ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১২ মিনিট আগে
শিরোনাম

প্রাথমিকের বৃত্তির ফল স্থগিত, দোলাচলে শিক্ষার্থীরা

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২১:৩৬  
আপডেট :
 ০৪ মার্চ ২০২৩, ১৬:৪৯

প্রাথমিকের বৃত্তির ফল স্থগিত, দোলাচলে শিক্ষার্থীরা
প্রতীকী ছবি

প্রাথমিকের বৃত্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশের চার ঘণ্টা পরই তা স্থগিত করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে সফটওয়্যারে টেকনিক্যাল ত্রুটির কারণে তথ্যগত কিছু ভুল ধরা পড়ায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তা হতেই পারে। কিন্তু খবরটি অনেক কোমলমতি শিশুর জন্য আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কারণ মঙ্গলবার দুপুরে প্রকাশিত ফলাফলে কৃতিত্বের অধিকারী শিশু ও তাদের অভিভাবকরা এখন আনন্দে উদ্বেল। চলছে মিষ্টিমুখের আয়োজন। সেই আনন্দের রেশ তুঙ্গে থাকতেই এই বিভ্রাটজনিত খবরে নিশ্চয় তারা অজানা শঙ্কায় মুষড়ে পড়বে। কারণ পুনঃপ্রকাশিত ফলাফলে অনেকের এই কৃতিত্বের খবর ব্যর্থতায় বদলে যেতে পারে। ফলে প্রাপ্তির উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হবার পরই বিষাদের ভারে নুয়ে পড়বে এসব শিশু। অন্যদিকে অকৃতকার্য অনেকের মুখে হয়তো ফুটবে বিজয়ের হাসি। প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায় এ বছর প্রাথমিকে ৮২ হাজার ৩৮৩ শিক্ষার্থী বৃত্তি পেয়েছে। তার মধ্যে ট্যালেন্টপুলে (মেধাবৃত্তি) ৩৩ হাজার ও ৪৯ হাজার ৩৮৩ জন শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি পেয়েছে। সংখ্যাটি নিতান্ত কম নয়।

দুপুরে ফলাফল ঘোষণার পর ইতোমধ্যে ওয়েবসাইটে অনেক শিক্ষার্থীই ফলাফল জেনে গেছে। যদিও মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট থেকে ফলাফল সরিয়ে নেয়া হয়। এখন ডিপিই যেহেতু তথ্যগত ভুলের কারণ দেখিয়ে ফল স্থগিত করেছে, ধারণা করা যায় পুনঃপ্রকাশিত ফলাফলে অনেকের ফল বদলে যাবে। সেক্ষেত্রে দীর্ঘ সাধনা ও চেষ্টাশ্রমে কৃতিত্ব অর্জনের পর বদলে যাওয়া ফলের কারণে যারপরনাই হতাশ হবে শিশু শিক্ষার্থীরা। নিঃসন্দেহে তাদের পড়লেখার উৎসাহে পড়বে ভাটা। যার প্রভাব পড়বে তাদের ভবিষ্যৎ শিক্ষাজীবনেও।

প্রশ্ন হলো যান্ত্রিক ত্রুটি বা প্রযুক্তিগত সমস্যা হতেই পারে। কিন্তু দীর্ঘ সময় নিয়ে তৈরি করা ফলাফল প্রকাশ করার পরপরই কেন সেটা জানা গেলো। এক্ষেত্রে কি তাহলে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের কোনো গাফিলতি ছিলো। নইলে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে এই বিভ্রাট কেন? ওয়েবসাইটে ফলাফল আপলোড করার আগে কি তাহলে যথেষ্ট যাচাই-বাছাই করা হয়নি? ডিপিই কর্তৃপক্ষ ভুলের কারণ দেখিয়ে হয়তো দায় সারছে। কিন্তু কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর এর যে সুদূর প্রসারী নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সমূহ আশঙ্কা তৈরি হলো, তার কী হবে? সঙ্গত কারণেই অভিভাবকদের মনে এখন এসব প্রশ্ন আসছে। তাদের মনে আরো প্রশ্ন জাগতে পারে- সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতা ও কর্তব্য-কর্মে যত্নশীলতার বিষয়টিও। যদিও ১ মার্চ পুনরায় ফল প্রকাশিত হবার পরই মিলবে অনেক প্রশ্নের উত্তর।

বাংলাদেশ জার্নাল/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত