ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৮ মিনিট আগে
শিরোনাম

রূপে গুণে অনন্যা

  আলফি শাহরীন

প্রকাশ : ২৮ জুন ২০২২, ১৪:১২  
আপডেট :
 ৩০ জুন ২০২২, ১৬:২৫

রূপে গুণে অনন্যা

রূপে গুণে অনন্যা নারী- এই কথাটি বাস্তবে প্রমাণ করে দিচ্ছে আজকের দিনের সাবলম্বী নারীরা। তারা আজ শুধু সংসারী নয়, ঘরে বাহিরে সব দিকেই নিজেকে সামলে নিচ্ছে এবং করে তুলছে আত্মবিশ্বাসী। তারই এক অসাধরণ প্রমাণ দিলেন তানহা শারমীন অনন্যা। ঘরের দায়িত্ব নেয়ার পাশাপাশি নিজেকে করে তুলেছেন একজন সফল উদ্যোক্তা।

অনন্যা তার এই পথ চলার গল্প জানালেন বাংলাদেশ জার্নালকে। আসুন জেনে নেই অনন্যার এগিয়ে যাওয়ার গল্প-

তানহা শারমীন অনন্যা, পড়াশোনা করছেন ইউডা চারুকলায় ড্রইং এ্যান্ড পেইন্টিং নিয়ে। পাশাপাশি অনলাইন হ্যান্ডপেইন্টেড জামার ছোট একটি বিজনেস পরিচালনা করছেন। অনন্যা জানান ছোট বেলা থেকেই ছবি আঁকার শখ ছিল তার। সেই সাথে কাস্টমাইজড প্রোডাক্টের প্রতিও তার বেশ ঝোঁক ছিল। স্কুলে পড়ার সময় থেকেই নিজের জন্য তিনি টুকটাক জুয়েলারি বানাতেন এবং জামাতে পেইন্ট এর কাজ করতেন। সেগুলো দেখে বন্ধুরা বেশ প্রশংসা করতেন এবং আগ্রহ প্রকাশ করতেন তাদের জন্যও তৈরি করে দেয়ার।

সেই থেকে অনন্যার কাজের যাত্রা শুরু। তবে তখনো কোন পরিকল্পনা ছিল না তার এই কাজকে বিজনেসে পরিণত করার। এতো ছোট বয়সে তেমন কোন কিছু ভালো করে জানা ছিল না অনন্যার। বাংলাদেশ জার্নালের কাছে তার কাজের অগ্রযাত্রার গল্প তুলে ধরেন অনন্যা। তিনি বলেন, ২০২১ সালে আমি আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষ আমার মাকে হারায়। এরপর সংসার এর সকল দায়িত্ব চলে আসে আমার কাঁধে।

ছোটবেলা থেকে ছবি আঁকায় এবং পরবর্তীতে এই বিষয়ে পড়া শোনার ক্ষেত্রে মা'র উৎসাহ আর অনুপ্রেরণা পেয়েছি সবচেয়ে বেশি। তাই মায়ের এই অনুপ্রেরনায় সংসারের সব কিছু সামলে নেয়ার পাশাপাশি মনে হল আমার কাজকে শুধু নিজেদের মধ্যে নয়, সময় এসেছে সবার সামনে তুলে ধরার। সময় এসেছে নিজেকে আত্মবিশ্বাসী করে তোলার। সেই ভাবনা থেকেই আমার অনলাইন বিজনেসের যাত্রা শুরু করি।

মায়ের স্মৃতি যেন অনন্যার কাজের সাথে জুড়ে থাকে সবসময় তাই মায়ের নামেই অনলাইন পেইজের নাম দেন "রোজী"। খুব কম সময়ে যে এতো ভালো সাড়া পাবেন তা ভেবে উঠতে পারেননি অনন্যা।

অনন্যা সর্বদা চেষ্টা করেন ডিজাইন এর ক্ষেত্রে নিজস্বতা বজায় রাখার এবং একটু ইউনিক আর ভিন্নধর্মী ডিজাইন করার। ক্লায়েন্টের পজিটিভ ফিডব্যাক অনন্যার আগ্রহ বাড়িয়ে দেয় আরও দিগুণ। কাজের প্রতি তাকে যোগায় সাহস এবং অনুপ্রেরণা সামনে এগিয়ে যাওয়ার।

পড়াশোনার পাশাপাশি পেইজের কাজ চালিয়ে যাওয়াটা মাঝে মাঝে একটু কষ্টকর হয়ে যায় বলে জানান অনন্যা। কারণ এই কাজ বেশ সময়সাপেক্ষ এবং ধৈর্যের ব্যাপার। তবে সকল বাঁধাকেই মোকাবেলা করে সামনে এগিয়ে যেতে চান অনন্যা। বাংলাদেশ জার্নালকে তার ইচ্ছের কথা জানান অনন্যা। তিনি বলেন, ইচ্ছে আছে তার এই ছোট উদ্যোগ এর পরিসরটা আস্তে আস্তে অনেক বড় করা এবং আরও অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত