ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৪ মিনিট আগে
শিরোনাম

ঘুম ভাঙে মেঘের স্পর্শে

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৪ নভেম্বর ২০২২, ১৯:১৯  
আপডেট :
 ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১৯:০৪

ঘুম ভাঙে মেঘের স্পর্শে
ট্রি-হাউস। সংগৃহীত ছবি

আচ্ছা পাখির মতো যদি আকাশে উড়া যেত, মেঘের মাঝে ডানা মেলে উষ্ণ রোদের আভা। তবে মানব জনমে কি তা সম্ভব বাছা? উত্তর পাখির মতো উড়ে বেড়ানো না হলেও মেঘের স্পর্শ কিন্তু অসম্ভব নয়।

এই অভিজ্ঞতা নিতে হলে যেতে হবে পাহাড়কন্যা বান্দরবনে। সকালে পাহাড়ি পাখির কিচির-মিচিরে ঘুম ভাঙলেই জানালা দিয়ে দেখা যাবে মেঘের হাতছানি।

শরতের শেষে শীত যখন তার আগমনী বার্তা জানায় তখন আঁকাবাকা রাস্তা দিয়ে চলতে থাকলে দেখা মেলে গাছের গায়ে পাখির বাসা। পাখির সে বাসা দেখে ইচ্ছে হয় তেমনি নীড়ে গিয়ে বাসা বাঁধার। বাস্তবে সম্ভব না হলেও পাহাড়কন্যার বুকে তা সম্ভব। সেই ইচ্ছে পূরণ করার জন্য বান্দরবানে রয়েছে তিনটি ট্রি-হাউস। ট্রি-হাউসগুলো গাছের ওপর কাঠ ও বিভিন্ন বোর্ড দিয়ে তৈরি করা।

তবে দেখতে পাখির নীড়ের মতো হলেও থাকছে সব আধুনিক সুবিধা। এখানে যেমন আপনি পাহাড় দেখতে পাবেন, তেমনি পাবেন ছোট ছোট বয়ে চলা ঝিরির মৃদু শব্দ। আপনি যদি একইসঙ্গে পাহাড় ও প্রকৃতিপ্রেমী হন তাহলে দুইয়ে মিলে এ এক অনন্য অভিজ্ঞতা হবে।

৩টি স্বর্গ রাজ্যের অবস্থান বান্দরবান শহর থেকে ৩ কিলোমিটার পূর্বে। অপূর্ব এই কাঠামের অবস্থান বান্দরবান গ্রীনপিক রিসোর্টে। রিসোর্টির যাত্রা ২০১২ সালে শুরু হলেও ট্রি-হাউসগুলো বানানো হয় ২০১৯ সালে। দেশের সিলেট ও চট্রগ্রামে ট্রি-হাউজ থাকলেও সেগুলোতে রাতযাপনের সুযোগ নেই। বান্দরবানের গ্রীনপিক রিসোর্টে রয়েছে সেই সুযোগ।

দুটি কাপল ও একটি ট্রিপল রুম রয়েছে এই ট্রি-হাউসে। মৌসুম ও ছুটির দিন ভেদে প্রতি রাতে ভাড়া গুনতে হবে ৬-৮ হাজার টাকা। তবে পর্যটকদের কাছে এই অভিজ্ঞতা মূল্যহীন।

ট্রি-হাউসে রাতাযাপনের কথা এলেই সঙ্গে চলে আসে নিরাপত্তার বিষয়টি। ট্রি হাউস তৈরিতে কাজ করছেন একঝাঁক তরুণ প্রকৌশলী এবং তাদের চৌকস বুদ্ধিতে গাছের সঙ্গে অবিচল সেঁটে আছে ট্রি-হাউসগুলো। প্রতিটি হাউস পাহাড়ের খাদে মাটি থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট উঁচুতে নির্মিত।

ট্রি হাউস ছাড়াও বান্দরবানের উল্লেখযোগ্য দর্শনীয় স্থানগুলো হলো- শুভ্র নীলা, জীবন নগর পাহাড়, ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট ও জাদুঘর, বাকলাই জলপ্রপাত, রিজুক জলপ্রপাত, চিংড়ি ঝিরি জলপ্রপাত, জিংসিয়াম সাইতার জলপ্রপাত, পাতাং জারি জলপ্রপাত, ফাইপি জলপ্রপাত, প্রান্তিক লেক, মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স, কেওক্রাডাং পাহাড়, তাজিনডং পাহাড় প্রভৃতি।

বাংলাদেশ জার্নাল/নুসরাত/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত