ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৬ মিনিট আগে
শিরোনাম

গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করছে তামাক কোম্পানি

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৭:৫৯

গণমাধ্যমকে বিভ্রান্ত করছে তামাক কোম্পানি

তামাক কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবসায় মুনাফা বৃদ্ধির জন্য দীর্ঘমেয়াদী বাজার সৃষ্টি করতে চায়। ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং মুনাফা অর্জনের লক্ষ্যে তামাক কোম্পানীগুলো আইন সংশোধন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করছে এবং নীতি নির্ধারক ও গণমাধ্যমগুলোর কাছে অসত্য তথ্য প্রচার করছে বলে মনে করেন কয়েকটি তামাক বিরোধী কয়েকটি সংগঠন।

সোমবার তামাক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের ভাবনা শীর্ষক এক অনলাইন টকশোতে এসব কথা বলেন সংগঠনের নেতারা। টকশোর আয়োজন করে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট।

তামাক কোম্পানির অযাচিত হস্তক্ষেপের ফলে আইন, বিধিমালা প্রণয়ন ও বহুমুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হলেও প্রত্যাশিত ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম। বিগত দিনগুলোতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ণ, আইন সংশোধন, বিধিমালা প্রণয়ন, আইন বাস্তবায়ন ক্ষেত্রে গণমাধ্যমগুলোর ভুমিকা প্রসংশার দাবীদার। কিন্তু সম্প্রতি তামাক কোম্পানিগুলো গণমাধ্যমে বিভ্রান্তকর প্রচারনা চালা হচ্ছে বলে টকশোতে আলোকপাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, হলি টাইমস্ পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক শ্যামল কান্তি নাগ, দৈনিক শেয়ার বিজের সিনিয়র রিপোর্টার মো. মাসুম বিল্লাহ এবং দৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার সাজিদা ইসলাম পারুল।

ওয়ার্ক ফর এ বেটার ট্রাস্টের সহকারী প্রকল্প কর্মকর্তা নাজমুন নাহারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রকল্প কর্মকর্তা মিঠুন বৈদ্য।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে খুচরা সিগারেট বিক্রয় বন্ধ এবং লাইসেন্সিং ব্যবস্থার প্রচলন করা হলে তরুণদের অনেকাংশে ধূমপান থেকে বিরত রাখা সম্ভব হবে। তামাক কোম্পানীগুলোকে মনিটরিং এর আওতায় নিয়ে আসা যাবে। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তামাক কোম্পানীর সিএসআর কার্যক্রম, ধূমপানের জন্য নির্ধারিত এলাকার বিধান এবং মারাত্মক ক্ষতিকর ভেপিং বা ইলেকট্রনিক সিগারেট নিষিদ্ধের প্রস্তাব করা হয়েছে যা অত্যন্ত যৌক্তিক। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যয় অনুসারে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আইন সংশোধন অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বিগত সময়ে হাতে গোনা কয়েকটি তামাক কোম্পানী তামাক নিয়ন্ত্রণে সহায়ক নীতি প্রণয়নে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করেছে, এখনো করছে। সুতরাং কোম্পানিগুলোর হস্তক্ষেপ প্রতিহত করে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করা, তামাক কোম্পানি থেকে সরকারের শেয়ার প্রত্যাহার, হেলথ প্রমোশন ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা এবং সকল ধরণের রাষ্ট্রীয় পুরস্কারের তালিকা থেকে তামাক কোম্পানির নাম বাদ দেয়া জরুরি।

বাংলাদেশ জার্নাল/এএইচ/এমএম

  • সর্বশেষ
  • পঠিত