ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৫২ মিনিট আগে
শিরোনাম

জুরাইনে আাঁখি হত্যা

পৈত্রিক সম্পত্তির জন্যই ভাবীকে খুন করেন দেবর!

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২২, ২০:৫১

পৈত্রিক সম্পত্তির জন্যই ভাবীকে খুন করেন দেবর!

পৈত্রিক সম্পত্তির জন্যই রাজধানীর কদমতলীর জুরাইন এলাকায় ভাবীকে পিটিয়ে হত্যা করেন দেবর কামাল হোসেন ওরফে টিকটিকি কামাল। হত্যার ঘটনায় স্বামীর দায়ের করা মামলায় দেবর টিকটিকি কামাল গ্রেপ্তার হলেও মামলা তুলে নিতে অব্যাহতভাবে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

মামলার বাদী টিকটিকি কামালের বড় ভাই মনির হোসেন অভিযোগ করেছেন, গ্রেপ্তার হওয়া আরেক ভাই আলতাফ হোসেন ৩/৪ দিন আগে জামিনে মুক্তি পেয়ে হুমকি দিচ্ছেন। আলতাফ বলছেন, টিকটিকি কামাল কারাগার থেকে ছাড়া পেলে তাকে সপরিবারে শেষ করে দেয়া হবে।

গত ১২ জুলাই রাতে জুরাইনের কমিশনার রোডের ৪২৪/২ নম্বর বাড়ির নিচতলায় লিজার্ড কয়েল ফ্যাক্টরীতে পারিবারিক কলহের জের ধরে টিকটিকি কামাল ও আলতাফ হোসেনসহ তাদের ৪/৫ জন সহযোগীকে নিয়ে বড় ভাই মনির হোসেন ও তার সন্তানদের বাসা থেকে বের করে দিয়ে মারধর করতে থাকে। এসময় মনির হোসেনের স্ত্রী পাখি আক্তার আঁখি নিজ সন্তানদের বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাকে লোহার রড দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে আশেপাশের লোকজন আঁখি, সাজ্জাদ ও সাব্বিরকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে পাখিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শ্যামলীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে চিকিৎসার পর ১৬ জুলাই রাতে আঁখি মারা যান।

ঘটনার পর মনির হোসেন বাদী হয়ে তার দুই ভাই কামাল হোসেন ওরফে টিকটিকি কামাল ও আলতাফ হোসেনসহ তাদের চার সহযোগী স্বপন, সাইফুল, রিপন ও ভুলুকে আসামী করে কদমতলী থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ টিকটিকি কামাল ও আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এদের মধ্যে টিকটিকি কামাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মনির হোসেন অভিযোগ করেন, তাদের বাবা হাজী শাজাহান মিয়ার রেখে যাওয়া ছয় তলা বাড়ি ও ওই বাড়ির নিচতলায় অবস্থিত লিজার্ড কয়েল ফ্যাক্টরী পুরোটাই দখল করতে চায় তার দুই ভাই। অথচ তারা চার ভাই ও এক বোন এই পৈত্রিক সম্পত্তির মালিক। ২০২০ সালে তার বাবা মারা যাওয়ার পর থেকে এই সম্পদের ভাগবাটোয়ারা নিয়ে প্রায়ই টিকটিকি কামাল ও আলতাফ হোসেন হুমকি দেয়।

পুলিশ জানায়, টিকটিকি কামাল অনেক আগে থেকেই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত। এর আগেও তার বিরুদ্ধে খুনের মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে মাদক মামলা রয়েছে। বাবার মৃত্যুর পর টিকটিকি কামাল তার পৈত্রিক সব সম্পদ দখল করে নেন। এ নিয়েই তাদের মধ্যে পারিবারিক বিরোধ চলছে।

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কদমতলী থানার এসআই সোহেল রানা বলেন, বাবার রেখে যাওয়া সম্পদের ভাগবাটোয়ারাকে কেন্দ্র করে কামাল ও আলতাফের হাতে তাদের ভাবী আঁখি খুন হয়েছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি। রিপোর্ট পাওয়ার পর গ্রেপ্তার আসামীদের জবানবন্দি ও অন্যান্য তথ্য প্রমানসহ চার্জশিট দেয়া হবে।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত