ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১১ মিনিট আগে
শিরোনাম

দু’জনের একান্তে সময় কাটানোর ঠিকানা হোক পোখরা

  জার্নাল ডেস্ক

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৬:৪৭  
আপডেট :
 ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৫:৩৭

দু’জনের একান্তে সময় কাটানোর ঠিকানা হোক পোখরা
ছবি: আনন্দবাজার

প্রিয়জনের সঙ্গে একান্তে সময় কাটাতে চাইলে আপনার গন্তব্য হতে পারে নেপাল। বিদেশবিভুঁইয়ে যাওয়ার শখ হলেও অনেক সময়ে প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় অতিরিক্ত খরচ। সে ক্ষেত্রে কিন্তু নেপাল থাকতেই পারে আপনার পছন্দের তালিকায়।

পৃথিবীর সর্বোচ্চ ১০টি পর্বতশৃঙ্গের মধ্যে ৭টিই অবস্থিত নেপালে। কাজেই যারা পাহাড় ভালবাসেন তাদের জন্য নেপাল হতে পারে আদর্শ গন্তব্য। তোপসে-ফেলুদা আর লালমোহনবাবুর মতো ঘুরে দেখতে পারেন কাঠমান্ডুর ক্যাসিনো কিংবা পশুপতিনাথের মন্দির। সড়কপথে যাওয়া গেলেও বিমানে নেপাল যাওয়াই বেশি সুবিধাজনক। স্বল্প খরচেই ছুটি কাটানোর আদর্শ ঠিকানা ভারতের এই প্রতিবেশী দেশ।

নেপালে গিয়ে সফর শুরু করতে পারেন কাঠমান্ডু দিয়েই। পশুপতি নাথের মন্দির কাঠমান্ডু প্রধান আকর্ষণ। ফেলুদার হলে এই স্থানটি কোনও মতেই মিস করা যাবে না। এ ছাড়াও ঘুরে আসতে পারেন হনুমান মন্দির, বোধি স্তূপ, নারায়ণহিতি প্যালেস মিউজিয়াম, কৈসর মহল, নীলকণ্ঠ মন্দির।

নেপালে গেলে গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনি ঘুরতে ভুলবেন না যেন। কাঠমান্ডু থেকে লুম্বিনির দূরত্ব ২৫০ কিলোমিটার। বুদ্ধদেবের জন্মস্থানটিতে রয়েছে তার মায়ের নামের মায়াদেবী মন্দির। নেপালের লাংতাং জাতীয় অভয়ারণ্য দেখতে গেলে লাংতাং প্রদেশে যেতে হবে। পাহাড়ের মাঝে লাংতাংয়ের রোডোডেনড্রনের জঙ্গল দেখেও মুগ্ধ হবে মন। পাহাড়ি গ্রাম ঘুরে দেখতে দারুণ লাগবে।

কাঠামান্ডু নেপালের রাজধানী হলেও পোখরাকে কিন্তু সে দেশের পর্যটনের রাজধানী বলাই যায়। হ্রদে ঘেরা এই শহরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য মনমুগ্ধকর। পোখরায় একাধিক মন্দির রয়েছে, এ ছাড়াও সেখানকার ছোটো ছোট তিব্বতি বাজার ঘুরে ঘুরে শপিং করতে ভালই লাগবে। নেপালে গেলে আপনার গন্তব্য হতে পারে নাগরাকোট। কাঠমান্ডু থেকে মাত্র ২৮ কিলোমিটার দূরের নাগরাকোট হিমালয়ের ১৩ খানা রেঞ্জের মধ্যে এটি অষ্টম রেঞ্জ। হিমালয়ের অপূর্ব সৌন্দর্য দেখতে পাবেন এই নাগরাকোট থেকে।

নেপালে গিয়ে খাওয়া দাওয়া, কেনাকাটা, শহর ঘোরা সবই তো হবে। কিন্তু অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীরা যদি এক বার পর্বারোহণ না করেন, তা হলে তো ঘোরাটাই অসম্পূর্ণ রয়ে যাবে। গাইড সঙ্গে নিয়ে ছোটখাটো পর্বতে খানিকটা উঠতেই পারেন। পেশাদার পর্বতারোহীদের কথা অবশ্য আলাদা। নেপালে পবর্ত আরোহণের জন্য কিছু সংস্থা রয়েছে, সেগুলির সঙ্গেও যোগাযোগ করে নিতে পারেন।

পাহাড়ের কোলে মেঘ-কুয়াশার দেশ। হাতের নাগালে মেঘ, চাইলেই যেন ছোঁয়া যায়। রাত হলেই পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট জনপদে জ্বলে ওঠে আলো। নেপালের যে কোনও শহর থেকেই দৃশ্যটা খানিকটা এ রকমই। প্রকৃতির প্রকৃত স্বাদ উপভোগ করতে চাইলে একবার ঘুরে আসুন নেপাল থেকে। নেপালের পর্যটন কেন্দ্রের ছড়াছড়ি। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কোন কোন জায়গায় যেতে পারেন, তা আগে থেকে নির্ধারণ করে তবেই ভ্রমণ পরিকল্পনা করুন।

বাংলাদেশ জার্নাল/এমএস

  • সর্বশেষ
  • পঠিত