ঢাকা, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩৯ মিনিট আগে
শিরোনাম

সিইও পদ ছাড়লেন নেটফ্লিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হেস্টিংস

  আন্তজার্তিক ডেস্ক

প্রকাশ : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩:৫৪

সিইও পদ ছাড়লেন নেটফ্লিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হেস্টিংস
নেটফ্লিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিড হেস্টিংস । ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ও প্রযোজনা সংস্থা নেটফ্লিক্সের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রিড হেস্টিংস সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করছেন। তিনি দুই দশক ধরে এ দায়িত্বে ছিলেন। বছরের শেষ ভাগে প্ল্যাটফর্মটির গ্রাহক বাড়ার খবরের মধ্যে তার পদত্যাগের খবর এল।

এদিকে, হেস্টিংসের পদত্যাগ ও গ্রাহক বাড়ার খবরে নেটফ্লিক্সের শেয়ারের দাম দিনের প্রথম ঘণ্টার লেনদেনে ৬ শতাংশের বেশি বেড়ে ৩৩৫ ডলার ছাড়িয়েছে।

শুক্রবার রয়টার্স লিখেছে, হেস্টিং সিইও হিসেবে সরে দাঁড়ালেও নির্বাহী চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। তার দীর্ঘদিনের অংশীদার আরেক সহ-প্রতিষ্ঠাতা টেড স্যান্ডোস সিইও এর দায়িত্বে আসবেন। আর চিফ অপারেটিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন গ্রেগ পিটার্স।

এসব পরিবর্তন তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে বলে রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে।

গ্রাহক কমে যাওয়া নিয়ে ২০২২ সালের বড় অংশ জুড়ে চাপে ছিল নেটফ্লিক্স। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) নেটফ্লিক্স জানিয়েছে, গত বছর তাদের ২৩ কোটিরও বেশি গ্রাহক ছিল। এটি প্রত্যাশা ছাড়িয়ে গেছে। বিশেষ করে 'হ্যারি অ্যান্ড মেগান' ও 'ওয়েডনেসডে' সিরিজ নতুন দর্শকদের আকৃষ্ট করেছে। গত ৩ মাসে ৭৭ লাখ নতুন সদস্য পেয়েছে বলে জানিয়েছে নেটফ্লিক্স।

খরচ কমাতে যখন অনেকেই স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের গ্রাহক হওয়ার মত খরচ কমিয়ে ফেলছিলেন তখন নেটফ্লিক্সের গ্রাহক আবার ঊর্ধ্বমুখী হলো। ডিসেম্বর শেষে তাদের বৈশ্বিক গ্রাহক ২৩ কোটি ছাড়িয়েছে।

হেস্টিংসের দীর্ঘদিনের সহযোগী টেড সারানডোস ও গ্রেগ পিটার্স এখন নেটফ্লিক্স চালাবেন। দুইজনই ইতোমধ্যে কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান থার্ড ফার্মের বিশ্লেষক জেমি লুমলি জানান, রিড হেস্টিংস তার বর্তমান ভূমিকা থেকে সরে যাওয়ায় নেটফ্লিক্সের ভবিষ্যৎ কৌশল নিয়ে অনেক প্রশ্ন উঠছে। তিনি মনে করেন, নতুন সহ-সিইও গ্রেগ পিটার্সকে উচ্চ-প্রোফাইল খরচ ব্যবস্থাপনা থেকে পাসওয়ার্ড শেয়ারিং এবং পরবর্তী স্ট্রেঞ্জার থিংস সিরিজ পর্যন্ত বড় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

উল্লেখ্য, নেটফ্লিক্স ১৯৯৭ সালে মুভি ডিভিডি ডোর-টু-ডোর মেইলে পাঠানোর মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। এরপর ই-কমার্স কোম্পানি অ্যামাজনের অনুকরণে নেটফ্লিক্স তৈরি করেন। ২০০৭ সালে ভিডিও স্ট্রিমিং সেবা হিসেবে চালুর পর নেটফ্লিক্স পুরো হলিউডকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। নেটফ্লিক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোও কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগে বাধ্য হয়েছিল। এরপরও বিশ্বজুড়ে সফলতা দেখিয়ে আসছিল নেটফ্লিক্স।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরআই

  • সর্বশেষ
  • পঠিত