ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ আপডেট : ৩ মিনিট আগে
শিরোনাম

ডাকাত ধরে বিপাকে ডিবি: পুরনো ঘটনায় নতুন মোড়

  নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২৩, ২১:৫৪  
আপডেট :
 ৩০ মার্চ ২০২৩, ২২:১৯

ডাকাত ধরে বিপাকে ডিবি: পুরনো ঘটনায় নতুন মোড়
ফাইল ছবি

‘হ্যালো, স্যার ১২ টাকার একটি কাজ আছে। কোথাকার। গোপীবাগের। আগের যেটা, সেটাও একই এলাকার ছিল না। হ্যাঁ, না স্যার, এটা পাশের এলাকা। যা হোক কবে যাবে। কাল রাইতে স্যার। ১২ মানে? ১২ লাখ। জি। রিয়াল? হুম। ও না বাংলা টাকা। দূর এত কম টাকার বিষয়ে আর কোনোদিন ফোন দিবেন না। এত ছোট কাজ আমি করি না’। ‘১২ লাখ রিয়াল হলে ভেবে দেখতাম। তাহলে স্যার না করে দিই। ওকে।’

কথপোকথনটি ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সাব-ইন্সপেক্টর আকসাদুজ্জামান ও পেশাদার ডাকাত আমির হোসেনের। এ ধরনের ৩টি অডিও রেকর্ড রয়েছে এই প্রতিবেদকের হাতে।

রেকর্ড অনুযায়ী, তারা ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের আগে এভাবে নিজেদের মধ্যে পরিকল্পনা করে নেন। গত ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর বিমানবন্দর এলাকায় এক প্রবাসীর টাকা লুটের আগের দিনও তারা পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সেদিন সকাল সাড়ে ৭টায় আকসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ৮ জনের একটি দল রোমান মিয়া নামের দুবাই প্রবাসীর সর্বস্ব লুটে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তারের পর চাকরিচ্যুত হন আকসেদ।

সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে এসে শুরু করেছেন নানা ধরনের অপতৎপরতা। বিভিন্ন দপ্তরে ডিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বেড়াচ্ছেন তিনি।

এরই মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে একটি তদন্ত প্রতিবেদন ডিবির বিপক্ষে যায়। বলা হয়, সিআইডির সাবেক এসআইকে তুলে নিয়ে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করেছে ডিবি। কিন্তু বাংলাদেশ জার্নালের হাতে আসা তথ্য প্রমাণ ঘেঁটে দেখা যায়, বাদী ভুলে ৪ কোটি টাকার জায়গায় ৪ লাখ টাকার মামলা করেন। পরে এসআই আকসেদসহ অন্য আসামিরা গ্রেপ্তার হলে শুধু আকসেদের কাছ থেকেই দুই দফায় উদ্ধার করা হয় ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। ওই টাকা পরে বাদী স্ট্যাম্পে সই করে ডিবির কাছ থেকে নিয়ে যান। তার সব ধরনের অডিও ভিডিও বক্তব্য ও স্ট্যাম্পের কপি রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (এডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, আকসেদ পেশাদার ডাকাত, এতে কোনো ভুল নেই। দুই আসামির ১৬৪ ধারার জবানবন্দি এবং প্রযুক্তিগত তদন্তে আকসেদের বিষয়ে অকাঠ্য প্রমাণ পাওয়ার পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। লুণ্ঠিত টাকা উদ্ধার করে বাদীকে ফেরত দেয়া হয়েছে। কিন্তু টাকা ফেরতের পদ্ধতিগত কিছুটা ভুল ছিল। বাদী ভুলে ৪ লাখ টাকার মামলা করলেও পরে দেখা যায় টাকার পরিমাণ প্রায় ৪ কোটি। এর মধ্যে বাদীকে উদ্ধার হওয়া ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা বুঝিয়ে দেয়া হয়। যার প্রমাণ ডিবির কাছে রয়েছে।

তিনি বলেন, এ ঘটনায় আগেও ডিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল। সেটি তদন্ত করে শুধু টাকা ফেরতের পদ্ধতিগত ভুল ছাড়া ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ কারণে আকসেদ জামিনে বের হয়ে নানা ধরনের অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তদন্ত প্রতিবেদনটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর ভোরে রোমান মিয়া (২২) দুবাই যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার ফুফাতো ভাই মো. মনির হোসেনকে (২০) সঙ্গে নিয়ে সিএনজি অটোরিকশায় করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা হন। এরপর বিমানবন্দর থানাধীন ঢাকা মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিম পাশে কাওলা ফুটওভার ব্রিজের নিচের সড়কের ওপর পৌঁছলে পেছন দিক থেকে একটি মাইক্রোবাস তাদের সিএনজি অটোরিকশার সামনে এসে গতিরোধ করে। এরপর তারা ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে রোমান ও তার ভাইকে লাগেজসহ জোর করে সিএনজি থেকে নামিয়ে জোর করে তাদের গাড়িতে উঠিয়ে সঙ্গে থাকা ফুফাতো ভাইকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে গাড়ি দ্রুতগতিতে চালাতে থাকে। দুষ্কৃতকারীরা গাড়ির ভেতরে রোমানের দুই হাতে হাতকড়া পরিয়ে কালো কাপড় দিয়ে চোখ বেঁধে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে।

একপর্যায়ে দুষ্কৃতকারীরা তার কাছে থাকা পাঁচ হাজার ইউএস ডলার, দুই হাজার দেরহাম, ২টি মোবাইল ফোন, কাপড়চোপড় ভর্তি ব্যাগসহ ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার মালামাল জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর সকাল অনুমানিক ৯টার সময় দুষ্কৃতকারীরা তাকে হাতকড়া খুলে একটি রশি দিয়ে হাত বেঁধে রামপুরা টু স্টাফকোয়ার্টারগামী নির্জন এলাকার রাস্তার পাশে জঙ্গলে ফেলে দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। এভাবেই নিজের সর্বস্ব লুটে নেয়ার কথা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন প্রবাসী রোমান মিয়া। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর তদন্ত শুরু করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। মামলাটির তদারকির দায়িত্ব পান অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (এডিসি) কায়সার রিজভী কোরায়েশী। তদন্ত দলে ছিলেন পরিদর্শক জাহিদুল ইসলামসহ পাঁচজন।

এরপর গোয়েন্দা পুলিশের তদন্তে নাম আসে অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) এসআই আকসাদুজ্জামানের। সেই সঙ্গে তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বেরিয়ে আসে বিমানবন্দরকেন্দ্রিক একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের মূল হোতা এসআই (সিআইডি) আকসাদুজ্জামান। আকসাদ ছাড়াও এ চক্রে রয়েছে আরও ছয় সদস্য। যাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধেই দেশের কোনো না কোনে থানায় রয়েছে ছিনতাই, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা। চক্রের এক সদস্য রংপুরের মাহিগঞ্জ থানার আব্দুল হাকিম মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন (৪০)। তার নামে ২০২০ সালের ২০ অক্টোবর রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলা নং-১৬। একই মামলায় আর এক আসামি চক্রের আর এক সদস্য মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মো. হানিফ মোল্লার ছেলে মো. সেলিম মোল্লা (৪২)।

এছাড়া তার নামে মাদারীপুরের শিবচর থানায় আরও দুটি মামলা রয়েছে। মামলা দুটি দায়ের করা হয় ২০১০ সালের মার্চের ৪ তারিখ, মামলা নং ২ এবং আর একটি একই বছরের আগস্ট মাসের ২৯ তারিখ দায়ের করা হয়।

চক্রের আর এক সদস্য মাদারীপুরের শিবচরের খালেক মোড়লের ছেলে মো. রিপন মোড়ল (৫৫)। তার নামেরও বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া তিনি যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করা আসামি। শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার আব্দুল গনি তালুকদারের ছেলে মো. আমির হোসেন তালুকদার চক্রের আর এক সদস্য। তার নামেও বিমানবন্দর ও মতিঝিল থানায় মামলা রয়েছে। এছাড়া এ চক্রের সদস্য মাদারীপুরের শিবচরের সুলতান সিকদারের ছেলে মো. রুজু মিয়া সিকদার (২৫) এবং চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থানার রবিউল ইসলামের ছেলে মো. হাসান রাজা (৩৮)। যাদের প্রত্যেকের নামেই বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

এরপর ডিবি পুলিশ চক্রের মূল হোতা আকসাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি কার্যালয়ে নেন। ওই সময় আকসাদ ডাকাতির কথা স্বীকার করেন এবং টাকা দিতে সম্মত হন। পরে ডিবি পুলিশ তার বাসা থেকে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা উদ্ধার করে। এরপর মামলার এজাহারে উল্লেখ পরিমাণ টাকা আদালতে জমা দিয়ে এবং বাকি টাকা যাদের তাদের তা বুঝিয়ে দিয়ে আকসাদকে অভিযুক্ত করে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দেয় ডিবি।

এরপর পুরো বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত একটা অডিও, একাধিক ভিডিও স্টেটমেন্ট, ১৬৪’র জবানবন্দি ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ডাকাতির সময়ের সিডিআর তথ্য রয়েছে প্রতিদেবকের হাতে।

এছাড়া ডাকাতির কাজে জড়িত চক্রের একাধিক সদস্য ও গাড়ির ড্রাইভারে ভিডিও স্টেটমেন্ট ও ১৬৪ দ্বারায় দেয়া জবানবন্দি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যেখানে তারা প্রত্যেকেই বলেছেন, সিআইডি এসআই আকসাদের নেতৃত্বে তারা ডাকাতি করেছেন। এবং তাদের আকসদ ফোন দিয়ে ডেকে নিয়েছেন। গাড়ির ড্রাইভার হারুন অর রশিদ সজীব তার স্টেটমেন্টে বলেন, স্যার (আকসাদুজ্জামান) আমাকে ফোন দিয়ে ডিউটির কথা বলে। এরপর স্যার একজন লোককে তুলে নিয়ে তার ব্যাগ রেখে তাকে একটা জঙ্গলে ছেড়ে দেয়। এরপর সিআইডি অফিসে সামনে এসে আমাকে ২০০ টাকা দিয়ে বলে, ‘এই ডিউটির ব্যাপারে কাউরে কিছু বলবা না।’ এছাড়া ওই সময়ের সিডিআর প্রতিবেদনেও দেখা যায় ওইদিন সকাল ৭টা ১৯ মিনিট থেকে ৭টা ২০ মিনিটে সোর্স আমির হোসেন এবং এসআই আকসাদ এমইএস অফিসার্স কোয়ার্টার এলাকায় ছিলেন।

ফেঁসে যাচ্ছেন ডিবি কর্মকর্তা

তদন্ত শেষে এডিসি ডিবি কায়সার রিজভী কুরায়েশী আকসাদসহ ৭ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর কয়েকমাস জেল খেটে বের হয়ে সেই আকসাদই অভিযোগ করেছেন, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে অপহরণ করে মুক্তিপণ বাবদ ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা আদায় করেছে।

অভিযোগে আকসাদের দাবি, তাকে ডিবি পুলিশ অপহরণ করে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে। সে সময় আকসাদ অন্য একটা মামলায় সাময়িক বরখাস্ত ছিলেন। ওই সময় সিআইডি আকসাদের বিরুদ্ধে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে তার প্রতিবেদন পুলিশ সদর দপ্তরে জমা দেয়। এর ভিত্তিতে আকসাদ চাকরিচ্যুত হন। ওই অবস্থায় আকসাদ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ডিবির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে এখানে প্রশ্ন থেকেই যায়, চাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একজন এসআই’র স্ত্রী ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা কোথায় পেলেন? এ টাকার উৎস কোথায়? কিংবা তিনি নিজেও একজন সিআইডি অফিসার হয়ে ডিবিকে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা কেন দিলেন। ডিবিই বা তার কাছ থেকে এতগুলো টাকা কেন নিল? প্রতিবেদকের হাতে আসা স্ট্যাম্পে দেখা যায়, বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা ওই মামলায় জব্দকৃত ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা বাদী বুঝে নিয়েছেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, প্রবাসী ও হুন্ডি ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে ডাকাতি করে আসছিল আকসাদের নেতৃত্বে একটি দল। ওইদিন রোমান মিয়ার কাছেও হুন্ডির টাকা ছিল। ওই টাকা বাদী মামলায় উল্লেখ করেননি। কিন্তু উদ্ধারের পর দেখা যায় সব টাকাই রোমান মিয়ার। এরপর রোমান মিয়া তার আত্মীয় স্বজনদের উপস্থিতিতে টাকা বুঝে নেন। রোমানের পক্ষে টাকা বুঝে নেন তার ভাই কাউসার। তিনি ডিবির তদন্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।

ব্যবসায়ী কাউছার মাহমুদ শাহিন ভিডিও স্টেটমেন্টে বলেন, ডিবি পুলিশ দুই ধাপে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা উদ্ধার করে তাকে বুঝিয়ে দিয়েছে। প্রথম ধাপে ১ কোটি ২৮ লাখ এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৪ লাখ টাকা তাকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এছাড়া মামলার এজাহারে যে টাকা উল্লেখ ছিল সেটা ডিবি কোর্টে জমা দেয়। কোর্ট থেকে তারা সেটা বুঝে নিয়েছে। ডিবি অফিস থেকে টাকা বুঝে নেয়ার সময় স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে ‘জিম্মানামা’ তারপর টাকা নিয়েছেন কাউছার মাহমুদ শাহীন। যে জিম্মানামার কপি নয়া রয়েছে প্রতিবেদকের হাতে।

যেখানে গরমিল

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ডাকাতি হয়েছে ৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। আবার ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা এদিকে আবার আকসাদ অভিযোগ করেছেন, তার কাছ থেকে ডিবি মুক্তিপণ নিয়েছেন ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা। মূলত গোঁজামিল টাকার অঙ্কে। যদি রোমানের ১ কোটি ৪২ লাখ টাকা ডাকাতি হয়ে থাকে তাহলে সে কেন ৪ লাখ ৭৮ হাজার লিখেছেন?

জানা যায়, রোমান এবং তার ফুফাতো ভাই যে টাকা নিয়ে যাচ্ছিলেন সেগুলো হুন্ডির টাকা। যে কারণে এতগুলো টাকার কথা তারা মামলার এজাহারে উল্লেখ করেননি। যদিও ডিবি অফিস থেকে বুজে নেয়া জিম্মানামায় রোমান লিখেছেন, ‘এজাহারে উল্লেখ ছাড়া বাকি টাকা তার ফুফাতো ভাই মো. মনির হোসেনের। ঘটনার আকস্মিতায় তিনি ওই টাকার কথা উল্লেখ করেননি। তিনি শুধু তার যে টাকা ডাকাতি হয়েছে সেটার কথাই উল্লেখ করেছেন।

বাংলাদেশ জার্নাল/সুজন/আরকে

  • সর্বশেষ
  • পঠিত