ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : কিছুক্ষণ আগে
শিরোনাম

ফামিয়া'স ফাইনেরী

  আলফি শাহরীন

প্রকাশ : ২৮ মে ২০২২, ১৪:০০  
আপডেট :
 ২৮ মে ২০২২, ১৫:২৫

ফামিয়া'স ফাইনেরী

আজকের নারীরা স্বয়ংসিদ্ধা। তারা আজ কোন ক্ষেত্রেই নেই পিছিয়ে, হয়েছে আত্মনির্ভরশীল। এই যুগে শুধু ছেলেরাই নয় মেয়েরাও ধরতে পারে তাদের পরিবারের হাল। এমনকি পরিবার থেকে হাত খরচ যাতে না চাইতে হয় সেজন্য পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেরাই করে নিচ্ছেন নিজেদের কর্মব্যবস্থা। ঠিক তেমনি পড়াশোনার পাশাপাশি নিজেকে স্বাবলম্বী করে তুলেছেন ফামিয়া।

তার এগিয়ে যাওয়ার সেই সুন্দর গল্পটি বাংলাদেশ জার্নালকে নিজের মুখেই জানালেন ফামিয়া। জেনে নেয়া যাক তার পথচলার সংগ্রাম।

“আমি ফামিয়া দিলশাদ কাজল। বর্তমানে আমি বি.এসসি করছি ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ-এর কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টে। ছোটবেলা থেকে পরিবার এবং আমার ইচ্ছা ছিলো বড় হয়ে ডাক্তার কিংবা ইঞ্জিনিয়ার হবো কিন্তু আরও একটি স্বপ্ন দেখতাম আমি, বড় হয়ে নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হবে এবং সেখানে অনেক বেকার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিব।

নিজের এত বড় স্বপ্নকে বাস্তবে রূপান্তরিত করতে ২০২০ সালের করোনা মহামারীর সময় টাকে উপযুক্ত মনে করলাম এবং ছোটখাটো একটি অনলাইন বিজনেস দেয়ার মাধ্যমে নিজেকে স্বাবলম্বী করে তোলার পথ চলা শুরু করলাম।

ছোটবেলা থেকেই নিজের ড্রেসআপ এবং জুয়েলারি কেনাকাটায় খুবই রুচিসম্মত ছিলাম, খুব বাছাই করে সেসব কেনাকাটা করতাম এবং সেগুলো রিলেটিভ এবং কাজিনদের খুব পছন্দ হতো। তাই এই প্লাটফর্মেই আমার বিজনেস শুরু করতে চেয়েছিলাম। নিজের পরিচয়েই আমার বিজনেসটি পরিচিত করে তুলতে চেয়েছিলাম। তাই আমার নামের সাথে মিল রেখেই Famia's Finery নামে একটি ফেসবুক পেজ খুলে আমার বিজনেস-এর যাত্রা শুরু করি। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার সুবাদে কিছুটা ডিজাইন পারতাম এবং সেই দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার ফেসবুক পেজটি ডিজাইন ও সেটআপ করি।

অনলাইন প্লাটফর্মের মাধ্যমে মানুষ এখন ঘরে বসেই নিজের ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন। এই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে অনেক মানুষ এখন স্বাবলম্বী হয়ে উঠছেন। তাই শুরু থেকেই আমার অনেক প্রতিযোগী ছিলো। এত প্রতিযোগিতার মধ্যে আমার এই ছোট নতুন ব্যবসাটিকে সবার মাঝে তুলে ধরা এবং পরিবারের কারোই এই বিষয়ে তেমন অভিজ্ঞতা না থাকায়, আমার ব্যবসাটি সুষ্ঠভাবে পরিচালনা করা ছিলো আমার জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং।

কাপড় এবং জুয়েলারির উপাদান যাচাই করে সেগুলোর গুণগত মান নিশ্চিত করে,কাস্টমারদের পছন্দ এবং চাহিদাকে মূল্যায়ন করে,পাইকারিতে সেগুলো আনার ব্যবস্থা করে সুলভ মূল্যে আমার কাস্টমারদের কাছে সেগুলো পৌঁছে দেয়াই ছিলো আমার প্রধান লক্ষ্য। বর্তমানে অনলাইন প্লাটফর্ম এ কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে অনেক মানুষ অনলাইন কেনাকাটায় প্রতারিত হচ্ছেন। তাই এই বিষয়ে শুরু থেকেই খুব ডেডিকেটেড ছিলাম মানুষ যেন আস্থা রেখে নিশ্চিন্তার সাথে আমার অনলাইন পেজ থেকে কেনাকাটা করতে পারে।

নিজের ব্যবসাটাকে সামনে এগিয়ে নিতে অনেক বাধা-বিপত্তির সম্মুখীন হতে হয়েছে।মহামারীতে পড়াশোনার চাপ কম থাকায়, সেই সময়টাকে কাজে লাগিয়ে আমি আমার সমস্যাগুলো সমাধান করতে পেরেছি।আল্লাহর অশেষ রহমতে আমার পরিবার এবং কাছের কিছু বন্ধু শুরু থেকেই আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা দিয়েছে এবং তাদের সাপোর্ট আমাকে সামনে এগিয়ে যাওয়ার সাহস জাগিয়েছে।

আলহামদুলিল্লাহ এত অল্প সময়ে এত মানুষের ভালোবাসা এবং বিশ্বাস অর্জন করতে পারব সেটা ভাবিনি।এই ভাবেই মানুষের ভালোবাসা নিয়ে ভবিষ্যতে আমার অনলাইন পেজটিকে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত করে সেখানে বেকারত্ব মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে আমার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করতে চাই।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএস/কেএ

  • সর্বশেষ
  • পঠিত