ঢাকা, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ১৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

নাসার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশি চৈতী

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশ : ০৫ মার্চ ২০২৩, ২২:৪৯

নাসার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশি চৈতী
মনীষা দাস চৈতী। সংগৃহীত ছবি

যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসা' সম্প্রতি তরুণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে গঠিত ‘ল্যান্ডস্যাট ক্যাল/ভাল’ দলকে মর্যাদাপূর্ণ রবার্ট এইচ. গডার্ড পুরস্কার ২০২২-এ ভূষিত করেছে। আর, এ দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন বাংলাদেশের বিজ্ঞানী মনীষা দাস চৈতী।

দলটি নাসা গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার, ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে আর্থ রিসোর্সেস অবজারভেশন অ্যান্ড সায়েন্স সেন্টার (ইআরওএস), সাউথ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটি, রচেস্টার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি, ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজোনা এবং নাসা জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি নিয়ে গঠিত।

চৈতী পড়াশোনা করেছেন খুলনা ইউনিভার্সিটি অফ ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজিতে (কুয়েট) এবং বর্তমানে তিনি রচেস্টার ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে পিএইচডি করছেন। তিনি একটি এ্যাবসলিউট ক্যালিবারেশন মডেল তৈরির মাধ্যমে এই প্রকল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এটি সর্বোচ্চ স্তরে সক্রিয় ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট ডাটার গুণমান বজায় রাখতে এবং ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট মিশনের কর্মক্ষমতা পরিমাপ করার ক্ষেত্রে ক্যাল/ভাল টিমের সক্ষমতা বাড়িয়েছে। ল্যান্ডস্যাট স্যাটেলাইট ডাটা পণ্যটি নগর পরিকল্পনা থেকে শুরু করে জলবায়ু পরিবর্তন পর্যবেক্ষণসহ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হয়।

এ সম্পর্কে ইউএসজিএস ইআরওএস ক্যাল/ভ্যাল-এর ম্যানেজার কোডি অ্যান্ডারসন বলেন, এমন অসাধারণ কাজের জন্য অত্যন্ত পরিশ্রমী, নিবেদিত, বড় ও আত্মবিশ্বাসী দলের প্রয়োজন। ল্যান্ডস্যাট ক্যাল/ভাল তেমনই একটি দল। তিনি আরও জানান, দলটি পরবর্তীতে ল্যান্ডসেট নেক্সট মিশনের জন্য পরিকল্পনা করছে।

এমন মর্যাদাপূর্ণ একটি পুরস্কারের অংশ হতে পেরে চৈতী বলেন, এটি তার জন্য অত্যন্ত আনন্দের ও গর্বের। সামনের দিনগুলোতে এটি তাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। তিনি মহাকাশ বিজ্ঞানে আগ্রহী দেশের শিক্ষার্থীদের কথা তুলে ধরে বলেন, তার এই অর্জন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদেরকেও মহাকাশ বিষয়ক পড়াশোনায় অনুপ্রেরণা জোগাবে।

গুরুত্বপূর্ণ অবদান ও ব্যতিক্রমী কৃতিত্বের জন্য গডার্ড স্পেস ফ্লাইট সেন্টার ১৯৬১ সাল থেকে রবার্ট এইচ. গডার্ড পুরস্কার প্রদান করে আসছে। মহাকাশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এ পুরস্কারটিকে সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ পদক হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানার তাত্তাকান্দা গ্রামের প্রয়াত ব্যাংক কর্মকর্তা শত্রæঘœ চন্দ্র দাস এর ছোট মেয়ে মনীষা দাস চৈতী। তার অপর দুই বোন বাংলাদেশে প্রথম শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

বাংলাদেশ জার্নাল/কেএ/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত