ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ২ মিনিট আগে
শিরোনাম

আমাদের খাওয়া-দাওয়ায় সংযত হওয়া প্রয়োজন!

  এমদাদুল ইসলাম, ফেসবুক ওয়াল থেকে

প্রকাশ : ০৪ অক্টোবর ২০২২, ১৪:০৩

আমাদের খাওয়া-দাওয়ায় সংযত হওয়া প্রয়োজন!
এমদাদুল ইসলাম। ছবি: ফেসবুক থেকে নেয়া।

বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চল ও দেশে খাওয়া-দাওয়ার আলাদা নিয়ম ও পদ্ধতি রয়েছে। অনেক জায়গায় মানুষ খাওয়া-দাওয়ার পেছনে খুব কম ব‍্যয় করে এবং বেশ মিতব‍্যয়ী হয়েও চলে। তবে ঐতিহ‍্যগতভাবে আমরা মুসলমান তথা বাংলাদেশীরা কিন্তু খুব ভোজন বিলাসী বা ভূরিভোজন অভ্যস্ত। কাউকে দাওয়াত দিলে বা বিয়ে-শাদীতে যেই পরিমাণ আয়োজন হয়, তাতো সত‍্যিই অবর্ণনীয়। তাছাড়া বর্তমানে অনলাইন পদ্ধতিতে খাওয়ার অর্ডার প্রদান এবং প্রচুর ব‍্যয় করা আমাদের তরুণ ও যুবসমাজের একটা বিশেষ হ‍্যাবিটে পরিণত হয়েছে।

এই ক্ষেত্রে ভারতের মানুষজন অভাবে বা স্বভাবে হোক, খাওয়া-দাওয়ার ব‍্যাপারে খুবই মিতব‍্যয়ী। অনেকে খুব কম খায়, আবার অনেকে লতা-পাতা খেয়েও জীবন নির্বাহ করে। প্রয়োজন অনুযায়ী কেনাকাটা করে এবং পারতপক্ষে বিন্দুমাত্রও অপব‍্যয় করে না। কলকাতার ফুটপাথে ছোট-বড় সকলে পাশাপাশি বসে অল্প পয়সায় নাস্তা ও লাঞ্চ সেরে নেয়। একজন শ্রমিক আর অফিস এক্সিকিউটিভের মধ‍্যে তেমন কোন পার্থক‍্যই পরিলক্ষিত হয় না!

ভারতীয়রা কেনাকাটাতেও অতুলনীয়! তামিলনাড়ুর লোকজন, অনেকেই ১০০/২০০ গ্রামের মাছ বা মাংস কেনে। অবশ‍্য অনেকে প্রতিবেলা টাটকা কিনে এনেও রান্না করে। বেঙ্গালুরুতে সন্ধ্যার পর বার এর সামনে ৩০ রুপি দিয়ে ১০০ গ্রাম চিকেন পাকোড়া পাওয়া যায়। মেঘালয়ের পাহাড়ি এলাকায় পর্ক এবং চিকেন চামচ হিসেবে বিক্রি হয়।

কলকাতায় ফুচকা খেতে চাইলে- আপনাকে একসাথে ২০ টাকার বেশী দেবে না। যতো পিস বলবেন, ঠিক ততো পিসই দেবে। দার্জিলিং তো ভাত খাওয়ার সময় ১টা কাচা মরিচ দেয়। আরও চাইলে বলবে- দাদা একটা করে নেন, আপনি যতোটা খাবেন ততোটাই দেব। কিন্তু নষ্ট করা যাবে না। আসামের গৌহাটিতেও একি অবস্থা। জলপাইগুড়িতে তো মাছ পিস করে এক পিসও বিক্রি হয়। আর শিলিগুড়িতে ১ পিস করে আপেলও কেনা যায়।

ভারতের এই সিস্টেম কিন্তু আমার খুব ভালো লাগে। অপব‍্যয় হয় না, সমাজের সবস্তরের মানুষই খেতে পারে। আর আমাদের বাংলাদেশেতো প্রতিদিন বিয়েবাড়ী আর পার্টিতে যে পরিমাণ নষ্ট হয় তা অকল্পনীয়। দেশে এত ইলিশ কিন্তু সাধারণ মানুষ বা শ্রমিকরা এই ইলিশ খেতে পারেন না? যদিও আবার অনেকের ফ্রিজে রাখার জায়গাই হচ্ছেনা!

যদি ভারতের মতো-কেটে, পিচ করে ১০০ গ্রাম করে বিক্রি করা হতো, তাহেলে হয়তো দেশের একজন রিকশা চালক বা দিনমজুরও তার সন্তান বা বৃদ্ধ মা-বাবার জন্য এক পিস নিতে পারত। টাকার অভাবে কত মানুষ যে শুধু ডাল ভাত খায়, তার কোন হিসেব নেই! কিন্তু তদস্থলে ৩ টুকরা চিকেন একসাথে না কিনে যদি ১ পিস কেনা যেত নিশ্চয়ই অনেকে তা Afford করতে পারত।

তাই অপব‍্যয় না করে, পিস করে বা ছোট ছোট ভাগে বিক্রি করার পদ্ধতিকে আমি পজিটিভ হিসেবেই দেখি। কারণ দেশের গরীব মানুষগুলো খাবারের স্বাদটা অন্তত পাবে!

  • সর্বশেষ
  • পঠিত