ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

সৌমিত বসুর তিনটি কবিতা

  শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক

প্রকাশ : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৭:১৪

সৌমিত বসুর তিনটি কবিতা
ছবি- সংগৃহীত

|| ভোর হলে শত্রুরা ঘুমোতে যায় ||

রাজনীতি করে কবিতা হয় না

গুণ্ডামি করেও নয়

একটা স্লেটের মতন মন চাই

যাতে লেখা যায়, মোছা যায়

রাগ, হিংসা, ঘৃণা পুষে রাখে না সে

আমি সেই মন খুঁজি, বেলা গড়িয়ে যায়|

আমি রাজনীতি করে দেখেছি

কবিতা নিয়ে তার কোনো মাথাব্যাথা নেই

ক্ষমতা ছাড়া অন্য কোনো কবিতার ভাষা

সে বুঝতেই চায় না

সে বড়জোর কবিতাকে ব্যবহার করে

টিকে থাকার তাগিদে

জনগণকে বোঝাতে তিনিও

সংস্কৃতি পরায়ণ|

আমি গুণ্ডামি করেও দেখেছি

তা দিয়ে শুধুমাত্র

শরীরের দখল নেওয়া যায়

হাত ধুয়ে ফেললেও মাঝরাতে

লাল হয়ে ওঠে হাতের তালু

বালিশের নিচ থেকে চাকুর গন্ধ

ভেসে ওঠে, ঘুমোতে দেয় না |

আমি মনের দখল চাই

এসো বন্ধু, দু'দণ্ড বসি গাছের ছায়ায়

এই নাও জল ন্যাকড়া, স্লেট পেন্সিল

তুমি লেখো, আমি মুছি

আমি লিখি তুমি মুছে দাও|

|| নাগরদোলা ||

আমার মা বলেন

আমার বউ নাকি অনেক দূরের কথা

স্পষ্ট শুনতে পারে

এমনকি যা বলা হয়নি তাও

কল্পনা মিশিয়ে দাঁড় করিয়ে দিতে পারে।

আমার বউ বলে

আমার মা নাকি অনেক দূরের জিনিস

স্পষ্ট দেখতে পারে

এমনকি যা নেই তাও

কল্পনা মিশিয়ে নাগাড়ে বলে যেতে পারে।

আমাদের সংসারে কোনোদিন কোনো অশান্তি নেই

আমি শুনি কম,

দেখি তার চেয়ে আরো কম।

|| হে মহাজীবন ||

তিনি আমাদের শিখিয়েছিলেন

কিভাবে রাজার ছবির ওপর থুতু ফেলতে হয়

আমরা শিখিনি; ভয়ে, সামাজিকতায়, বশ্যতায় |

দূরে সমুদ্রের ওপর জেগে উঠছে তার চূড়ো

ভিজিয়ে দিচ্ছে আমাদের কাপড় চোপড়,

গ্লানি, সমূহ অতীত;

চোখ জ্বালা করে কান্না এসে দাঁড়াচ্ছে

রেটিনা ব রা ব র

স্পর্শ এসে দুলিয়ে দিচ্ছে বিশ্ব ব্রম্মান্ড

একটি ছড়ি হাতে নিয়ে তিনি হেঁটে চলেছেন

উত্তর থেকে দক্ষিণ

পায়ের স্পর্শে নেচে উঠছে অভাবী ভারতবর্ষ |

বিজ্ঞাপনের সমস্ত রং শুষে নিয়ে

একটি বিশাল বটগাছ ডালপালা ছড়িয়ে

উন্মাদের মতো শুধু হাসছে

আর তার তলায় ছায়া পোহাচ্ছে একনৌকো সন্ততি

বাংলাদেশ জার্নাল/এমজে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত