ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

র‍্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৩

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২২, ১৬:১৫

র‍্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, গ্রেপ্তার ৩
অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়। ছবি: প্রতিনিধি

রাজধানীতে র‌্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগে ৩ জন‌কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-২। গ্রেপ্তারকৃতরা হ‌লো- মো. ইলিয়াস উদ্দিন ওর‌ফে ক্যাপ্টেন নিশাত (২৩), মো. রাব্বি হোসেন মিঠু (২২) ও মো. রব্বানী ওর‌ফে সাগর।

বৃহস্প‌তিবার রা‌তে রাজধানীর মোহাম্মদপু‌রের বুদ্ধিজীবী কবরস্থান এলাকায় অভিযান চালি‌য়ে তা‌দের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত‌দের কাছ থে‌কে ১টি কালো রঙের র‌্যাব জ্যাকেট, ১টি সেনাবাহিনী পোষাকের প্যান্ট, ১টি সেনাবাহিনীর আইডি কার্ড, ১সেট বিজিবি’র পোষাক, ১টি বিজিবি’র গেঞ্জি, ১টি ডিএমপি পুলিশের পোষাকের শার্ট, ১টি পুলিশের ট্রাকসুটের জ্যাকেট, ১টি সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্সের গেঞ্জি এবং ৩টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়ে‌ছে।

র‌্যাব-২ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) সিনিয়র এএসপি মো. ফজলুল হক ব‌লেন, গত ২০ ন‌ভেম্বর মো. ফয়সল পাটোয়ারীকে (৩২) ভাটারা এলাকার ভাড়া বাসা থে‌কে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে অপহরণকারীরা র‌্যাব পরিচয় দিয়ে কিছু তথ্য লাগবে ব‌লে তা‌কে ২ ঘন্টা পরে বাসায় দিয়ে আসার কথা বলা হয়। প‌রে ফয়সলকে একটি সাদা রঙের প্রাইভেট কারে তুলে দুই চোখ কাপড় দিয়ে বেঁধে নিয়ে যায়। এরপর অপহরণকারীরা ফয়সলের কাছ থেকে মুক্তিপণ দাবী করে তার স্ত্রীর সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে তাকে টাকা নিয়ে আসতে বলে।

প‌রে ফয়সলের ভাই নগদ টাকাসহ ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিয়ে ইলিয়াস উদ্দিন ওর‌ফে ক্যাপ্টেন নিশাতের সাথে দেখা করে। দেখা করার পর নগদ টাকা এবং ব্যাংকের এটিএম কার্ড নিয়ে যায়। এটিএম বুথ থেকে মোট ২ লাখ ১৫ হাজার টাকা উত্তোলন করে ভিকটিমকে বুদ্ধিজিবী কবরস্থানে নামিয়ে দেয়।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ভিকটিম র‌্যাবের কাছে অভিযোগ দি‌লে ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করতে র‌্যাব-২ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরধারী বৃদ্ধি করে। এরই প্রেক্ষি‌তে অভিযান চা‌লি‌য়ে চ‌ক্রের তিন সদস‌্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা র‌্যাব, পুলিশ এবং বিজিবিসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোষাক প‌রে প্রতারণা, অপহরণ এবং চাঁদাবাজি করেন।

গ্রেপ্তার ইলিয়াস উদ্দিন নিজেকে র‌্যাবের ক্যাপ্টেন বলে পরিচয় দেন। তারা একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তারা বিভিন্ন বাহিনীর পোষাক ব্যবহার করে সাধারণ জনগণের সাথে প্রতারণা, ছিনতাই, চাদাঁবাজি এবং অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেন। দীর্ঘদিন ধরে র‌্যাব এবং বিভিন্ন বাহিনীর পোষাক ব্যবহার করে ভুয়া আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য হিসেবে পরিচয় দিয়ে এলাকায় অপহরণ ও চাঁদা আদায় কর‌ছি‌লেন। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/রাজু

  • সর্বশেষ
  • পঠিত