারেচার তিরিশ
অভাবকে স্বভাব করে বলতে ভালোই লাগে,
হিটার কেনার পয়সা নেইএদেশে গরম পড়ে খুব বেশি
টুইন-ওয়ান আইসক্রিমের দিকে তাকিয়ে
অভাবশূন্য মেয়েটা
আবারও বলবে,- একটাও গুলাপ বিককিরি হলো না গো বাবু!
|| মা ||
একটা আকাশ, অর্ধেক শূন্যতা বাকিটা তেল নুন ঘাম আর জীবন্ত পুতুল...
আশ্চর্য সহনশীলতা তোমাকে আরও বেশি করে শক্ত করে নরম আঁচলে আগুন ছিটিয়ে দেয় চিরহরিৎ প্রেম
কড়াই নড়ে ওঠে কিলবিল সূত্র, ভবঘুরে পাটিগণিত
যতটা স্নেহ ঢেলে মা হওয়া যায় ততটা আগুনে কেন তোমাকে উদযাপন করা যায় না?
বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে