ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৭ মিনিট আগে
শিরোনাম

আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্য সৈকতের

  আলফি শাহরীন

প্রকাশ : ২৫ মে ২০২২, ১৩:২৫

আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্য সৈকতের

তারুণ্যের উচ্ছ্বাসে, দুরন্ত দুর্বারে এগিয়ে চলছে আমাদের তরুণ সমাজ। দুর্বার তারুণ্য মানেই নতুন কোনো চমক। সেই সাথে ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়ে উপস্থিত হওয়া। সামাজিক কাজের মধ্যেই আজকের তরুণরা তাদের চলার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অনুপ্রেরনা খুঁজে পায়। তারা ভালবাসে সমাজে বঞ্চিত মানুষদের পাশে থাকতে। তেমনি একজন সমাজ প্রেমিক সৈকতের সাথে কথা হয় বাংলাদেশ জার্নালের।আসুন তার কাছেই শুনে নেই তার দুরুন্ত দূর্বারে এগিয়ে যাওয়ার গল্প।

‘আমি মো. হোসেন ইমাম সৈকত, পড়াশোনা করছি ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব) ব্যাচেলর অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে। পড়াশোনার পাশাপাশি ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সভাপতি হিসেবে কাজ করছি।

পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজের আর্থসামাজিক উন্নয়নে কাজ করার লক্ষ্যে ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবের সাথে নিযুক্ত আছি। ছোটবেলা থেকেই নিজের এলাকার ছোট ছোট সংগঠনে জড়িত ছিলাম। উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে থাকাকালীন বন্ধুদের নিয়ে ২০১৬ সালে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য স্কুল গড়ে তুলেছিলাম। সেখান থেকেই মূলত এই ক্লাবে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করি। পথশিশু এবং সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবে যোগদান করা হয়। আমার পরিবারের কাছ থেকে সার্বিক উৎসাহ পেয়েছি বলেই এই সকল সামাজিক কর্মকান্ডে জড়িত আছি।

অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে অধ্যায়নরত অবস্থায় সাধারণ সদস্য হিসেবে ইউল্যাবে সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাবে যুক্ত হই। রক্তদান, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা ধরনের সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে নিযুক্ত থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করি। আস্তে আস্তে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করতে পেরে, বর্তমানে এই ক্লাবের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি৷ এছাড়া লকডাউন চলাকালীন সময়ে আমরা রিকশাওয়ালাদের মাঝে সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরন করি।

শুধু তাই নয়, ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব প্রতিবছর দেশের নানা প্রান্তে অসহায় মানুষের মাঝে শীতের কম্বলসহ পুরোনো কাপড় বিতরণ করে আসছে। এছাড়া রক্তদান কর্মসূচি, সুবিধাবঞ্চিত বাচ্চাদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, শিক্ষার্থীদের স্কিল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে ওয়েব-মিনার, অসহায়-দুস্থ পরিবারের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণ এবং মেয়েদের নিজ নিরাপত্তা রক্ষার্থে মার্শাল আর্ট প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানা ধরনের কর্মকান্ড আমরা ইউল্যাব সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার ক্লাব করে থাকি।

আমাদের ক্লাবের সার্বিক কর্মকান্ডে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। পড়াশোনার পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নে অংশগ্রহন করতে পেরে নিজেকে নিয়ে এবং নিজের বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ববোধ করি।

ভবিষ্যৎ ইচ্ছে আছে এই কাজকে আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার। পাশাপাশি নিজের একটি সংগঠন গড়ে তোলার। নিজের সংগঠনের মাধ্যমে সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। পোঁছে দিতে চাই আরও অনেক সহায়তার হাত। ভবিষ্যতে আর্থসামাজিক উন্নয়নই আমার কাজ করার একমাত্র লক্ষ্য।’

বাংলাদেশ জার্নাল/এএস/এসএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত